লবণাক্ত বা লবণ ছাড়াই হোক না কেন, মাখন সারা বিশ্বেই একটি বহুল ব্যবহৃত একটি উপাদান। টোস্টে স্প্রেড হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বেকড আইসক্রিম ও ডেসার্টে মাখনের ভূমিকা অনবদ্য়। ডায়েট থেকে মাখন বা বাটারকে বাদ দেওয়া কঠিন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উচ্চ কোলেস্টেরলযুক্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রতিদিনের খাদ্য থেকে মাখনকে বাদ প্রায়ই পরামর্শ দেন।
মাখন কি উচ্চ কোলেস্টেরল? ইউএসডিএ অনুসারে, ১০০গ্রাম মাখনে প্রায় ২১৫ মিলিগ্রাম কোলেস্চেরল থাকে। কোলেস্টেরল গ্রহণের প্রস্তাবিত পরিমাণ প্রতিদিন প্রায় ৩০০ মিলিগ্রাম। যদিও পরিমিত পরিমাণে মাখনের ব্যবহার কোনও প্রতিকূল প্রভাব শরীরে পড়ে না, তবে নিয়মিত গ্রহণে উচ্চ কোলেস্টেরলে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে তা কঠিন করে তুলতে পারে।
মাখনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প কোনগুলি…
ঘি- দুধ থাকলে বাড়িতেই ঘি তৈরি করে নিতে পারেন। ক্লাসিফায়েড বাটার নামেও এটি পরিচিত। প্রায় প্রতিটি ভারতীয় বাড়িতেই ঘি সহজে পায়া যাবে। এর সুবাস রান্নায় অন্য স্বাদ এনে দেয়। ঘরের তৈরি খাবারের জন্য এটি বেশ উপাদেয়। মাখনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প ঘি একটি বহুমুখী উপাদান। আর এটি বিভিন্ন ভারতীয় খাবারের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
অ্যাভোকাডো- এটি একটি উপকারী ও পুষ্টিকর ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যাভোকাডো মাখনের জন্য একটি দারুণ বিকল্প হতে পারে। খাবারের স্বাদ যোগ করার পাশাপাশি অ্যাভোকাডোগুলি কোলেস্টেরল উন্নত করার বৈশিষ্ট্যগুলির কারণে স্বাস্থ্যের জন্যও যোগ করা উচিত। কিছু জনপ্রিয় পদের জন্য অ্যাভোকাডো ব্যবহার করা একেবারে মাস্ট। সালাদ, টোস্ট ও স্ক্র্যাম্বল করা ডিমের সঙ্গে এই উপকারী ফল খাওয়ার পরামর্শ দেন নিউট্রিশনিস্টরা।
অ্যাপেল সস- মাখনের বিকল্প হিসেবে অ্যাপেল সস কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অ্যাপেল সসের সঙ্গে দারচিনির যোগ করলে গোটা উপাদানটি একটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ভরপুর বৈশিষ্ট্য়ে পরিণত হয়। এই বহুমুখী উপাদান স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল তৈরি করতে সাহায্য করে।
অলিভ অয়েল- মাখনের স্বাস্থ্যকর বিকল্প হওয়ার পাশাপাশি অলিভ অয়েলও রান্নার তেলের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই তেল কোলেস্টেরল উন্নত করতে ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে পারে। ওজন নিয়ন্ত্রণের সহায়তা করতেও এর জুড়ি নেই।
দই- মাখন বা বাটারের ব্যবহার কমানোর উপায় খুঁজলে নিয়মিত দই খেতে পারেন। এটি সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর মাখনের বিকল্প একটি। দই রয়েছে প্রোবায়োটিকের উত্কৃষ্ট উপাদান ও স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের দুরন্ত উপায়। এটি অন্ত্র সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ব্রেকফাস্টের সময় সিরিয়াল বা ওটসের সঙ্গে এই টক দই খেতে পারেন।