হাই ব্লাড প্রেশার বা উচ্চ রক্তচাপ আধুনিক জীবনে একটা গুরুতর সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একে প্যান্ডেমিকের পরিস্থিতি, তার ওপর আবার কাজের চাপ। দিনের পর দিন যেন মানসিক অশান্তি বেড়েই চলেছে। আর এই অশান্ত মনের ছাপ শরীরে পড়ছে। তাতেই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা। শরীরের মধ্যে নানা রোগের সম্ভাবনা বিস্তার করছে।
এরই মধ্যে অন্যতম হল উচ্চ রক্তচাপ। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রায় ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডাক্তারের পরামর্শ মেনে অনেকেই নিয়মিত ওষুধ খান। তবে, সব সময় ওষুধের ওপর নির্ভর করাও খুব একটা স্বাস্থ্যকর নয়। ওষুধের একটা পার্শ্বপ্রিতিক্রিয়া থেকেই যায়। আর সেই জায়গা থেকে আবার নতুন সমস্যার শুরু হয়। তাই, ডাক্তারি পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ঘরোয়া কিছু উপায়ও অবলম্বন করতে পারেন।
খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ কমানো:
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় সোডিয়াম বিষের মতো কাজ করে। তাই এই সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের খাবারে নুন কম খাওয়া উচিত। যদি আপনি নুনের পরিমাণ না কমান তাহলে একটা সময়ের পর আপনার এই অসুস্থতা স্ট্রোকের দিকেও নিয়ে যেতে পারে।
পটাশিয়াম জাতীয় খাওয়ার খাওয়া:
পটাশিয়ার শরীরের পক্ষে খুবই উপকারী। পাশাপাশি এটি শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে রাখে। কলা, অ্যাভোকাডো, খেজুর, কমলালেবু, সবুজ সবজি, টক দইয়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম আমাদের হজমের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখে, যার ফলে শরীরে তুলনামূলক কম চাপ থাকে।
নিয়মিত শরীরচর্চা:
নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর এমনিতেই ফিট থাকে। এতে যে ঘাম হয়, তাতে শরীর থেকে অতিরিক্ত নুন বেরিয়ে যায়। এছাড়াও নিয়মিত শরীরচর্চা আমাদের হৃৎপিণ্ডকেও ভাল ভাবে কাজ করতে প্রভূত সাহায্য করে। যার ফলে শরীরে রক্ত চলাচলের মাত্রা একদম ঠিকঠাক থাকে।
মদ্যপান ও ধুমপানে নিয়ন্ত্রণ:
অ্যালকোহল উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা ১৬ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। তাই উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা যাঁদের রয়েছে, তাঁদের মদ এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। আর শরীরে নিকোটিনের পরিমাণ কম থাকলে ফুসফুস এমনিতেই ভাল থাকে। অ্যালকোহল রক্তচাপের মাত্রা খুব তাড়াতাড়ি বাড়িয়ে দিতে পারে।
কার্ব জাতীয় খাবার কমানো:
শরীরে কার্ব জাতীয় খাবার প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত নয়। পরিমাণ মতো খান। কারণ অতিরিক্ত কার্ব জাতীয় খাবারে রক্তচাপ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে, সঠিক পরিমাণে খেলে এই কার্ব আপনার রক্ত সঞ্চালনের প্রক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রিত রাখে।
আরও পড়ুন: Symptoms of PCOS: সময় থাকতে পিসিওএসের প্রাথমিক উপসর্গগুলি সম্পর্কে সচেতন হয়ে যান!
আরও পড়ুন: Eye Care Routine: চোখকে সুরক্ষিত রাখার জন্য এই নিয়মগুলো মেনে চলুন নয়তো বিপদের সম্ভাবনা বাড়বে!
আরও পড়ুন: Yoga: সঠিক সময়ে যোগাসন করেন তো? তা না হলে ফল কিন্তু মিলবে না!