AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

এই ৫ নিয়ম মানলেই হবে, যত পুরনো ব্যথাই হোক না কেন, ৭ দিনে মুক্তি

Knee Pain: হাঁটুর ব্যথা অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে বড় সমস্যায় পরিণত হতে পারে। তাই ব্যথা শুরু হলে প্রাথমিক যত্ন নিন, নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। হাঁটুর যত্ন মানেই সুস্থ ও সক্রিয় জীবন।

এই ৫ নিয়ম মানলেই হবে, যত পুরনো ব্যথাই হোক না কেন, ৭ দিনে মুক্তি
Follow Us:
| Updated on: May 31, 2025 | 11:58 PM

হাঁটুর ব্যথা একটি সাধারণ সমস্যা, যা যেকোনো বয়সে হতে পারে। দীর্ঘ সময় বসে থাকা, অতিরিক্ত ওজন, বয়সজনিত কারণ কিংবা চোটের ফলে হাঁটুর জয়েন্টে চাপ পড়ে এবং ব্যথা দেখা দেয়। নিয়মিত কিছু যত্ন ও অভ্যাস পালনের মাধ্যমে হাঁটুর ব্যথা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব। নিচে হাঁটুর ব্যথা কমানোর পাঁচটি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো:

১. ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং করুন নিয়মিত: হাঁটুর চারপাশের পেশি শক্তিশালী হলে তা জয়েন্টে চাপ কমায়। হালকা ব্যায়াম যেমন হাঁটা, সাইক্লিং বা সাঁতার হাঁটুর জন্য খুবই উপকারী। হাঁটু মোড়ানো, লেগ রেইজ বা হ্যামস্ট্রিং স্ট্রেচের মতো ব্যায়াম প্রতিদিন ১৫-২০ মিনিট করলে হাঁটুর গঠন বজায় থাকে এবং ব্যথা কমে।

২. গরম ও ঠাণ্ডা সেঁক প্রয়োগ: হাঁটু ফুলে গেলে বা ব্যথা হলে প্রথম ২৪-৪৮ ঘণ্টা ঠাণ্ডা সেঁক (বরফ প্যাড) দিন, এতে প্রদাহ কমে যায়। পরে ব্যথা স্থায়ী হলে হালকা গরম সেঁক দিলে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং ব্যথা উপশম হয়। তবে কখন গরম এবং কখন ঠাণ্ডা ব্যবহার করবেন তা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী করা ভালো।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন: অতিরিক্ত ওজন হাঁটুর জয়েন্টে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে, যার ফলে ব্যথা বাড়তে পারে। তাই স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম এবং পর্যাপ্ত পানি পান করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখলে হাঁটু স্বস্তিতে থাকে।

৪. সঠিক জুতো ও চলাফেরা: মোটা সোলযুক্ত নরম জুতো হাঁটুর উপর চাপ কমায়। পাশাপাশি বসে বা দাঁড়িয়ে ওঠার সময় হঠাৎ ঝুঁকে না পড়ে ধীরে ও সঠিক ভঙ্গিতে চলাফেরা করুন। সিঁড়ি ওঠানামা সীমিত করুন এবং প্রয়োজনে হাঁটুর সাপোর্ট বা হাঁটু বেল্ট ব্যবহার করতে পারেন।

৫. খাদ্য ও পরিপূরক উপাদান: হাঁটুর জয়েন্ট ভালো রাখতে ভিটামিন D, ক্যালসিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার যেমন দুধ, ডিম, মাছ, বাদাম ও শাকসবজি খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে গ্লুকোসামিন বা কন্ড্রয়েটিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।

হাঁটুর ব্যথা অবহেলা করলে তা ভবিষ্যতে বড় সমস্যায় পরিণত হতে পারে। তাই ব্যথা শুরু হলে প্রাথমিক যত্ন নিন, নিয়মিত অভ্যাস গড়ে তুলুন এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না। হাঁটুর যত্ন মানেই সুস্থ ও সক্রিয় জীবন।