টিবি হলে কী কী সতর্কতা নেবেন? একদম এড়িয়ে চলবেন কোন কোন ‘মিথ’, জেনে নিন
টিবি হলে মাস্ক পরে থাকুন। নিজেকে আইসোলেশনে রাখুন। ভাল হাওয়া-বাতাস খেলে এমন ঘরে থাকবেন। প্রতিনিয়ত ব্লাড সুগার চেক করা অত্যান্ত আবশ্যক। এসব ছাড়াও সঠিক চিকিৎসা এবং ঠিকমতো ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন।
টিবি বা টিউবারকিউলোসিস কেন হয়, হলে ঠিক কী কী সতর্কতা প্রয়োজন— এই প্রসঙ্গে সঠিক তথ্যের বদলে নানা ধরনের মিথ শুনে থাকি আমরা। কিন্তু টিবি হলে ঠিক কী কী সতর্কতা নিতে হবে এবং একদম এড়িয়ে চলতে হবে কোন খবর, সেদিকে একটু নজর দেওয়া যাক।
১। টিবিকে অনেকেই বলে ছোঁয়াচে রোগ। এই তথ্য অনেকাংশে ঠিক। কিন্তু তা বলে এমন নয় যে টিবি হওয়া একটা লোক আপনার আশপাশে কাশলেই আপনি আক্রান্ত হয়ে যাবেন। দীর্ঘদিন টিবি আক্রান্তের সঙ্গে থাকলে, অন্তত কয়েক মাস, তবেই এমন সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্রে সতর্কতা স্বরূপ যাঁর টিবি হয়েছে তিনি নিজেকে আইসোলেট করে নিন। আলাদা বাসনে খাওয়াদাওয়া করুন। আলাদা ঘরে থাকুন। মাস্ক পরে থাকার চেষ্টা করুন। যাতে হাঁচি কাশি হলে সমস্যা তৈরি না হয়।
২। অনেকেই বলেন নিম্ন মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত শ্রেণির মধ্যে টিবি হওয়ার প্রবণতা বেশি। কারণ সমাজের ওই স্তরে অপুষ্টি বেশি দেখা যায়। এই ধারনা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। কারণ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হলে বা কমে গেলে টিবি হয়। এক্ষেত্রে বয়স্কদের মধ্যে রিস্ক বেশি। যাঁরা টিবি রোগীর সংস্পর্শে থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রেও আতঙ্ক রয়েছে যথেষ্ট। কিন্তু এই রোগ হওয়ার সঙ্গে আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কোনও সম্পর্ক নেই।
৩। বংশানুক্রমে অর্থাৎ হেরিডিটি থেকে এই রোগ হয় না। এটি আসলে একটি airborne disease। একজন টিবি আক্রান্ত হাঁচলে বা কাশলে তার ফলে যে পার্টিকল বাতাসে ছড়ায় সেটা কেউ নিঃশ্বাসের সঙ্গে ইনহেল করে ফেললে তাঁর আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর একটা কথা, অতিরিক্ত ধূমপানের সঙ্গে টিবি রোগ হওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। তবে যাঁরা অতিরিক্ত ধূমপান করেন, তাঁদের অনেকেরই শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা রয়েছে। সেক্ষেত্রে টিবি রোগ হলে সমস্যা বাড়ে। অতএব প্রত্যক্ষ না হলেও পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে।
৪। টিবি হলে শুধুমাত্র ফুসফুস নয়, সমস্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গেই প্রভাব পড়তে পারে। এছাড়া মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে এবং সঠিক চিকিৎসা হলে টিবি রোগীর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সম্পূর্ণ চিকিৎসা করালে তবেই সুস্থ হবেন একজন টিবি রোগী। মাঝপথে চিকিৎসা বন্ধ করে দিলে লাভ নেই।
৫। টিবি হলে মাস্ক পরে থাকুন। নিজেকে আইসোলেশনে রাখুন। ভাল হাওয়া-বাতাস খেলে এমন ঘরে থাকবেন। প্রতিনিয়ত ব্লাড সুগার চেক করা অত্যান্ত আবশ্যক। এসব ছাড়াও সঠিক চিকিৎসা এবং ঠিকমতো ওষুধ খাওয়া প্রয়োজন।