Diabetes: অনিয়ন্ত্রিত সুগারকে বাগে আনতে রোজ সকালে চিবিয়ে খান এই পাতা! রয়েছে অনেক গুণ

Mango Leaves: আম পাতা জলেতে সেদ্ধ করে কাথ তৈরি করে গ্রহণ করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আম পাতা ভাজা এবং কাঁচা খাওয়া হয়।

Diabetes: অনিয়ন্ত্রিত সুগারকে বাগে আনতে রোজ সকালে চিবিয়ে খান এই পাতা! রয়েছে অনেক গুণ
আম পাতার অনেক গুণ
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 10, 2022 | 4:00 PM

বর্তমানে ঘরে ঘরে ডায়াবেটিস (Diabetes) রোগী। সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ এখন এই রোগ আক্রান্ত। স্বাভাবিক জীবনযাপনে ছন্দপতন তো বটেই, সঙ্গে রোগীর খাদ্যাভাস (Healthy Diet) নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই। পুরোটাই নিজের সঙ্গে নিজের একটা চ্যালেঞ্জ। ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের সুস্থ থাকার একটাই উপায় সঠিক ডায়েট মেনে চলা। শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোর খাদ্যদ্রব্য গ্রহণের উপরই বিশেষ করে জোর দেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্‍সকরা। তবে খাবারের প্রতি লোভ সংযম করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি মোক্ষম উপাদান আছে।

আম পাতা (Mango Leaves)। ফলের রাজা হিসেবে জনপ্রিয় আম সকলের কাছেই প্রিয় একটি ফল। গরমকালে আমের চাহিদা তুঙ্গে। বিভিন্ন রান্নাতে যেমন ব্যবহার করা হয়, তেমন ফল হিসেবে খাওয়ার ব্যাপারে আম সব ফলের থেকে এগিয়ে। কাঁচা, পাকা সবতেই আম দারুণ উপকারী ও সুস্বাদু। কিন্তু এই সুমিষ্ট রসাল আম থেকেই বঞ্চিত থাকেন সুগার রোগীরা। সুস্থ থাকতে চিকিত্‍সকরা ডায়াবেটিস রোগীদের আম খাওয়ার ব্যাপারে অনেক সংযমে থাকার পরামর্শ দেন। তবে আম পাতা সেই সব দিক থেকে সব ঘাটতি পূরণ করে দেয়। চাটনি, সস হিসেবে আম পাতা গ্রহণ করতে পারেন। অনেকেই জানেন না যে,আম পাতা ডায়াবেটিসের জন্য দারুণ কার্যকরী উপকরণ ও রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর জন্য মোক্ষম ওষুধ।

ডায়াবেটিস ডায়েট: আমের পাতার উপকারিতা

আমের পাতা যখন নতুন বা কচি অবস্থায় থাকে,সেই সময় পাতার রঙ সাধারণত লালচে বা বেগুনি রঙের হয়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে ফ্যাকাশে হয়ে গাঢ় সবুজ হয়ে যায়। এই পাতাগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড এবং ফেনল থাকে। যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এগুলি পাউডার হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। আম পাতা জলেতে সেদ্ধ করে কাথ তৈরি করে গ্রহণ করা যেতে পারে। শুধু তাই নয়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় আম পাতা ভাজা এবং কাঁচা খাওয়া হয়। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য, যা বিভিন্ন থেরাপিউটিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।

আমের পাতায় ইনসুলিন সংশ্লেষণ এবং গ্লুকোজের মাত্রা কমানোর ক্ষমতা রয়েছে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। আমের পাতায় প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পেকটিন, ভিটামিন সি এবং ফাইবার। ডায়াবেটিস এবং কোলেস্টেরল উভয়ের জন্যই ভাল আম পাতা।

ডায়াবেটিসের জন্য আমের পাতা ব্যবহার কীভাবে করবেন, তা দেখে নিন…

– ১০ থেকে ১৫টি আম পাতা নরম না হওয়া পর্যন্ত জলে সেদ্ধ করুন।

– পাতাগুলি সম্পূর্ণ সেদ্ধ হওয়ার পরে ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ঠান্ডা করতে দিন।

– ঠান্ডা হলে জল ছেঁকে নিন এবং সকালে খালি পেটে পান করুন সেই ভেষজ পানীয়।

টানা কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন সকালে এই ভেষজ পানীয়টি পান করলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রায় ম্যাজিকের মত প্রভাব পড়বে। এছাড়া সকালে খালি পেটে আম পাতা চিবিয়েও খেতে পারেন। কাঁচা পাতা অল্প অল্প করে খেতে পারেন।