AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা আবহে, এই বর্ষায় শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেবেন কীভাবে?

বর্ষায় ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু-সহ নানা রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই বাড়ির ভিতর ও বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড় থাকলে সম্ভব হলে তা পরিষ্কার করিয়ে নিন।

করোনা আবহে, এই বর্ষায় শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি বিশেষ যত্ন নেবেন কীভাবে?
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Jun 19, 2021 | 8:11 PM
Share

– শিশুকে অবশ্যই বিশুদ্ধ জল খাওয়ান। বাইরের খোলা খাবার দেবেন না। দরকার পড়লে জল ফুটিয়ে, তারপর ছেঁকে জল খাওয়াতে পারেন।

– শিশু ঘেমে যাচ্ছে কি না, খেয়াল রাখুন। ঘাম হলে মুছিয়ে দিন। প্রয়োজনে পোশাক বদলে দিন। বর্ষার পোশাকের ক্ষেত্রে শিশুর জন্য আরামদায়ক সুতি কাপড় বেছে নিন।

– বৃষ্টিতে ভিজলে দ্রুত কাপড় বদলে ভালোভাবে মুছিয়ে দিন। গরম জল দিয়ে স্নান করালে আরও ভাল হয়।

– বর্ষায় স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, গরম আর ঘাম মিলে শিশুদের পায়ের আঙুলের ফাঁকে, কুচকিতে, মাথায় ও চুলে ছত্রাক সংক্রমিত হয়। নিয়মিত স্নান না করালে ময়লা আটকে ছত্রাক সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।

– খুব প্রয়োজন না পড়লে ডায়াপার পরাবেন না। ডায়াপার পরিয়ে রাখার ফলে র‍্যাশ হতে পারে। ভেজা অবস্থায় ছত্রাকের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অগত্যা ডায়াপার পরালেও সতর্ক থাকুন যাতে নিতম্বে ঘাম না জমে। ভিজলে একটু পাউডার লাগিয়ে জায়গাটা শুষ্ক রাখতে পারেন।

– নোংরা ও ময়লা, ধুলোপূর্ণ স্থান এড়িয়ে চলুন। বর্ষায় ঘর স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকলে দ্রুত শুষ্ক ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস আসার ব্যবস্থা রাখুন।

– এই সময় জলবাহিত ও বায়ুবাহিত জীবাণুর উপদ্রব বাড়ে। ফলে শিশুকে খাওয়ানোর সময় হাত ধোওয়ান। করোনাকালে বার বার সাবান-জল দিতে হাত ধোয়ার অভ্যেস তৈরি করুন।

আরও পড়ুন: হজমশক্তি বাড়াতে রোজ সকালে খালি পেটে একগ্লাস মেথি ভেজানো জল খান!

– জ্বর, মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা, গলাব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া, হাঁচি-কাশি প্রভৃতির উপসর্গ দেখা যায়। সর্দি-কাশিতে লেবু চা, আদা ও পুদিনা পাতার রস, মধু বেশ কার্যকর। গলাব্যথা থাকলে গরম জলে নুন মিশিয়ে গড়গড়া করতে দিন। দ্রুত গলাব্যথা ভালো হয়ে যাবে। বর্ষায় অসুস্থ শিশুর জন্য ঘরের পর্যাপ্ত পরিমাণে মেডিসিন রেখে দিন।

– ঘরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র থাকলে ঘর খুব বেশি ঠান্ডা করবেন না। ঘরে-বাইরে তাপমাত্রার পার্থক্য খুব বেশি হলে শিশুর সহজেই ঠান্ডা লেগে যাবে।

– যে সব শিশুর শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমার মতো সমস্যা রয়েছে, তাঁদের জন্য বর্ষাকালে এসি চালানো বেশ কষ্টকর হয়ে যায়।

– বর্ষায় মশা-মাছি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব বেশি, ফলে দিনে ও রাতে মশারি ব্যবহার করুন।

– বর্ষায় ম্যালেরিয়া,ডেঙ্গু-সহ নানা রোগের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই বাড়ির ভিতর ও বাড়ির আশপাশে ঝোপঝাড় থাকলে সম্ভব হলে তা পরিষ্কার করিয়ে নিন। ঘরের ভেতর খাটের নিচে, আলমারির পেছনসহ বিভিন্ন ফার্নিচারের আটকানো জায়গাগুলো পরিষ্কার করে নিন। এডিস মশার উপদ্রব কমাতে ফুলদানি, ফুলের টব বা পড়ে থাকা পাত্রে এক সপ্তাহের বেশি যেন জল আটকে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।