Facial Eczema: শীতে ত্বকের খোসা ওঠা একজিমার লক্ষণ হতে পারে! রইল ৬ সহজ ঘরোয়া টোটকা

Skincare Tips: চুলকানি, প্রদাহ এবং মুখের একজিমা বা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের উপসর্গ কিছুতেই কমছে না? রইল ঘরোয়া অথচ দুর্দান্ত কার্যকরী সহজ কিছু প্রতিকার!

Facial Eczema: শীতে ত্বকের খোসা ওঠা একজিমার লক্ষণ হতে পারে! রইল ৬ সহজ ঘরোয়া টোটকা
মুখের একজিমা বা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের উপসর্গ কিছুতেই কমছে না?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 16, 2023 | 6:00 AM

একজিমা (Eczema) বা অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস (Atopic Dermatitis) অত্যন্ত অস্বস্তিকর ত্বকের অসুখ। আক্রান্ত ব্যক্তির ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। খোসা ওঠে। এমনকী ত্বকে ফাটল, রক্তপাত এবং সংক্রমণও দেখা দেয়। এই রোগের চিকিৎসা যথেষ্ট জটিল। তবে বেশ কিছু ঘরোয়া উপায় (Home Remedis) রয়েছে যেগুলির সাহায্যে চুলকানি, প্রদাহ এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে আনা যায়। চিকিৎসকরা বলছেন, একজিমা চিকিত্সার প্রাকৃতিক উপায় হল জীবনযাত্রার পরিবর্তন করা। এছাড়া তাঁরা এও বলছেন, শীতকালে অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিসের লক্ষণগুলি সবচেয়ে খারাপ হতে থাকে। এই সময় তাই ত্বকের শুষ্কভাব এড়াতে নারকেল তেল এবং অ্যালোভেরা জেলের মতো প্রাকৃতিক উপকরণগুলি ত্বকের শুষ্কভাব দূর করতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে ফাটা ত্বককে জল ধরে রাখতেও সাহায্য করে। তাছাড়া, উপকরণগুলি ত্বকের প্রদাহ হ্রাস করে ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে এবং ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিও দমন করে ত্বকে সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।

মুখের একজিমার উপসর্গ কমানোর ঘরোয়া উপায়গুলি হল—

১) আপেল সাইডার ভিনিগার: ত্বকের একজিমা সহ নানা সমস্যার ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে জনপ্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হয় আপেল সাইডার ভিনিগার। প্রশ্ন হল একজিমার উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে কীভাবে ব্যবহার করবেন আপেল সাইডার ভিনিগার?

১ কাপ গরম জলে ১ টেবিল চামচ আপেল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। এবার খানিকটা তুলো ওই ভিনিগার মেশানো জলে ডোবান। এবার এই ভিনিগার দেওয়া তুলো ত্বকের ফাটা অংশে লাগিয়ে দিৱ।

মোটামুটি ঘণ্টা তিনেক ওই তুলো বা ড্রেসিং ক্ষতস্থান রেখে দিন।

২) অ্যালোভেরা: অ্যালভেরা জেলের প্রলেপ একজিমার উপসর্গ সারতে দারুণ কার্যকরী। এছাড়া অ্যালোভেরা জেল ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

৩) কলয়েডাল ওটমিল: অ্যাভেনা স্যাটিভা নামেও পরিচিত এই উপকরণ। এই উপাদানের উৎস ওটস। ওটস পিষে তার পর সেদ্ধ করে ত্বকে ব্যবহার করা হয়। ২০১৫ সালের এক সমীক্ষা অনুসারে, কলয়েডাল ওটমিল থেকে তৈরি লোশনগুলিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যর প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এর ফলে ত্বকের খোসা ওঠা, রুক্ষতা, ত্বকের শুষ্কতা, চুলকানির তীব্রতা কমাতে পারে কলয়েডাল ওটমিল।

অ্যাডিটিভ এবং সুগন্ধিহীন ননকোলয়েডাল ওটমিলযুক্ত লোশন এবং ক্রিম ত্বকে প্রয়োগ করুন।

৪) নারকেল তেল: উপকারী ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ নারকেল তেল ত্বকে আর্দ্রতা যোগ করে। এর ফলে দূর হয় শুষ্ক ত্বকের সমস্যা। ফলে একজিমার উপসর্গ হ্রাস করতেও সাহায্য করে নারকেল তেল। এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে ৮ সপ্তাহ ধরে তেল ব্যবহার করলে শিশুদের ত্বকে একজিমার উপসর্গ অনেকখানি দূর হয়। স্নানের পরে এবং দিনে বেশ কয়েকবার ত্বকে ঠান্ডা ভার্জিন নারকেল তেল ব্যবহার করুন। এমনকি রাত ভর ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ঘুমানোর আগে ত্বকে নারকেল তেল মাখুন। তবে নারকেল তেল থেকে অ্যালার্জি থাকে তবে নারকেল তেল ব্যবহার করবেন না।

৫) মধু: সরাসরি একজিমা-আক্রান্ত ত্বকে মধু ব্যবহার করা যায় নিশ্চিন্তে। মধু একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা যেমন বজায় রাখে তেমনই সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে এবং দ্রুত ত্বকের সমস্যা নিরাময়েও সাহায্য করে। মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট যা যুগ যুগ ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে! তাই আক্রান্ত স্থানে মধু দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষে নিন। খুব ভালো হয় স্নানের কয়েক ঘণ্টা আগে ত্বকে মধু ব্যবহার করতে পারলে।

৬) চা গাছের তেল: এই তেল একজিমা সহ ত্বকের নানবিধ সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। এই তেলের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ক্ষত-নিরাময় বৈশিষ্ট্যগুলি ত্বকের শুষ্কতা এবং চুলকানি উপশম করতে সাহায্য করে। চা গাছের তেলকে বাদাম বা অলিভ অয়েলের সঙ্গে মিশিয়ে তারপর ত্বকে লাগান।

চিকিৎসকরা বলছেন, একজিমা বিভিন্ন ধরনের হয়। তবে সবচেয়ে সাধারণ প্রকারটি অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস নামে পরিচিত। এই রোগের চিকিৎসায় চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে নেওয়ার পাশাপাশি সহজ অথচ কার্যকর ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে।

(Disclaimer: এখানে উপলব্ধ তথ্য শুধুমাত্র বিশ্বাস এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। এখানে উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ যে টিভিনাইন বাংলা কোনও বিশ্বাস বা তথ্য নিশ্চিত করে না। কোনও তথ্য বা বিশ্বাস অনুশীলন করার আগে একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)