ওজন কমাতে গেলে ডায়েটই ভরসা। শরীরচর্চা পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া নিয়ে সচেতন না হলে মেদ ঝরানো যায় না। যেহেতু পুজো দোরগোড়ায়, শপিংয়ের সঙ্গে চলছে জোরকদমে ওজন কমানো। এই কারণে ভাত-রুটি খাওয়াও ছেড়ে দিয়েছেন। যতটা কম কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা যায়, সেই চেষ্টাই করছেন। কিন্তু ভাত-রুটি একদম ছেড়ে দিলে আপনিই বিপদে পড়তে পারেন। দেহে এনার্জির ঘাটতি তৈরি হতে পারে। এমনকি বার বার খিদেও পেতে পারে। যেহেতু হাতে এখন কম সময় সেক্ষেত্রে দু’সপ্তাহ মানিয়ে গুছিয়ে চলা যায়। তবে, দেহে এনার্জির ঘাটতি পূরণ করতে কার্বস নেই এমন খাবারের উপর ভরসা রাখতে পারেন।
চিকেন: ওজন কমানোর জন্য লিন প্রোটিন বেছে নিন। চিকেনের ব্রেস্ট পিসে কোনও ফ্যাট থাকে না। এই অংশের মাংস খেলে সহজেই দেহে প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হবে এবং পেটও ভরবে। পাশাপাশি ওজন বাড়বে না।
ডিম: ভাত-রুটি না খেলেও চলবে। কিন্তু রোজ ২-১টা করে ডিম খান। প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেলের ভরপুর হয় ডিম। এই সুপারফুড স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কোলেস্টেরল থাকলে ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন।
মাছ: ভাত না খেলেও শুধু মাছ খেতে পারেন। পুকুরের মাছ হোক বা সামুদ্রিক মাছ, যে কোন মাছই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। মাছ দেহে একাধিক পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং রোগের ঝুঁকি।
শাকসবজি: ‘নো কার্বস’ ডায়েটে অবশ্যই শাকসবজি রাখুন। যে কোনও মরশুমি শাকসবজিই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। লাউ, পটল, ব্রকোলি সব সবজিই খাওয়া যায়। তবে, চেষ্টা করুন কন্দজাতীয় সবজি এড়িয়ে চলার। যেমন আলু, কচু ইত্যাদি।
বাদাম ও বীজ: আমন্ড, আখরোট, চিয়া সিড, ফ্ল্যাক্স সিডের মতো খাবার রোজ খান। বাদাম ও বীজ হল পুষ্টিতে ভরপুর। এগুলো দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে, রোগের ঝুঁকি কমায়। রোজের ডায়েটে বাদাম ও বীজ রাখুন।