AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Diabetes: ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত! কীভাবে নিজেকে সামলাবেন, জেনে নিন

গবেষণায় দেখা গেছে যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদরোগ বা স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা নন-ডায়াবেটিসের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি।

Diabetes: ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত! কীভাবে নিজেকে সামলাবেন, জেনে নিন
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Sep 23, 2021 | 8:50 AM
Share

অনেকেই জানেন, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগ, উভয়ই এক অপরের সঙ্গী।সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, এই দুটির মধ্য়ে কোনও একটিকে উপেক্ষা করা মানেই জীবনের ঝুঁকি নেওয়ার সামিল। ডায়াবেটিস কীভাবে হৃদরোগের সঙ্গে সংযুক্ত, তা সেই ব্যাখ্য়া দিতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ‘ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ পরস্পর সংযুক্ত। ডায়াবেটিস হৃদযন্ত্রের ভাস্কুলেচারকে প্রভাবিত করে এন্ডোথেলিয়াল ডিসফেকশনের দিকে পরিচালিত করে, হৃদপিন্ডে এক ধরনের ব্যাথা সৃষ্টি করে এবং রক্ত ​​জমাট বাঁধায়, যা হঠাৎ জমাট বাঁধতে পারে। এই জমাট রক্তে হৃদযন্ত্রে রক্ত ​​সরবরাহ বন্ধ করতে পারে, যা হার্ট অ্যাটাক করতে পারে। ‘

জীবনধারা পরিবর্তন

গবেষণায় দেখা গেছে যে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির হৃদরোগ বা স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা নন-ডায়াবেটিসের চেয়ে দ্বিগুণ বেশি। তবে কিছু নির্দিষ্ট জীবনধারা অভ্যাস গ্রহণ করলে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করা যেতে পারে এবং হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যের উন্নতি করা যেতে পারে। সেই পরিবর্তনগুলি ডায়াবেটিসকে আরও ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে। যত তাড়াতাড়ি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে, হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা তত কম হবে।

সঠিক ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন

স্থূলতা ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগ উভয় ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্যে একটি। যদি ওজন বেশি হয়, আপনার ট্রাইগ্লিসারাইড এবং রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর জন্য আপনার জীবনে কিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করা উচিত। নিয়মিত শরীরচর্চা, কিংবা সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন। যোগ-ব্যায়াম, সাঁতার কাটা, নাচ করা, হাঁটা, দৌড় দেওয়া এইগুলি করতে পারেন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া

স্বাস্থ্যকর খাদ্য খাওয়া ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। ফল এবং শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন, গোটা শস্য সমৃদ্ধ খাবার খান। প্রচুর জল পান করুন, চিনি এবং অ্যালকোহলের মাত্রা কমিয়ে দিন এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।

সচল ও সক্রিয় থাকার চেষ্টা করুন

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিয়মিত ব্যায়াম করলে স্বাস্থ্যের সব দিক নিয়ন্ত্রণে থাকে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ চর্চাও বটে। শরীরচর্চা ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় (এই হরমোন দেহের কোষগুলিকে শক্তির জন্য রক্তে শর্করা ব্যবহার করার অনুমতি দেয়), যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। শারীরিক অনুশীলন রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। প্রতি সপ্তাহে ১৫০ মিনিট শরীরচর্চার টার্গেট রাখুন।

আরও পড়ুন: Viral fever: অজানা জ্বর থেকে কীভাবে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখবেন? হাসপাতালে কখন নিয়ে যাবেন?