Rabies: কুকুর কামড়ানোর কতক্ষণের মধ্যে টিকা নেওয়াটা জরুরি?
Rabies: কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হয় এটা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। এই রোগটি জলাতঙ্ক ভাইরাস দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। পশুর লালার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। কামড় বা চাটার মাধ্যমে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে।

মাত্র ৫ বছরের শিশু লক্ষ্মী। আর পাঁচটা বাচ্চার মতোই বড় হচ্ছিল। বাবা-মায়ের নয়নের মণি। বিড়াল-কুকুরের প্রতি ছিল অগাধ ভালবাসা। কিন্তু সেই ভালবাসা যে কাল হয়ে দাঁড়াবে তা বোধহয় ভাবতেও পারেনি ওই বাচ্চা মেয়েটা বা তাঁর বাবা-মা কেউই।
২৯ মার্চ রাস্তায় একটি কুকুরকে আদর করতে গেলে তাকে কামড়ায় সেই কুকুরটি। তৎক্ষণাৎ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়।
কিন্তু সেই হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই ঢলে পড়ে ছোট্ট লক্ষ্মী। সদর হাসপাতালে পৌঁছলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃত্যুর কারণ হিসাবে জলাতঙ্ক রোগের টিকা গ্রহণে দেরী বলে জানান চিকিৎসকরা।
কুকুর কামড়ালে জলাতঙ্ক হয় এটা খুবই সাধারণ একটি বিষয়। এই রোগটি জলাতঙ্ক ভাইরাস দ্বারা ছড়িয়ে পড়ে শরীরে। পশুর লালার মাধ্যমে মানুষের মধ্যে সংক্রমিত হয়। কামড় বা চাটার মাধ্যমে ভাইরাসটি মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এই ভাইরাস মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে। ক্ষতের মাধ্যমে জীবাণু মস্তিষ্কে পৌঁছালে এর লক্ষণগুলি দেখা দিতে শুরু করে। একবার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসা কঠিন হয়ে ওঠে।
রাস্তায় কুকুর কামড়ালে কী করবেন?
কুকুর কামড়ালে ৩টি কাজ করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
১ – যে জায়গায় কুকুর কামড়েছে সেই জায়গা ভাল করে ওয়াশ করা। প্রথমে ১৫ মিনিট জলের নীচে জায়গাটি ধুয়ে ফেলুন। যদি খুব গভীর ক্ষত না হয় তাহলে সাবান বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্ষেত্রে, প্রতিরোধমূলক ওষুধের কোন প্রয়োজন নেই।
২ – ত্বকে ছোটখাটো আঁচড় থাকলে যদি রক্তপাত না হয় তাহলে ওই জায়গাটি ভালোভাবে ধুয়ে নিন। অ্যান্টি সেপটিক লাগাতে পারেন। টিকা নেওয়াটা জরুরি।
৩ – যদি কুকুর কামড়ানোর পরে সেই জায়গায় রক্তক্ষরণ হয় এবং বড় ক্ষত তৈরি করে বা চেটে থাকে তাহলে ওই জায়গা ভালভাবে ধুয়ে ফেলুন। এবার অ্যান্টি-র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবুলিন এবং টিকা নেওয়া উচিত।
প্রাথমিক ভাবে যদি কোন হিংস্র প্রাণী কামড়ায়, তাহলে কামড়ের জায়গাটি সাবান বা ডিটারজেন্ট দিয়ে ১৫ মিনিট ধরে চলমান জলের নিচে ধুয়ে ফেলুন। খালি হাতে ধোবেন না। সেদিকে খেয়াল রাখবেন। ইমিউনোগ্লোবুলিন ইনজেকশনের পরেই ক্ষত সেলাই করা হয়।
এই সব ক্ষেত্রে সাধারণত দুই ধরণের টিকা দেওয়া হয়। এক পেশীতে ইনজেকশন দেওয়া হয়। দুই, ত্বকে ইনজেকশন দেওয়া হয়। উভয়ের ফলাফল একই। নাভির চারপাশে আগের মতো কোনও ইনজেকশন নেই। প্রাপ্তবয়স্কদের পেশীতে এবং শিশুদের উরুর ভেতরের অংশে ইনজেকশনটি দেওয়া হয়। টিকা নিতে যাতে দেরী না হয় সেই দিকটা খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি।
