Lose Weight: মেদ ঝরিয়ে দ্রুত ছিপছিপে হতে চান? রোজ চুমুক দিন ঠান্ডা লস্যির গ্লাসে!

Health benefits of Lassi: লস্যিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন। তাতে অন্ত্র ও হাড়ের স্বাস্থ্য ও পেশি মজবুত করতে অপরিহার্য করে তোলে। শরীরের উপর শীতল প্রভাব পড়ায় তাপপ্রবাহে সানস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

Lose Weight: মেদ ঝরিয়ে দ্রুত ছিপছিপে হতে চান? রোজ চুমুক দিন ঠান্ডা লস্যির গ্লাসে!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 05, 2022 | 8:47 AM

গরমকাল (Summer Season) মানেই ঠাণ্ডা কিছু খেতে ইচ্ছে করে সকলের। তেল-ঝাল-মশলা জাতীয় খাবার এড়িয়ে বরং ঠাণ্ডা শরবত, আইসক্রিম, কোলড্রিঙ্কে মনে মজে যায়। তবে গরমকালে শরীর সুস্থ এবং সতেজ রাখতে সবচেয়ে উপকারি লস্যি (Lassi)। মশলা ছাঁস, দইয়ের ঘোল, দইয়ের শরবত কিংবা ঠাণ্ডা লস্যি… যদিও সবক’টি পানীয়ই প্রায় একইরকম স্বাদের। তবে শুধু স্বাদে নয়, পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ এইসব পানীয়। পেটও ভরিয়ে রাখে অনেকক্ষণ। বাড়ির বড়রাও দেখা যায় গরমকালে লস্যি জাতীয় পানীয় খেয়ে শরীর ঠাণ্ডা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মিষ্টি বা নোনতা দইয়ের শরবত হিসেবে পরিচিত হলেও উত্তরভারতে এর জনপ্রিয়তা দারুণ। বিশেষ করে গরমের মরশুমে। সতেজ, ঠাণ্ডা পানীয়, লস্যি তৈরি করা হয় তাজা দইকে চিনি বা লবণ, কিছু পরিমাণ জল এবং ক্রিম এবং বরফের সঙ্গে মিশিয়ে। লস্যি হল জনপ্রিয় একটি প্রোবায়োটিক পানীয়। গরমকালে সতেজ লস্যি শরীরকে গ্রুত ঠান্ডা করে তোলে। তবে মিষ্টি-জাতীয় লস্য়ি ডায়াবেটিসদের ক্ষেত্রে তা উপযুক্ত নয়। সেক্ষেত্রে বাটারমিল্ক তাদের জন্য সেরা পানীয়। লস্য়ি বা বাটারমিল্ক উভয়ই মেদ ঝরানোর জন্য সেরা পানীয়।

কীভাবে লস্যি ওজন কমানোর জন্য সেরা উপকরণ?

জিভের স্বাদ বদলাতে বা গরমকালে কুল হতে লস্যি শুধু পান করা নয়, স্বাস্থ্যের উপকারিতা হিসেবে লস্যি খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুলিং প্রোবায়োটিক পানীয় হিসেবে লস্যি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি ঘটিয়ে হজমশক্তিতে সাহায্য করে। যাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে, তাদের ল্যাকটোব্যাসিলাস মলত্যাগেও সাহায্য করে।

শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর জন্যও এর গুণের শেষ নেই। লস্যিতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, জল। পুষ্টিতে ভরপুর হলেও লস্যি হল একটি কম-ক্যালোরিযুক্ত সুস্বাদু পানীয়। একটি গ্লাসে মাত্র ৫০ থেকে ৮০ ক্যালোরি থাকে। তাতেই শরীরে ও মনে তৃপ্তি এনে দেয়। শুধু তাই নয়, দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। ঘন ঘন খিদে পাওয়া প্রতিরোধ করতে লস্যির অনেক গুণ।

কখন খাবেন?

সকাল ১১টার দিকে লস্যি পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিত্‍সকরাষ কারণ এটি একটি মিড-মিল ড্রিঙ্ক। দুপুরের খাবারের আগে বা পরে এক গ্লাস লস্যি পান করতে পারেন।

গরমে লস্যি পানের স্বাস্থ্যকর উপকারিতা

লস্যিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি ১২, ক্যালসিয়াম এবং প্রোটিন। তাতে অন্ত্র ও হাড়ের স্বাস্থ্য ও পেশি মজবুত করতে অপরিহার্য করে তোলে। শরীরের উপর শীতল প্রভাব পড়ায় তাপপ্রবাহে সানস্ট্রোক থেকেও রক্ষা পাওয়া যায়।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।