R G Kar Case: ‘কী হয়েছে আপনার থেকে ভাল আর কেউ জানে না…বলুন’, বিচারক একথা বলতেই মাথা নীচু করে সঞ্জয় বলে দিলেন সবটা…
R G Kar Case: বিচারক তখন প্রশ্ন করেন, "কী হয়েছে আপনার থেকে ভালো আর কেউ জানে না।" বিচারক বলেন, "যা তথ্য এসেছে, সব আপনার বিরুদ্ধেই। এরপর আমরা আর কিছু করতে পারিনা।" কাঠগড়ায় মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সঞ্জয়।
কলকাতা: সঞ্জয় রাইয়ের কি ফাঁসি হবে নাকি যাবজ্জীবন? শিয়ালদহ আদালতের ফার্স্ট জাজ অনির্বাণ দাসের পেনের খোঁচায় কোন সাজা বেরোয়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা বাংলা। আজ, সোমবার আক্ষরিক অর্থেই সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণা দিন। কিন্তু তার আগেও শিয়ালদহ আদালতের ২১০ নম্বর রুমে টান টান উত্তেজনা। প্রথম পর্যায়ে এক প্রস্ত চলল সওয়াল জবাব। সওয়াল করলেন সঞ্জয় রাই, তাঁর আইনজীবী, সিবিআই-এর আইনজীবী সকলেই। এদিনও বিচারকের সামনে সঞ্জয় সওয়াল করেন সে নির্দোষ। তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। এক্ষেত্রেও তার হাতিয়ার সেই রুদ্রাক্ষের মালা। সে বলে, আদালতে আসার পরই সে জানতে পারে, এ ক’দিনে এত কিছু ঘটে গিয়েছে। অনেক প্রমাণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে, সে নিজেও পরে শুনেছি। তার বক্তব্য, কিন্তু এত কিছু ঘটে গেল, নষ্ট হয়ে গেল, তাহলে তার গলার রুদ্রাক্ষের মালা গেল কোথায়? সঞ্জয় বলে, “আমাকে দিয়ে সাইন করাচ্ছে, লেখাচ্ছে, যা বলছে করি।”
বিচারক তখন প্রশ্ন করেন, “কী হয়েছে আপনার থেকে ভালো আর কেউ জানে না।” বিচারক বলেন, “যা তথ্য এসেছে, সব আপনার বিরুদ্ধেই। এরপর আমরা আর কিছু করতে পারিনা।” কাঠগড়ায় মাথা নীচু করে দাঁড়িয়ে থাকে সঞ্জয়। তারপর বলে, “স্যর, আপনি বিচারক। যে দোষটা আমি করিনি তার জন্য আমাকে জোর করে দোষী সাব্যস্ত করা হল।”
সিবিআই সঞ্জয়ের সর্বোচ্চ সাজা চায়। সে পক্ষে একাধিক সওয়ালও করে। অন্যদিকে, সঞ্জয়ের আইনজীবীর আবেদন, “বিভিন্ন আদালতে মৃত্যুদন্ড সমালোচিত হয়েছে। বিকল্প শাস্তি দিন, এটাই আবেদন।”
বিচারক এরপর একটু সময় চেয়ে নেন। তিনি বলেন, “আমায় রায় দিতে একটু কাজ করতে হবে। ২.৪৫ এ আবার আসুন, এখন ঘর ফাঁকা করে দিন।” এরপর ঘরের ভিতর থেকে একে একে আইনজীবী বাইরে বেরিয়ে আসেন। সঞ্জয়ের কী সাজা হয়, সেটাই দেখার। কিন্তু আদালতের বাইরে চলছে স্লোগান।