Viral fever: অজানা জ্বর থেকে কীভাবে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখবেন? হাসপাতালে কখন নিয়ে যাবেন?

গত বছর কোভিড ১৯ অতিমারি ও লকডাউনের কারণে হাসপাতালগুলিতে অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংথ্যা অত্যন্ত নগন্য ছিল। পোকামাকড়বাহিত রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত জুলাই ও নভেম্বরের মধ্যে বেশি শিশু আক্রান্ত হয়েছে।

Viral fever: অজানা জ্বর থেকে কীভাবে বাচ্চাদের সুরক্ষিত রাখবেন? হাসপাতালে কখন নিয়ে যাবেন?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 22, 2021 | 5:18 PM

উত্তর প্রদেশের ফিরোজাবাদ ও মথুরায় বেশ কিছুদিন ধরে রহস্যজনকভাবে ভাইরাল জ্বরের কারণে শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর খবর সামনে এসেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের এই রহস্যজনক জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যে শিশুমৃত্যু হয়েছে, তারমধ্যে একমাসের মধ্যে প্রায় ১০০জনেরও বেশি শিশু প্রাণ হারিয়েছে। ইউপির অন্যান্য জেলা কানপুর, প্রয়াগরাজ ও গাজিয়াবাগ থেকেও এই অজানা জ্বরের ঘটনা জানা গিয়েছে। এই ভাইরাল জ্বর কি শুধু উত্তরপ্রদেশের মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

একেবারেই নয়। বিহার, দিল্লি, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ ও পশ্তিমবঙ্গে ইতোমধ্যেই শিশুদের জ্বর দেখা দিয়েছে। তবে এই রাজ্য এখনও কোনও শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। অনেকেই মনে করছেন, এই জ্বর ঋতুকালীন পরিবর্তনের জন্য হচ্ছে। তবে সাধারণ ভাবে এটি লক্ষ করা গিয়েছে, ৬-৮ বছরের বাচ্চাদের শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ দ্রুত ঘটছে। কোভিড-১৯ লকডাউন তুলে নেওয়ার পর থেকেই শিশুরা বাইরের জগতের সংস্পর্শে আসায় যে কোনও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। দ্বিতীয় কারণ হল, বাসি খাবার ও অপরিস্কার জলে প্রচুর পরিমাণে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ইনফ্লুয়েঞ্জা, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া থেকে স্ক্রাব টাইফাস, অগস্ট মাস থেকে এই ধরনের ভাইরাল সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা দিয়েছে।স বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ডেঙ্গি, চিকুনগুনিয়া ও ম্য়ালেরিয়ার মতো পোকামাকড়বাহিত রোগ বর্ষাতেই বেশি দেখা যায়। করোনা কালে বর্ষায় সেই সংক্রমণ আরও বেশি করে ছড়িয়ে পড়ছে। ডেঙ্গি ও চিকুনগুনিয়া এডিস মশাবাহিত রোগ, যা পরিস্কার জলেতেও প্রজনন বিস্তার করে। অ্যানোফিলিস মশা, যা ম্য়ালেরিয়া রোগ ছড়ায়। তাজা ও নোংরা বা কর্দমাক্ত জল- উভয় জলেই বংশবিস্তার করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এই সমস্ত সংক্রমণের জেরে দুর্বল ও অলস তৈরি করে। রোগীর শরীর ব্যাথায় অস্থির হে যায়। এই জ্বরগুলির কেবলমাত্র লক্ষণীয় চিকিত্‍সা হল কখনওই ডিহাইড্রেশন না হতে দেওয়া।

ভাইরাল ফ্লু ছাড়া আমাদের দেশে ডেঙ্গির প্রভাব রয়েছে। প্রতিদিন শিশুদের মধ্যে ৫-৬টি ডেঙ্গিপ পজিটিভ হাসপাতাগুলিতে আসছে। বেশিরভাগ শিশুদের জ্বর, শরীরের ব্যাথা, পেটের লক্ষণ ও রক্ত পরীক্ষা করে রোগ নির্ণয় করা হচ্ছে।

গত বছর কোভিড ১৯ অতিমারি ও লকডাউনের কারণে হাসপাতালগুলিতে অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের সংথ্যা অত্যন্ত নগন্য ছিল। পোকামাকড়বাহিত রোগের ক্ষেত্রে সাধারণত জুলাই ও নভেম্বরের মধ্যে বেশি শিশু আক্রান্ত হয়েছে। এই সমস্যাটি চলতি বছরের ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। আপনার শিশুকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখবেন?

– সতর্ক ও সচেতন থাকা আবশ্যক। – মশা প্রজননের স্থানগুলিতে ভালভাবে পরিস্কার করা উচিত। বাড়িতে কোনও স্থায়ী জল মজুত করে রাখবেন না। বৃষ্টির জল যেখানে যেখানে জমতে পারে, সেইসব জায়গাগুলি বুজিয়ে ফেলুন বা তুলে ফেলুন। – শিশুদের বাইরে বের করতে হলে মশা তাড়ানোর ওষুধ ব্যবহার করুন। – শিশুদের বাসি ও অপরিচ্ছন্ন জল দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সন্তানকে কখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত

যে কোনও রহস্যজনক রোগ বা জ্বর ৩-৪ দিনের বেশি হলে অবশ্যই চিকিত্‍সককে জানান। যদি কোনও শিশুর ১০৩- ১০৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে জ্বর থাকে, জ্বরের পাশাপাশি খাবার বা তরল কোনও কিছু মুখে না তুললে, চরম ব্যাথায় অনবরত কেঁদেই চলেছে, গায়ে-হাতে র‍্যাস বের হলে এবম প্রস্রাবও কম হলে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে ভরতির ব্যবস্থা করুন।

আরও পড়ুন: Children’s Health: আপনার সন্তানের বিকাশের জন্য বেছে নিন এই খাবারটিকে!