Hyperpigmentation: হাইপারপিগমেনটেশন মানেই কি শুধু ট্যান? জানুন এর আসল কারণগুলি কী কী

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Sep 23, 2021 | 10:03 AM

হঠাৎ করেই ত্বকে ওপর কালচে ভাব দেখছেন? কিংবা ত্বকের কোনও একটি অংশ সাদা হয়ে যাচ্ছে? ত্বকের বর্ণের বৈষম্যকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় হাইপারপিগমেনটেশন। এই হাইপারপিগমেনটেশন যে শুধু মুখের ত্বকের ওপর দেখা যাবে তা নয়; শরীরের যে কোনও অঙ্গে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Hyperpigmentation: হাইপারপিগমেনটেশন মানেই কি শুধু ট্যান? জানুন এর আসল কারণগুলি কী কী

Follow Us

হঠাৎ করেই ত্বকে ওপর কালচে ভাব দেখছেন? কিংবা ত্বকের কোনও একটি অংশ সাদা হয়ে যাচ্ছে? ত্বকের বর্ণের বৈষম্যকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় হাইপারপিগমেনটেশন। এই হাইপারপিগমেনটেশন যে শুধু মুখের ত্বকের ওপর দেখা যাবে তা নয়; শরীরের যে কোনও অঙ্গে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর ফলে ত্বক অতিরিক্ত কালচে বা অতিরিক্ত সাদা হয়ে যায়। অর্থাৎ হাইপারপিগমেনটেশন হলে আপনার আসল গায়ের রঙ পুরোপুরি বা আংশিক বা কোনও একটি জায়গায় রঙ পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

ত্বকের এই হাইপারপিগমেনটেশন হওয়ার পিছনে একাধিক কারণ রয়েছে। বংশগত কারণে অনেক সময় ত্বকের এই সমস্যা দেখা দেয়। জন্মের পরই অনেকের ত্বকে এই সমস্যা থাকে। এই ত্বকের রঙ পরিবর্তন এবং প্যাচগুলির বিকাশের জন্য বংশগত কারণও দায়ী হতে পারে। ত্বকের নানা রকম সমস্যার জন্যও এই রোগ দেখা দেয়। এমন কিছু ত্বকের রোগ রয়েছে যার কারণে ত্বকের রোগ কালো বা সাদা হয়ে যায়।

ভিটামিনের অভাবও ত্বকের এই হাইপারপিগমেনটেশনের জন্য দায়ী। শরীরে ভিটামিন এ, ই, সি এবং বি কমপ্লেক্সের মতো প্রয়োজনীয় ভিটামিনগুলির অভাব ত্বকের ওপরও প্রভাব ফেলে। ভিটামিনের অভাবের ফলে শুধু হাইপারপিগমেনটেশন নয়, বরং আরও অনেক রোগ দেখা দেয়। এর ফলে ত্বক রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। তাছাড়া পেটের সমস্যা যদি থাকে তাহলেও তার ছাপ ত্বকের ওপর লক্ষ করা যায়। অনেক সময় লিভারে গন্ডগোল হলে ত্বকে হাইপারপিগমেনটেশনের সমস্যা দেখা দেয়।

শরীরে হরমোনের পরিবর্তনও এই সমস্যার জন্য দায়ী। বিশেষত গর্ভাবস্থার সময় মহিলাদের মধ্যে যে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে অনেক সময় সেই কারণেও গর্ভাবতী মহিলাদের মধ্যে এই হাইপারপিগমেনটেশনের সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া এই হাইপারপিগমেনটেশনের আরও একটি সাধারণ কারণ হল সূর্যালোক। সূর্যালোকের কারণে আমাদের ত্বকে অত্যধিক পরিমাণে মেলোনিন তৈরি হয়, যার ফলে ত্বক কালো হয়ে যায়। সাধারণ ভাষায় আমরা একে ট্যান পড়া বলে থাকি।

প্রতিরোধ

ট্যান ছাড়া অন্যান্য সমস্যা গুলিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। তবে সুস্থ থাকতে অবশ্যই জীবনধারার পরিবর্তন করা উচিত। যেমন ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই সমৃদ্ধ ফল ও শাক সবজি খান প্রচুর পরিমাণে। তৈলাক্ত ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন। জল শরীরের অনেক সমস্যা সমাধান করে। সুতরাং প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন এবং শরীরকে হাইড্রেট রাখুন। বাড়ির বাইরে বেরনোর আগে ত্বকের ওপর সানস্ক্রিম প্রয়োগ করুন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমরা মুখ ছাড়া শরীরের অন্য কোথাও সেভাবে সানস্ক্রিম প্রয়োগ করিনা, এই ভুলটা ভুলেও করবেন না।

আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত! কীভাবে নিজেকে সামলাবেন, জেনে নিন

আরও পড়ুন: জানেন কি মৌখিক স্বাস্থ্যের ওপর দারুণ প্রভাব ফেলে পান গাছের পাতা?

Next Article