Kidney Problems: প্রচণ্ড গরমে নষ্ট হচ্ছে কিডনি! কীভাবে বাঁচবেন জানুন
Kidney Problems: গরমের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর ফলে শরীরে জলের অভাব হয়। যার ফলে রক্তও ঘন হতে থাকে। এ কারণে শরীরে রক্ত চলাচল কমে যায়। সঠিক রক্ত চলাচলের অভাবে কিডনিতে রক্ত সরবরাহ ঠিকমতো হয় না। এটি কিডনির কাজকর্মকে প্রভাবিত করে।

প্রচণ্ড গরমে এবছর নাজেহাল অবস্থা বঙ্গবাসীর। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি পৌঁছেছে। তাপপ্রবাহও চলছে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ব্রেন স্ট্রোক, হিট স্ট্রোক এবং ডিহাইড্রেশনের মতো ঘটনা বাড়ছে। শুধু তাই নয়, কিডনিও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। গরমের জন্য কিডনি নষ্ট হয়ে রোগীর হাসপাতালে ভর্তির ঘটনাও জানা যাচ্ছে। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে ডায়ালিসিসও করতে হচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে কিডনির যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের জন্য শরীরে জলের ঘাটতি হয়। যার থেকে নানা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। কিডনিও বিকল হচ্ছে। গরমের কারণে কীভাবে কিডনি নষ্ট হচ্ছে এবং আমরা কীভাবে এটি প্রতিরোধ করতে পারি, এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞের মতামত জেনে নিন
গরমের কারণে কিডনি নষ্ট হচ্ছে কীভাবে?
দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের নেফ্রোলজি বিভাগের চিকিৎসক ডা, হিমাংশু ভার্মা জানান যে, গরমের কারণে অতিরিক্ত ঘাম হয়। এর ফলে শরীরে জলের অভাব হয়। যার ফলে রক্তও ঘন হতে থাকে। এ কারণে শরীরে রক্ত চলাচল কমে যায়। সঠিক রক্ত চলাচলের অভাবে কিডনিতে রক্ত সরবরাহ ঠিকমতো হয় না। এটি কিডনির কাজকর্মকে প্রভাবিত করে। যার ফলে শরীর থেকে বর্জ্য অপসারণ করতে অক্ষম হয় কিডনি।
ডাক্তারি ভাষায় এই অবস্থাকে বলা হয় একিউট রেনাল ফেইলিউর। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেও এই সমস্যা হতে পারে। এ কারণেই দেখা যাচ্ছে হঠাৎ করেই একিউট রেনাল ফেইলিউরের শিকার হচ্ছেন অনেকে।
বিপজ্জনক হতে পারে?
ডা. হিমাংশু বলেন, তীব্র রেনাল ফেইলিউরের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই রোগী এক মাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিডনি সেরে উঠতে পারে না। এ ধরনের ক্ষেত্রে রোগীদের ডায়ালিসিস করতে হয়। এটি ঘটে কারণ কিডনি যখন বর্জ্য ফিল্টার করে না, তখন শরীরে ক্রিয়েটিনিন এবং পটাসিয়ামের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই বিষাক্ত পদার্থ অপসারণের জন্য ডায়ালিসিস করা হয়।
কিডনি নষ্ট হওয়ার উপসর্গগুলো কী?
উচ্চ রক্তচাপ, কম প্রস্রাব হওয়া, হাত-পা বা অন্যান্য অঙ্গ ফুলে যাওয়া
কীভাবে রক্ষা করা যায়?
ডা. হিমাংশু বলেন, অত্যধিক গরমের জন্য শরীরে জলের প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে। সাধারণত মানুষকে দিনে ২-৩ লিটার জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এই সময়ে দিনে ৫-৬ লিটার পানীয় পান করা উচিত। বিশেষ করে যাঁরা মাঠে কাজ করেন তাঁদের প্রতি ঘণ্টায় জল পান করা উচিত। এজন্য জলের বোতল সঙ্গে রাখুন। সাধারণ জল ছাড়াও লেবু-নুন দিয়ে শরবত পান করতে পারেন। তবে যাঁদের ব্লাড প্রেসারের সমস্যা আছে, তাঁদের নুন খাওয়া উচিত নয়।
