AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? থাইরয়েড কিনা বুঝবেন কী ভাবে?

Thyroid: থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের গলার নিচে অবস্থিত একটি প্রজাপতি-আকৃতির গ্রন্থি, যা শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থির কাজ ব্যাহত হলে শরীরের নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার অন্যতম হলো সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।

অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? থাইরয়েড কিনা বুঝবেন কী ভাবে?
Follow Us:
| Updated on: May 31, 2025 | 11:54 PM

অল্পেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন? প্রতিদিনের স্বাভাবিক কাজ করতে গিয়েই যদি হাঁপিয়ে ওঠেন, তবে তা শুধু শরীরচর্চার অভাব নয়—এর পেছনে থাকতে পারে হরমোনজনিত কোনো সমস্যা, যেমন: থাইরয়েড। থাইরয়েড গ্রন্থি আমাদের গলার নিচে অবস্থিত একটি প্রজাপতি-আকৃতির গ্রন্থি, যা শরীরের মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করে। এই গ্রন্থির কাজ ব্যাহত হলে শরীরের নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়, যার অন্যতম হলো সহজে ক্লান্ত হয়ে যাওয়া।

থাইরয়েডের সমস্যা প্রধানত দুই ধরনের হয়: হাইপোথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোন কম তৈরি হওয়া)

হাইপারথাইরয়েডিজম (থাইরয়েড হরমোন অতিরিক্ত তৈরি হওয়া)

হাইপোথাইরয়েডিজমের লক্ষণ (থাইরয়েড হরমোন কম থাকলে):

সারাক্ষণ ক্লান্তি ও অলসভাব, ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়া, ওজন বৃদ্ধি, ঠান্ডা বেশি লাগা, মনোযোগের ঘাটতি, বিষণ্নতা বা ভুলে যাওয়ার প্রবণতা, কোষ্ঠকাঠিন্য, চুল পড়ে যাওয়া ও নখ ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া, মাসিক চক্রে অনিয়ম (নারীদের ক্ষেত্রে), মুখ ফোলা বা চোখের নিচে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব ইত্যাদি।

হাইপারথাইরয়েডিজমের লক্ষণ (থাইরয়েড হরমোন বেশি থাকলে):

ঘাম বেশি হওয়া, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া, অস্থিরতা বা নার্ভাসনেস, হৃদস্পন্দন বেড়ে যাওয়া, ঘুমের সমস্যা, হাত কাঁপা, পেটের সমস্যা বা বারবার পায়খানা হওয়া থাইরয়েডের লক্ষণ হতে পারে।

কীভাবে নিশ্চিত হবেন?

উপসর্গগুলো থাকলে সাধারণ রক্তপরীক্ষার মাধ্যমে থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা নির্ধারণ করা যায়।

সবচেয়ে সাধারণ পরীক্ষাগুলো হলো:

TSH (Thyroid Stimulating Hormone), FT4 (Free Thyroxine), FT3 (Free Triiodothyronine)

TSH বেশি হলে সাধারণত হাইপোথাইরয়েডিজম এবং কম হলে হাইপারথাইরয়েডিজম বোঝায়। তবে সঠিকভাবে নির্ণয়ের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

করণীয়: সময়মতো থাইরয়েড পরীক্ষা করান। চিকিৎসকের নির্দেশ মতো ওষুধ গ্রহণ করুন। পুষ্টিকর খাবার খান ও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

অল্পতেই ক্লান্ত লাগা হালকা সমস্যা মনে হলেও, সেটি হতে পারে গভীর হরমোনজনিত ইঙ্গিত। তাই দেরি না করে সচেতন হন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।