দোরগোড়ায় শীত। তাই আলমারির কোণ থেকে ইতোমধ্যেই গরম জামাকাপড় বের হতে শুরু করে দিয়েছে। প্রতিটি ঋতুর সঙ্গে খাবারের একটা সম্পর্ক রয়েছে। মরসুমি ফল ও সবজি খাওয়ার কথা বারবার চিকিত্সকরা পরামর্শ দেন। বিভিন্ন ধরনের ফল, শাকসবজি যেমন গাজর. আপেল, কমলালেবু, কিুই ও শীতকালীন ফল-সবজি প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। কিন্তু জানেন কী, কেন মরসুমি ফল ও শবজি খাওয়া উচিত?
মরসুমি ফল-সবজি খাওয়ার উপকারিতা
শরীরের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে- শরীরের স্বাভাবিক পুষ্টির চাহিদা ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে পরিবর্তিত হতে থাকে। ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ঠান্ডা লেগে যাওয়া, ফ্লু ও অন্যান্য স্বাস্থ্যগত অবস্থার জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়। রোগ ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য প্রচুর ফল ও সবজি খাওয়া দরকার। শীতকালে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফলের উৎস যেমন কিউই, আপেল, সাইট্রাস ফল প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায়। এগুলি শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি এবং সুরক্ষা প্রদান করতে সহায়তা করতে পারে।
সস্তায় পুষ্টিকর- প্রাকৃতিকগতভাবেই মরসুমি ফল ও সবজি চাষ করা হয়। প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাওয়ায় চাহিদা ও সরবরাহের একটি সুস্থ সামঞ্জস্য থাকে। সস্তায় পুষ্টিকর খাবার পাওয়া যায় এই সময়েই। শীতকালে ফল ও সবজি সহজেই পাওয়া যায়।
তাজা ফল ও সবজির সম্ভার- মরসুমি ফল ও শাকসবজি এই সময় অন্যান্য সময়ের থেকে বেষি তাজা বাজার থেকে পাওয়া যায়। পুষ্টচির মান ও সতেজতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
স্বাদও চমত্কার– গরম গরম তৈরি হওয়া একটি পিত্জা আর বাসি পিত্জার যা স্বাদ, তেমন একটি বহু পুরনো ও নতুন ফল ও সবদির গুণ-স্বাদ তার দশগুণ ভাল হতে বাধ্য়। মরসুমি ফল ও সবজি সাধারণত তাজা ও পাকা হয়। যা স্বাদের দিক থেকে অনেকটাই উন্নত।
আরও পড়ুন: Vitiligo: শ্বেতীরোগ ছোঁয়াচে! সমাজে চিরাচরিত ভুল ধারণাগুলি এখনই বন্ধ করা দরকার