Home Remedies For Uric Acid: লাগবে না ওষুধ, সস্তার এই ৫ ফলের চোখরাঙানিতেই বিদায় নেবে ইউরিক অ্যাসিড
Uric Acid: ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া
কোলেস্টেরল বাড়লে যেমন শরীরে হাজারো সমস্যা হয় ঠিক তেমনটা হয় ইউরিক অ্যাসিডের বেলাতেও। শরীরের দূষিত রেচক হল এই ইউরিক অ্যাসিড। শরীরে পিউরিন ভেঙে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যসিড রক্তে দ্রবীভূত হয়ে প্রস্রাবের সঙ্গে কিডনি দিয়ে যায়। কিন্তু অনেক সময় তা বেরোতে না পেরে রক্তেই জমা হতে শুরু করে। আর রক্তে ইউরিক অ্যাসিড একবার বাড়তে শুরু করলেই জটিল হয় সমস্যা। শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে গেলে তখন তাকে বলা হয় হাইপারইউরিসেমিয়া। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে তা গাঁটে জমে যায়। হাত-পায়ের জয়েন্ট ফুলে গিয়ে ব্যথা হয়। বেশি ব্যাথা হয় পায়ের পাতাতে। এছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে জমতে থাকলে কিডনিতে পাথর হয়ে যায়।
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখার সবচেয়ে সহজ উপায় হল পিউরিন সমৃদ্ধ খাবার কম খাওয়া। ইউরিক অ্যাসিডের জন্য ওষুধ চিকিৎসা তো আছেই। তবে তার আগেও বিশেষজ্ঞরা কিন্তু জোর দেন রোজকার ডায়েটে। প্রোটিন খাওয়ার উপর তৈরি হয় নিষেধাজ্ঞা। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে ডিমের কুসুম, মুসুর ডাল এবং খাসির মাংস খেতে একেবারেই মানা করা হয়। সেই সঙ্গে তালিকায় থাকে রাজমাও। তবে আমাদের দেশে ফলের অভাব নেই। সারা বছরই সুলভে প্রচুর পরিমাণে ফল পাওয়া যায়। আগেকার দিনে এই ফল খেয়েই মানুষ সুস্থ থাকতেন। তাই সস্তার কিছু পল রাখুন রোজকার ডায়েটে। এই ফলই আপনার সমস্যার সুরাহা করবে, বাঁচাবে ওষুধের খরচ। সঙ্গে শরীরে দেবে পুষ্টিও।
সাইট্রাস ফল ইউরিক অ্যাসিড কমায়
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেবু, আঙুর, আনারস, মুসাম্বির মত ফল রোজ খান। এর মদ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমায়। বাতের ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। তবে যদি রাতে কোলচিসিন ওষুধ খান তাহলে সকালে লেবু না খাওয়াই ভাল। এতে ওষুধের কার্যকারিতা কমবে। সেই সঙ্গে গরম জলে লেবু দিয়েও খাবেন না।
ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে রোজকারের তালিকায় অবশ্যই রাখবেন ভিটামিন ই। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ ফল হল অ্যাভোগাডো। তবে তা সবসময় হাতের সামনে পাওয়া যায় না। পরিবর্তে সূর্যমুখীর বীজ, আমন্ড এসব খান। খেতে পারেন সবেদাও। এতে কিন্তু ব্যথা, প্রদাহ কমে। পা ফোলার সমস্যাতেও ভাল কাজ করে।
কলা খান
ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা আছে কলারও। কলার মধ্যে আছে পটাশিয়াম। এছাড়াও কলাতে পিউরিনের পরিমাণ কম। আর তাই রোজ একটা করে কলা খেলেও ইউরিক অ্যাসিড থাকে মাত্রার মধ্যে।
চেরি
চেরি ফল এখন আমাদের দেশেও পাওয়া যায়। অনেকে বাড়িতে চাষও করছেন। লাল রঙের চেরি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। সেই সঙ্গে চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। আর তাই চেরি খেতে পারলেও কিন্তু অনেক উপকার পাবেন।
আপেল
ইউরিক অ্যাসেডের সবচেয়ে ভাল ওষুধ হল আপেল। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকেই উঠে এসেছে এই তথ্য। আপেলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এই ফাইবার রক্ত থেকে ইউরিক অ্যাসিড শোষণ করে নেয়। এছাড়াও থাকে ম্যালিক অ্যাসিড। যা ভিটামিন সি এর খুব ভাল উৎস। ার তাই রোজকার ডায়টে আপেল রাখতে ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।