Ayurvedic Tips: আপনার জন্য কতটা উপকারী এক গ্লাস গরম জল? আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন

Warm Water Benefits: আয়ুর্বেদের মতে, আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জল পান করেন তাহলে আরও উপকার পাবেন।

Ayurvedic Tips: আপনার জন্য কতটা উপকারী এক গ্লাস গরম জল? আয়ুর্বেদ চিকিৎসকের থেকে জেনে নিন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 02, 2022 | 6:27 PM

Health Tips in Bengali: দিনের শুরুটা এমন হওয়া উচিত যাতে আপনি সারাদিন চনমনে থাকেন। কেউ কেউ সকালে চুমুক দেন চা-কফির কাপে আবার কেউ দিন শুরু করেন ডিটক্স ওয়াটার দিয়ে। আদতে আমরা স্বাস্থ্যের কথা বাদ দিয়ে কোনও কিছু করি না। আপনি যদি আয়ুর্বেদের কথা মানেন, তাহলে সকালটা শুরু করুন এক গ্লাস গরম জল দিয়ে। ডিটক্স ওয়াটার, জুস এই সব তো সারাদিনই রয়েছে। তাছাড়া এই পানীয় খাওয়ার অর্থ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বার করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখে। কিন্তু আয়ুর্বেদের মতে, আপনি যদি সকালে ঘুম থেকে উঠে গরম জল পান করেন তাহলে আরও উপকার পাবেন।

আয়ুর্বেদের মতে, আপনার শরীরের বাত, পিত্ত এবং কফ দোষের সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করতে হবে। কারণ পিত্ত দোষার সমস্যা হাইপার অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে বা আলসারের সমস্যা তৈরি করে। এই ক্ষেত্রে খালি পেটে গরম জল ভীষণভাবে উপকারী। অন্যদিকে, আপনি যদি পিত্ত দোষে ভুগে থাকেন এবং এই অবস্থায় গরম জল পান করে তাহলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এই প্রসঙ্গে যাবতীয় তথ্য শেয়ার করেছেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ দীক্ষা ভাবসার।

সকালে খালি পেতে এক গ্লাস কুসুম-কুসুম গরম জল পান করলে এটি পেটকে ভাল করে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এতে গ্যাসের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। এতে শরীর হালকা লাগে অনেকটা। এই উপায় আপনার হজম ও বিপাক প্রক্রিয়াকেও উন্নত করবে। আর এতে শরীর থেকে সমস্ত বিষাক্ত পদার্থ বেরিয়ে যাবে এবং আপনার আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

কিন্তু সকালে খালি পেটে গরম জল পান করলে তার সঠিক তাপমাত্রা কত হওয়া উচিত? আয়ুর্বেদ অনুসারে, পানীয় জলের তাপমাত্রা নির্ভর করে আমাদের শরীরের দোষের উপর। এই কারণে, প্রথমে শরীরের বাত, পিত্ত এবং কফ দোষগুলি খুঁজে বের করা জরুরি।

আয়ুর্বেদের মতে, আপনি যদি কফ দোষে ভুগে থাকেন তাহলে গরম জল পান করতে পারে। এটি আপনার কফের সমস্যা কমায়, ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে দেয় এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।

কিন্তু পিত্ত দোষে গরম জল পান করা উচিত নয়। এই ক্ষেত্রে আপনার শরীরের তাপমাত্রাও অনেক বেড়ে যায়। এমন অবস্থায় পিত্ত দোষে শরীরকে ঠান্ডা রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। তাই পিত্ত দোষের সমস্যা থাকলে একেবারেই গরম জল পান করবেন না।

আপনার যদি ভাতার সমস্যা তাহলেও গরম জল পান করতে পারেন। তবে ঈষদুষ্ণ গরম জল পান করবেন, না খুব গরম, না খুব ঠান্ডা। এতে আপনার ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত হবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।