নিয়মিত ডায়েট ও শরীরচর্চা করার পাশাপাশি ফাদার্স ডে স্পেশাল হিসেবে কিছু দুর্দান্ত স্বাস্থ্যকর উপহার দিতে পারেন। দীর্ঘজীবন চলার পথের নানান ঝড়ঝাপ্টা যিনি বুকে আগলে সামলে রেখে চলেছেন, তাঁকে আজকের দিনে স্পেশাল ভাবাতে দোষের কী?
অতিমারি আমাদের জীবনযাত্রার অনেক কিছুই পাল্টে দিয়েছে। প্রবীণদের স্বাস্থ্যের উপর বিশেষ নজর রাখার কথা বারে বারে ডাক্তাররা বলে চলেছেন। নিয়মিত ডায়েটে সোডিয়াম-যুক্ত খাবার যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রতিদিন শরীরচর্চা করাও দরকার। শুধু আজকের দিনেই বাবাদের জন্য ভাবনা নয়, এই চিন্তা যেন প্রতিদিন করা উচিত সন্তানদের। প্রতিদিন মাদার্স ডে র মতো প্রতিদিনই ফাদার্স ডে পালনের ব্রত নেওয়া উচিত এই সমাজের।
হাইপারটেনশন, উচ্চ রক্তচাপ এইগুলি অজান্তেই বাড়তে থাকে । নিরব ঘাতককে হঠাতে ডায়েটে নুনের পরিমাণ কম করা ঠিক করে দেওয়া, রোজকার নিয়ম মেনে বিপি চেক করা উচিত। বিকল্প স্বাদের জন্য কাটা লেবু, গোল মরিচের ফ্লেক্স, কালো গোল মরিচের গুঁড়ো, ওনিয়ন পাউডার, রসুনের গুঁড়ো দিয়ে রান্না করা খাবার দিতে পারেন। এছাড়া ধনিয়া, পার্সলে, পুদিনা, ওরেগানো, থাইম ও তুলসির মতো ভেষজ খাবার দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: করোনা আবহে, এই বর্ষায় শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেবেন কীভাবে?
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাজারো রোগভোগের শিকার হন প্রবীণরা। বয়স বৃদ্ধির পাশাপাশি মস্তিষ্কেও নানারকম জটিলতা শুরু হয়। ডিহাইড্রেশন, মস্তিষ্কের সমস্যা রোধ করতে দিনের শুরুতেই ২ গ্লাস করে জল খাওয়ার পরামর্শ দিন। মধ্যাহ্ণভোজের আগে ১ গ্লাস, পরে আরও এক গ্লাস জল খাওয়ার অভ্যেস করতে নির্দেশ দিতে পারেন। এছাড়া প্রতিটি খাবারের পর এক গ্লাস করে গরম জল খেতে বলুন। এতে শরীরে জলের পরিমাণের মাত্রা ঠিক ও আর্দ্র থাকে।
নানারকমেরও নানা রঙের সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিন। তাতে স্বাস্থ্য ভাল থাকে, দীর্ঘায়ু হিসেবে এই টোটকা কাজে লাগে।
রোজকার নিয়ম থেকে শরীরচর্চা যেন বাদ না পড়ে যায়,সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার।