Foods to Avoid: রাতে ঘুমনোর আগে যে খাবারগুলি আপনার একদমই খাওয়া উচিত নয়

দেরিতে খাবার খাওয়া বিশেষ করে আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর খুব বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে পারে।

Foods to Avoid: রাতে ঘুমনোর আগে যে খাবারগুলি আপনার একদমই খাওয়া উচিত নয়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 23, 2021 | 9:58 AM

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা রাতের খাবারে ভারী খাবার খাওয়ার প্রবণতা বজায় রাখেন। কেউ কেউ আবার চা বা কফি খেতেও পছন্দ করেন। কারণ এই সময়েই আমরা সাধারণত কর্মক্ষেত্রের যাবতীয় চিন্তা থেকে মুক্ত থাকি। কিন্তুআমরা রাতে যা খাচ্ছি তার প্রতি যত্নশীল না হলে বিশ্রামের পরিবর্তে আমাদের ঘুমের সমস্যা তৈরি হতে পারে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা আমাদের রাতের খাবার  খাওয়ার অভ্যাস না করি, আমরা কিছু দীর্ঘস্থায়ী রোগ যেমন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ অন্যান্য রোগের শিকার হতে পারি।

দেরিতে খাবার খাওয়া বিশেষ করে আমাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর খুব বাজে প্রভাব ফেলতে পারে। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বাড়তে পারে এক্ষেত্রে।

নারায়ণ হৃদয়ালয় মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল আহমেদাবাদের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান শ্রুতি ভরদ্বাজের মতে, উন্নত স্বাস্থ্যের জন্য ঘুমানোর সময় যেসব খাবার খাওয়া উচিত নয় সেগুলি হল:

১) ভাজা খাবার:

উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবারে লিপ্ত হওয়া যা আপনার পাচনতন্ত্রের উপর চাপ সৃষ্টি করে যেমন আলুর চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বার্গার আপনার ঘুমকে ব্যাহত করতে পারে। আপনি গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং এ জাতীয় অন্যান্য সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। যদি আপনি গভীর রাতে এই ক্যালোরিযুক্ত জিনিসগুলি খেয়ে থাকেন তবে জল ধরে রাখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষত মহিলাদের ক্ষেত্রে তাঁদের দেহে হরমোনের পরিবর্তনের কারণ হতে পারে এগুলি। জল ধরে রাখার একটি লক্ষণ হল ঘুম থেকে ওঠার পরে আপনার ত্বকে টান অনুভব করা।

২) মশলাযুক্ত খাবার:

আপনি যদি দেরি করে ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বিশেষ করে সব ধরনের মশলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ আপনার খাবার খাওয়ার সময় আর ঘুমনোর সময় যদি একদম কাছাকাছি হয় তাহলে হজমের খুব বেশি সমস্যা হতে পারে।

৩) মিষ্টি:

আপনার রাতের খাবারের পরে ঘন ঘন মিষ্টি খাওয়া ভাল না। চিনি জাতীয় খাবার রাতে বেশি খেলে তা ঘুমের সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। রাতে মিষ্টি খাওয়া আপনার ইনসুলিন প্রতিরোধের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ রাতের খাবারের পর অনেক শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অনুপস্থিতি থাকে। তাই, কিছু সময়ের মধ্যে এটি আপনার ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।

৪) চা এবং কফি:

অনেক লোক, বিশেষ করে ছাত্ররা রাতে জেগে থাকার জন্য চা এবং কফি খাওয়ার প্রবণতা রাখে। যদিও এটা অল্প পরিসরে সক্রিয় অনুভূতিতে সাহায্য করতে পারে বলে মনে হতে পারে। কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদে এটি অনিদ্রা, উদ্বেগ, ঘুমের গভীরতা কমিয়ে দিতে পারে।

৫) অ্যালকোহল:

অ্যালকোহলের অনুপস্থিতিতে অনেকেরই সামগ্রিক দিনটি অযৌক্তিক মনে হতে পারে। কারণ এটি মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপকে ধীর করে দেয়। এর বেশ কিছু ক্ষতিকারক প্রভাব থাকতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে এটি ঘুমের গভীরতা কমিয়ে দেয়। যা মানসিক চাপের জন্য মারাত্মকভাবে দায়ী হয়।

আরও পড়ুন: গবেষণায় জানা যাচ্ছে, অতিরিক্ত ওজনের কারণে আপনি মানসিকভাবে অসুস্থ হতে পারেন