COVID And ICMR Study: ভারতীয়দের খাদ্যাভ্যাস, চা এবং কাঁচা হলুদ কমিয়েছে কোভিড মৃত্যু, দাবি ICMR-এর গবেষণায়
COVID 19: গবেষণায় খাদ্যাভ্যাস এবং জনসংখ্যার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর এতেই উঠে আসে মৃত্যু হারের ফারাক কতখানি

সম্প্রতি ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চের এপ্রিল সংস্করণে একটি সমীক্ষা উঠে এসেছে। সেই সমীক্ষা অনুসারে ভারতীয়দের যে খাদ্যাভ্যাস সেই তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, জিঙ্ক, ফাইবার ইত্যাদি বেশি পরিমাণে থাকে। যে কোনও ভারতীয় রান্নাতেই হলুদের ব্যবহার আছে। এছাড়াও ভারতীয়রা সকালে উঠে নিয়ম করে কাঁচা হলুদ খায়। যে কারণে দেশে কোভিডের তীব্রতা এবং নমৃত্যুহার অনেকটাই কম। প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের মত ঘন জনসংখ্য়ার দেশে কোভিডে মৃত্যু পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় প্রায় ৫-৮ গুণ কম। ভারত, ব্রাজিল, জর্ডন, সুইজারল্যান্ড, সৌদি আরবের মত দেশগুলিতে বিজ্ঞানীরা যৌথভাবে একটি গবেষণা চালান। সেই গবেষণায় দেখা গিয়েছে খাদ্যাভ্যাসের কারণেই এই সব দেশগুলিতে কোভিডে মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। তুলনায় কম জনসংখ্যার পশ্চিমের দেশগুলিতে কোভিড সংক্রমণের হার অনেকটাই বেশি। এমনকী মৃত্যুহারও বেশি।
গবেষণায় খাদ্যাভ্যাস এবং জনসংখ্যার উপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর এতেই উঠে আসে মৃত্যু হারের ফারাক কতখানি। পশ্চিমবঙ্গের ইন্টিগ্রেটিভ ওমিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড বায়োটেকনোলজি ইনস্টিটিউটের সেন্টার ফর জিনোমিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড জিন টেকনোলজির গবেষকরা এবং ট্রান্সলেশনাল হেলথ সায়েন্সেসের পলিসি সেন্টার ফর বায়োমেডিকাল রিসার্চের গবেষকরাও জানিয়েছেন, ভারতীয়দের খাদ্যউপাদানে যে সব সাইটোকাইন থাকে তা কোভিড রুখে দিতে সক্ষম। আর তাই ভারতে জনসংখ্যার নিরিখে মৃত্যুহার অনেকটাই কম। যদিও বিষয়টি নিয়ে আরও জোরদার গবেষণা চালানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
ভারতীয় খাবারের মধ্যে আয়রন, জিঙ্ক, ফাইবার এসব অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। থাকে লাইপোপলিস্যাকারাইড- যা কোভিডের তীব্রতা এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ভারতীয়রা রোজ চা খান। চা এর মধ্যে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। এছাড়াও চায়ের মধ্যে থাকে ক্যাটেচিন, যা প্রাকৃতিক অ্যাটোরভাস্ট্যাটিনের কাজ করে। যা হার্ট ভাল রাখে এবং রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। আর হলুদের ব্যবহারের ফলে ভারতীয়দের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা অনেক বেশি।
হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন নামের একরকম যৌগ, যা কোভিড এবং কোভিডের মৃত্যুহার দুই ঠেকাতে সক্ষম। পশ্চিমের দেশগুলিতে রেড মিট, প্রক্রিয়াজাত খাবার, কফি, অ্যালকোহল, দুগ্ধজাত খাবার- এসবের চল বেশি। যা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। সেই সঙ্গে এই খাবারগুলির মধ্যে থাকে স্ফিংগোলিপিড, পামিটিক অ্যাসিড, LPS-এর মত উপাদান। এই সব সাইটোকোন শরীরের জন্য একেবারে ভাল নয়। এতে ইনটাসাসসেপ্টিভ অ্যাঞ্জিওজেনেসিস, হাইপারক্যাপনিয়া-এর মত রোগের সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সঙ্গে রক্ত শর্করার মাত্রাও অতিরিক্ত হারে বাড়ে।