Antibiotics: বৃষ্টিতে ভিজে সর্দি-কাশি হলেই অ্যান্টিবায়োটিক? ঘরোয়া টোটকায় সুস্থ থাকার পরামর্শ চিকিৎসকের

নিম্নচাপের জোড়া ফলায় আপাতত কয়েকদিন বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ। আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে বাড়ে একাধিক রোগ সমস্যা। যে কোনও সংক্রমণই জাঁকিয়ে বসে বর্ষায়। পেটের সমস্যা, হজমের অসুবিধে, ত্বকে সংক্রমণ—এসব তো থাকেই। পাশাপাশি জ্বর, সর্দি, ঠাণ্ডা লাগা, গলা ব্যথার সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। একই সঙ্গে বাড়ছে কোভিডও। জ্বর হলেই যে সকলে কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন, এমন নয়। ফলে তা ঠিক সময়ে ধরাও পড়ছে না। যেহেতু কোভিডের একটি মুখ্য উপসর্গ হল গলাব্যথা, তা-ই সামান্য গলাব্যথায় অনেকেই ভয় পাচ্ছেন। এরপর কেউ কোভিড পরীক্ষা করাচ্ছেন, তো কেউ নিজের থেকেই অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাচ্ছেন। তবে কথায়-কথায় অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? বিষয়টি নিয়ে TV9 বাংলার তরফে কিছু প্রশ্ন রাখা হয়েছিল কান-নাক-গলার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সৌমিত্র কুমারের সঙ্গে।

সামান্য সর্দি-কাশিতেই গলাব্যথা, এদিকে কোভিডও হচ্ছে কী করণীয়? মরশুমি সর্দি-কাশির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তাই কোভিড হল কি না, টেস্ট করানো হয়েছে কি না, এসব প্রশ্নের কোনও প্রয়োজন নেই। কোভিড ভাইরাস এখন আর পাঁচটা ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের মতোই। সব ভাইরাসের প্রকৃতি এক, উপসর্গও একই। যে কোনও জ্বরকেই এখন কোভিড হিসেবে ধরুন। তিন দিন নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখুন। মাস্ক পরুন, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন—তাতেই কাজ হবে। অযথা কোনও ওষুধ নয়।

অ্যান্টিবায়োটিক কখন খাওয়া উচিত? চিকিৎসক যদি খেতে বলেন, একমাত্র তবেই খান। নিজের থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না। প্রয়োজনে প্যারাসিটামল খেতে পারেন। ঘরোয়া কিছু টোটকা যেমন বারবার ভেপার নেওয়া, গরম জলে নুন ফেলে গার্গল… এসবই করুন। অন্তত তিন দিন বিশ্রাম নিন।

গলা ব্যথা হলে? গলা ব্যথা হলে গার্গল করুন। সব গলা ব্যথাই কোভিড নয়। কথায়-কথায় অ্যাজিথ্রোমাইসিন খাবেন না। অ্যাজিথ্রোমাইসিন এখন আর অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে কাজে আসে না। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবেই কাজে লাগানো হয়। খুব গলা ব্যথা হলে তিন দিন ব্যথার ওষুধ খান, সঙ্গে প্যারাসিটামল। তবে আজকাল গলাব্যথার ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয় না। গার্গল, ভেপারেই কাজ হয়ে যায়।

গরম জলে নুন ফেলে গার্গল কতটা যুক্তিযুক্ত? গরম জলে সবসময় বিটাডিন দিয়েই যে গার্গল করতে হবে, এমনটা নয়। গরম জলে নুন দিয়ে গার্গল করলে হিট ট্রান্সফার ভাল হয়। তবে ভাপ (Stem) নেওয়ার ক্ষেত্রে জলে কোনও কিছুই মেশাবেন না। গরম জলে যেভাবে মাথা ঢেকে ভাপ নিতে বলা হয়, তাই-ই করুন।