সর্দি, কাশির ক্ষেত্রে অব্যর্থ হল আদা। কয়েক কুচি আদা চিবিয়ে খেলে ঠাণ্ডা লেগে থাকা অবস্থায় খুবই আরাম হয়। শুধু তাই নয়, কমে যায় সর্দি, কাশি। গলা ব্যথা কিংবা গলায় কোনও ইনফেকশনের ফলে সামান্য সমস্যা দেখা দিলেই যদি আদা চা খাওয়া যায় কিংবা আদার রস খাওয়া সম্ভব হয়, তাহলেও উপকার পাওয়া যায়। তবে শুধু সর্দি কাশিতেই যে আদা চা বা আদার রস কিংবা কাঁচা আদা কাজে লাগে, তা কিন্তু নয়। বরং আদা এবং আদা চায়ের আরও অনেক গুণ রয়েছে। এবার সেইসব গুণগুলি দেখে নেওয়া যাক।
১। বেলি ফ্যাট অর্থাৎ পেটের মেদ কমাতে দারুণ ভাবে সাহায্য করে আদা। এর জন্য আপনি আদা রস কিংবা আদা চা অথবা কাঁচা আদা চিবিয়েও খেতে পারেন।
২। সকাল সকাল যদি এককাপ আদা চা খাওয়া সম্ভব হয় তাহলে নিমেষে আপনার সমস্ত ক্লান্তি, অলসতা দূর হবে। আলস্য ভাবে কাটিয়ে চনমনে হয়ে দিন ধুরু করতে পারবেন আপনি।
৩। অনেকসময় খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হলে পেটে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে তলপেটে ব্যথা শুরু হলে তা কমানোর জন্য আদা চা কিংবা আদার রস খেতে পারেন। আসলে আদায় রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপকরণ। ফলে গ্যাস অম্বলের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
৪। খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হলে বদ হজমের সমস্যাও দেখা যায়। এক্ষেত্রেও মোক্ষম দাওয়াই আদার রস। গ্যাস, অম্বল, পেট ব্যথা থেকে শুরু করে অন্যান্য অনেক সমস্যাই দূর হয়ে যায় নিমেষে। হজমশক্তি বাড়ায়। ফলে সঠিক ভাবে খিদেও পায়।
৫। আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্থাৎ ইউমিউনিটি সিস্টেম সুদৃঢ় করতেও কাজে লাগে আদা চা। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আদার সাহায্যে ব্লাড প্রেশার লেভেল ঠিক থাকে। হঠাৎ করে রক্ত চাপ বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতেও সাহায্য করে আদা চা। এছাড়া শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতেও কাজে লাগে আদার রস। নিয়মিত আদা চা খেলেও ফ্যাট কমানো সহজ হয়।
৬। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে, আদা চা বা আদার রস কিংবা রোজ কয়েক কুচি কাঁচা আদা চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন তাঁরা। মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে যখন তখন মাথা ধরে যায়। এই মাথার যন্ত্রণায় আরাম দেয় আদা চা। শুধু মাইগ্রেন থেকে মাথা যন্ত্রণা শুরু হলেই নয়, যেকোনও কারণেই মাথা ব্যথা হলে আদা চায়ের সাহায্যেই আরাম পাওয়া যায়।
৭। আদার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার ফলে প্যাংক্রিয়াস এবং কোলন ক্যানসারের প্রবণতা কমায় আদার রস বা আদা চা। আদার রস কিংবা আদা চায়ের মধ্যে সামান্য মধু আর পাতিলেবু মিশিয়েও খেতে পারেন। নানা রকম উপকার পাবেন এই পানীয় নিয়মিত সেবন করলে।
আরও পড়ুন- Foods to Avoid: রাতে ঘুমনোর আগে যে খাবারগুলি আপনার একদমই খাওয়া উচিত নয়