Pulmonary Hypertension: সারাবছর সর্দিকাশি লেগেই থাকে? হালকা ভাবে নিলেই বিপদ! হতে পারে হার্ট ফেলিওর
Heart: পালমোনারি হাইপারটেনশন শনাক্ত করতে, ডাক্তাররা হার্ট এবং ফুসফুস পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। পারিবারিক ইতিহাসও ঘেটে দেখে নেওয়া হয়। এক্স-রে এবং হার্ট ক্যাথেটারাইজেশন করা হয়। এর মাধ্যমে, সময় মতো রোগ শনাক্ত করা যায় এবং হার্ট ফেইলওরের, ঝুঁকি রোধ করা যায়।

অনেকেই সারাবছর সর্দিকাশির সমস্যায় ভোগেন। আপনারও যদি ক্রমাগত কাশি হয় তবে এটিকে হালকাভাবে নেবেন না। এই সমস্যা থেকে বতে পারে হার্ট ফেইলিওরের ঝুঁকিও। একে বলা হয় পালমোনারি হাইপারটেনশন রোগ। এ রোগে হৃৎপিণ্ড থেকে ফুসফুসে যাওয়া শিরায় রক্তচাপ বাড়তে থাকে। এর ফলে হার্টে চাপ পড়ে ফলে হার্ট ফেইলিওর হতে পারে। হার্ট ফেইলওরের ক্ষেত্রে আকস্মিক মৃত্যুর ঝুঁকিও রয়েছে। পালমোনারি হাইপারটেনশনের প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে গুরুতর কাশি যা বেশীরভাগ সময়ই লোকজন উপেক্ষা করেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, গত কয়েক বছরে বিশ্বজুড়ে পালমোনারি হাইপারটেনশনের কারণে হার্ট ফেইলিওরের ঘটনা বাড়ছে। এসব রোগীর বেশির ভাগই যখন হাসপাতালে পৌঁছান, ততক্ষণে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। গত ১০ বছরে হার্ট ফেইলিওরের রোগীর সংখ্যা ২৫ শতাংশ বেড়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে, কাশি কীভাবে পালমোনারি হাইপারটেনশনের লক্ষণ এবং কীভাবে এটি প্রতিরোধ করা যায় তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন এবিষয়ে বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, জেনে নেওয়া যাক…
পালমোনারি হাইপারটেনশন কী?
এই খবরটিও পড়ুন
পালমোনারি হাইপারটেনশন রোগে, ফুসফুসে রক্ত সরবরাহকারী শিরাগুলিতে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। এর ফলে হার্টের উপর চাপ পড়ে, হার্টের প্রকোষ্ঠ দুর্বল হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে হৃদপিণ্ড, ফুসফুস এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গে রক্ত সরবরাহ খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এর ফলে হার্ট ফেইলওর হয়। এই রোগের শুরুতে রোগীর তীব্র কাশি থাকে এবং বুকে ব্যথাও অনুভব করেন।
কারণ:
পালমোনারি হাইপারটেনশনের প্রধান কারণ হল ফুসফুসের ধমনী পুরু হয়ে যাওয়া। ধমনীর আকার বৃদ্ধির কারণে তাদের উপর চাপ বাড়ে এবং এটি হৃৎপিণ্ডের কাজকেও প্রভাবিত করে। কিছু-কিছু ক্ষেত্রে হঠাৎ করে হার্ট ফেইওর হয়েও রোগী মারা যায়। এটি ফুসফুসে রক্ত জমাট বাঁধার কারণে এবং এইচআইভির কারণেও ঘটে।
কীভাবে এই রোগ চিহ্নিত করা হয়?
পালমোনারি হাইপারটেনশন শনাক্ত করতে, ডাক্তাররা হার্ট এবং ফুসফুস পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। এছাড়া পারিবারিক ইতিহাসও ঘেটে দেখে নেওয়া হয়। এর জন্য এক্স-রে এবং হার্ট ক্যাথেটারাইজেশন করা হয়। যদি কোনো রোগীর ক্রমাগত কাশি, শ্বাসকষ্ট এবং বুকে ব্যথার সমস্যার শিকার হন , তাহলে এই সমস্ত পরীক্ষা করা উচিত। এর মাধ্যমে সময়মতো রোগ শনাক্ত করা যায় এবং হার্ট ফেইলওরের ঝুঁকি রোধ করা যায়।
খারাপ জীবনধারা প্রধান কারণ: বিশেষজ্ঞদে মতে, পালমোনারি হাইপারটেনশন প্রতিরোধ করার জন্য জীবনধারায় লাগাম টানা গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে-সঙ্গে প্রতিদিন শরীরচর্চা করুন এবং ডায়েটে জোর দিন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।