Litchi For Diabetes: রোজ লিচু খেলে সুগার বেড়ে যাবে না তো? জেনে নিন পুষ্টিবিদের পরামর্শ
Health Benefits Of Litchi: লিচুর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। যা আমাদের শরীরের জন্য ভাল। এছাড়াও থাকে ফাইবার, ভিটামিন বি-১২। এই সব উপাদান রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
Litchi: শীতের ফল আর গরমের ফলের মধ্যে বেশ কিছু ফারাক রয়েছে। শীতের ফল যেমন দেখতে সুন্দর, রঙিন গরমের ফল তেমনই রসালো। গরম পড়তেই ফলপট্টি ভরে গিয়েছে আম, লিচু, তরমুজের ঝুড়িতে। পথে আছে কাঁঠালও। গরমের সব ফলই খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই এই সব ফলে কিন্তু গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও বেশি। আর তাই যাঁরা ডায়েট করছেন কিংবা যাঁদের সুগারের সমস্যা রয়েছে তাঁরা অনেকেই আম, লিচু, কাঁঠাল এড়িয়ে যান। তবে গরমের ফল জাম সুগার রোগীদের জন্য খুবই ভাল। লিচু দেখতে যেমন সুন্দর তেমন কিন্তু খেতেও ভাল। তবে যাঁদের রক্তে চিনি বেশি অর্থাৎ ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁরাও কি নির্ভয়ে লিচু খেতে পারেন? পুষ্টিবিদ অঞ্জু সুদ যেমন বলছেন লিচুর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি, থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। তবে সুগারের রোগীদের জন্য তা কতখানি কার্যকর দেখে নিন।
লিচুর মধ্যে জলের ভাগ বেশি। অন্তত ৮২ শতাংশই হল জল। তাই গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করতে আদর্শ হল লিচু। এছাড়াও লিচুর মধ্যে ফ্রুকটোজের পরিমাণও বেশি। গরমের দিনে তাপের হাত থেকে রক্ষা করতে লিচুর জুড়ি মেলা ভার। এছাড়াও যে কোনও মরশুমি ফলি শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। লিচুর মধ্যে থাকে ফাইটোকেমিক্যালস। থাকে স্যাপোনিন, স্টিগমারস্টেরল, এপিটিকন, লিউকোসায়ানডিন, মালভিডিন, গ্লাইকোসাইডস এবং প্রোকায়ানডিনস এ ২, এবং বি ২।
সুগারের রোগীরা কি লিচু খেতে পারবে?
লিচুর মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় কিছু পুষ্টিও। এছাড়াও সরীরে প্রয়োজনীয় গ্লুকোজ ও খনিজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই লিচু। আর তাই গরমে সুগারের রোগীদেরও লিচু খেতে বলছেন পুষ্টিবিদরা। কিন্তু মেপে খেতে হবে। অতিরিক্ত খেলে চলবে না। পাকা লাল লিচু হলে তবেই খাবেন। লিচুর মধ্যেকার চিনি চায়াবেটিসের রোগীদের জন্য ততটাও ক্ষতিকারক নয়। কাঁচা লিচু কিন্তু শরীরের জন্য একরকম বিষ। তবে লিচু আর আম একসঙ্গে না খাওয়াই ভাল। এতে ক্যালোরির পরিমাণ যেমন বেশি হয় তেমনই সুগারের মাত্রাও থাকে বেশি। বাজারচলতি লিচি ড্রিংকও এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
লিচুর মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য থাকায় তা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং ফ্রি র্যাডিক্যালসের হাত থেকে শরীর রক্ষা পায়। সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় জানা গিয়েছে, লিচুর মধ্যে এমন কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা বায়োঅ্যাকটিভ যৌগিক ম্যাক্রোফেজগুলির উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে। আর লিচুর মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। সুগার রোগীদের জন্য যা খুবি উপকারী। এছাড়াও বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সুগার খেলে কোলেস্টেরলও বাড়ে না। ফলে স্ট্রেস কম থাকে। আর লিচুর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি কমপ্লেক্স ইনসুলিন উৎপাদনেও সাহায্য করে।