Healthy Superstition: সমাজে প্রচলিত কিছু কুসংস্কার কিন্তু আপনার জন্য আদপে স্বাস্থ্যকর…
একজন ব্যক্তিকে তার খাবারের প্লেটের চারপাশে গোল করে জল ছিটিয়ে দিতে তো নিশ্চয়ই অনেকেই দেখেছেন। তবে এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা...
আমরা অনেক সময়েই আমাদের প্রতিদিনের কিছু কুসংস্কারকে মেনে চলি। কুসংস্কার তকমা দিয়ে দেওয়ার অনেকগুলো কারণ থাকে। তার মধ্যে একটা হল, আমরা জানি না যে ঠিক কী কারণে এই ধরণের রীতি নীতি মেনে চলা হয়। অধিকাংশ সময়ই আমরা আমাদের শাস্ত্রের গভীরতা বুঝতে ব্যর্থ হয়েছি।
ভুলে গেলে চলবে না, বিজ্ঞান যতদিনে সূর্য এবং পৃথিবীর মধ্যে সঠিক দূরত্ব গণনা করেছে, হনুমান চালিসায় প্রায় ২০০ বছর আগে সঠিক সংখ্যা অনুমান করা হয়েছিল। তাই, যা কিছু ঘটছে তাকে কুসংস্কারের পরিবর্তে অন্ধবিশ্বাস বলাই শ্রেয়। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, আমাদের কিছু ‘অন্ধবিশ্বাস’-এর বৈজ্ঞানিক দিক…
কাটলিতে রূপোর ব্যবহার: আমাদের বাড়িতে রূপোর থালা বাসনের ব্যবহার করতে বলা হয়। এর কোনও আধ্যাত্মিক কারণ নেই। রূপার মধ্যে জীবাণুনাশক অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আগের দিনগুলিতে, যখন পাস্তুরাইজেশন একটি শব্দ ছাড়া আর কিছু ছিল না, তখন থেকেই রূপার এই ব্যবহার চলে আসছে।
কুয়ো কামনা করার ধারণা: আপনারা নিশ্চয়ই দেখে থাকবেন, পুরোহিতরা কুয়োতে মুদ্রা বা কয়েন ফেলে দিতেন। এটাও কুসংস্কার নয়। প্রাচীন ভারতে মুদ্রাগুলি তামার তৈরি ছিল। কুয়ো এবং নদী ছিল শহর বা গ্রামের দৈনিক জলের প্রধান উৎস। RCB সংশ্লেষণ, এনজাইম কার্যকলাপ এবং স্নায়বিক সুস্থতার মতো প্রক্রিয়ায় তামা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইক্রো-পুষ্টি উপাদান। এটি বার্ধক্যকে কমাতে সাহায্য করে এবং বাতের ব্যথার প্রভাবকে কমিয়ে আনতে পারে। এভাবেই, তামার মুদ্রাগুলি জলে ক্ষয় পেতে থাকতো, আর মানুষ সেই জলের মাধ্যমে শরীরে তামার পরিমাণ বাড়াতে পারতো।
কানের লম্বা ছিদ্র করা: কন্যা সন্তানের কানে লম্বা ছিদ্র করা ভারতে একটি সাধারণ প্রচলিত দৃশ্য। নারীত্বকে সংজ্ঞায়িত করার চেয়েও, এই বিষয়ের মধ্যে একটা স্বাস্থ্যকর দিক লুকিয়ে আছে। আকুপাংচারের একটা বড় সুবিধা এই পদ্ধতিতে পাওয়া যায়। নাক আর কানের ছিদ্র আমাদের মানসিক শান্তির জন্যও বিশেষভাবে দায়ী বলে মনে করা হয়। তবে, কানে ছিদ্র করানোর সময় সতর্কতা মেনে চলা প্রাথমিক দায়িত্ব।
ভারতীয় খাদ্যাভ্যাস: একজন ব্যক্তিকে তার খাবারের প্লেটের চারপাশে গোল করে জল ছিটিয়ে দিতে তো নিশ্চয়ই অনেকেই দেখেছেন। এটা কোনওরকম দেবতাকে কিছু উৎসর্গ করা নয়, এটা পোকামাকড় এবং কীটপতঙ্গকে আপনার খাবারের আশেপাশে আসা থেকে আটকানোর একটা সহজ উপায়।
আরও পড়ুন: World Heart Day 2021: আয়ুর্বেদিক উপায়ে হার্টকে রাখুন সুস্থ, পরিবর্তন করুন জীবনধারা!
আরও পড়ুন: Fungi-Based Food: মানসিক অবসাদ বা ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে এই ‘সুপারফুড’ একাই একশো!