বড়দিনের পার্টিতে বন্ধু তিয়াসাকে দেখে বেশ মনখারাপই হয়ে গেল শালিনীর। লাল গাউনে তিয়াসার থেকে চোখ ফেরাতে পারছিল না কেউই। ওজন ঝরিয়ে খুবই তরতাজা লাগছিল তাকে। বন্ধুমহল থেকে ভেসে এল প্রশংসার বন্যা। তবে এই প্রশংসা শুনেই তিয়াসা থেকে থাকল না, উল্টে সবাইকে উৎসাহ দিল ফিট থাকার জন্য। শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমালে শুধুই যে সুস্থ থাকা যায় তাই নয়, সেই সঙ্গে অনেক সমস্যারও সমাধান হয়ে যায়। মন ভাল থাকে। খেতে আর কে না ভালবাসে। কিন্তু সেই ভালবাসা যদি ‘নিয়ন্ত্রিত’ হয় তাহলেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বন্ধুর কথায় খানিকটা মনে ভরসা পেল শালিনী।
রোগা হওয়ার জন্য পছন্দের সব খাবারের সঙ্গে আড়ি করতে সে মোটেই চায় না। আর তাই ঠিক করেই ফেলল, নতুন বছরে যে ভাবেই হোক ওজন কমাতে হবে। শালিনী একা নন, এরকম আরও অনেকেই আছেন। যাঁরা প্রতিদিন সকালে জিম করার শপথ নিলেও পরের দিন ঘুম থেকে ওঠার পর তা বেমালুম ভুলে যান। আর তাই আজ বিশেষ টিপস রইল তাঁদের জন্যই। নতুন বছর শেষ হতে আর বাকি মাত্র ৫ দিন। তাই ঝটপট দেখে নিন নতুন বছরে ডায়েট শুরু করার আগে যে সব বিষয় মাথায় রাখবেন।
নতুন বছর শুরু হোক আনন্দের সঙ্গে। রোগা হতে হবে বলেই যে বছরের শেষ দিনে নোট-প্যাড নিয়ে বসে পড়বেন এমনটা কিন্তু নয়। ওজন কমাতে গেলে মন ভাল রাখাও খুব জরুরি। আর তাই তাড়াহুড়ো করে নয়, বরং সময় নিয়ে ওজন কমান।
ছোট ছোট পদক্ষেপ নিন। প্রথম থেকেই কিন্তু খুব বড় কোনও পরিকল্পনা করবেন না। খুব কড়া ডায়েটও নয়। যদি আপনার প্রতিদিন সকালে ওঠার অভ্যাস থাকে তাহলেই প্রতিদিন সকালে শরীরচর্চা করুন। তাই প্রথম থেকেই রুটিনে সকালে শরীরচর্চা না রাখাই ভাল। প্রথমে ১৫ মিনিটের শরীরচর্চা করুন, তারপর ৩০ মিনিট এই ভাবে বাড়ান। তবে ধৈর্য রাখতেই হবে।
বাস্তব দিক থেকে ভাবুন। হঠাৎ করেই ভাত, তরকারি ছেড়ে ওটস খেতে শুরু করলে মোটেই তা বেশিদিন চালাতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, একদিনে সব খাওয়া ছেড়ে দেওয়া যায় না। কারণ আমাদের শরীর ওই ভাবে অভ্যস্ত নয়। কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট এক ধাক্কায় সব বন্ধ করে দেওয়া ঠিক নয়। আর তাই যা খাবেন তা পরিমাণে খান। ক্যালোরি মেপে খান। বরং ডায়েটে থাকলেও সপ্তাহে একদিন নিজেকে ট্রিট দিন।
নিয়মিত নিজে যদি ধৈর্য রেখে স্বাস্থ্যচর্চা করেন, পুষ্টিকর খাবার খান তাহলে কিন্তু ওজন কমতে বাধ্য। নিয়ম মেনে চলুন। সেই সঙ্গে এক কেজি ওজন কমলেও কিন্তু নিজেকে ট্রিট দিন। এতে উৎসাহ বাড়বে। সেই সঙ্গে ওজনও কমবে তরতরিয়ে।