PCOS: PCOS-এর সঙ্গে থেকে যায় দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কী ভাবে করবেন এর মোকাবিলা?

PCOS & Lifestyle: PCOS থাকলে পরবর্তীতে ডায়াবেটিস আসবেই। আর তাই প্রথম থেকে সচেতন হতে হবে। যাঁদের PCOS- থাকে তাঁদের শরীরে টেস্টোস্টেরন বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না

PCOS: PCOS-এর সঙ্গে থেকে যায় দীর্ঘমেয়াদি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কী ভাবে করবেন এর মোকাবিলা?
কী ভাবে করবেন মোকাবিলা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 07, 2023 | 8:48 PM

প্রতি পাঁচজন মহিলার মধ্যে অন্তত একদন এখন পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমে ভুগছেন। আজ থেকে দশ বছর আগেও মানুষ এই রোগটি বিষয়ে এতটা সচেতন ছিলেন না আর শুনলেও ভয় পেতেন। মূলত হরমোনের ভারসাম্যহীনতাই হল PCOS। মেয়েদের শরীরের মূল দুই হরমোন হল ইস্ট্রোজেন আক প্রোজেস্টেরন। এই হরমোনের মধ্যে ভারসাম্যহীনতাই হল পিসিওএসের প্রধারন কারণ। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে অনেক মেয়ের মধ্যেই টেস্টোস্টেরন অত্যধিক মাত্রায় উৎপন্ন হয়। সেই সঙ্গে শরীরে ইনসুলিন প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। বিভিন্ন প্রদাহ জনিত সমস্যা থাকে, সেই সঙ্গে জিনের প্রভাব তো থাকেই। আর তাই PCOD বা PCOS- এর সম্ভাব্য কারণ হিসেবে এগুলিই ধরে নেওয়া হয়।

PCOS- এর সমস্যা থাকলে পরবর্তীতে ওবেসিটি, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, হার্টের রোগ, ক্যানসার, ডিপ্রেশন এসব আসা খুবই স্বাভাবিক। আর এর জন্যও দায়ী সেই হরমোনই। যে কারণে যথাযথ ভাবে পিসিওএসের চিকিৎসা এবং হরমোনাল থেরাপি করানোর প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এখন থেকে চিকিৎসা না করাবে বা সচেতন না হলে পরবর্তীতে তা জীবন সংশয়ের কারণ হতে পারে। এছাড়াও ফার্টিলিটির সমস্যা থেকেই যায়। আর তাই যে যে বিষয় সম্বন্ধে সচেতন থাকতেই হবে-

PCOS থাকলে পরবর্তীতে ডায়াবেটিস আসবেই। আর তাই প্রথম থেকে সচেতন হতে হবে। যাঁদের PCOS- থাকে তাঁদের শরীরে টেস্টোস্টেরন বেশি পরিমাণে তৈরি হয়। এর ফলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয় না। যে কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাডডতেই থাকে। পরবর্তীতে হাইপারইনসুলিনামিয়া হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। সেই সঙ্গে বাড়ে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকিও। আর তাই প্রছম থেকেই নিয়ন্ত্রইত হোক লাইফস্টাইল। কোনও ভাবেই রক্তশর্করা বাড়তে দেবেন না। উদ্ভিজ খাবার বেশি খাওয়া, ডায়েট এসব মেনে চলতেই হবে।

PCOS- এর সমস্যা থাকলে কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এসব বেশি থাকে। রক্তচাপ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা বেড়ে যায়। NCBI সমীক্ষা অনুসারে, PCOS রোগীদের হরমোনের অসামঞ্জস্যহীনতাই বাড়িয়ে দেয় হৃদরোগের ঝুঁকি। সেই সঙ্গে হাইপারঅ্যান্ড্রোজেনিজম, ডিসলিপিডেমিয়া এসবের সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে যায়। যে কারণে সময় থাকতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

এই সমস্যা যাঁদের থাকে তাঁদের প্রত্যেকেরই ঘুম কম হয়। ঘুমের সময় শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যাও হয়। শরীরের ওজন বাড়লে এই সমস্যা আরও বেশি জাঁকিয়ে বসে। তাই আগে থাকতেই সতর্ক হন।

PCOS-থাকলে ওজন কমানো বেশ কঠিন। সহজে ওজন কমে না। যে কারণে হেলদি লাইফস্টাইল মেনে চলা খুবই জরুরি। ফাইবার বেশি খেতে হবে, রোজ ফল খান, শাকসবজি খান, ওটস, চিয়া সিড, সবজা সিড, স্প্রাউট চাট, ব্রাউন রাইস, পালং শাক, গ্রিন টি, মুসুর ডাল, কাঁচা মুগের ডাল, ডার্ক চকোলেট, ডাবের জল এসব খান। নিয়ম করে ৩০ মিনিট ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করতে হবে। পাশাপাশি যোগা করুন। নিয়মিত ভাবে চিকিৎসকের পরামর্শে থাকুন, সময়ে ওষুধ খান। তবেই কিন্তু কাজ হবে।