Kolkata: ব্যাঙ্কের লকার থেকেই গায়েব হত হিরে-সোনা, তদন্তে নেমে সর্ষের মধ্যে ভূত পেল পুলিশ

Kolkata: পুলিশ জানিয়েছে, মৌমিতাদের কসবার বাড়ি থেকে ২৯ লক্ষ ৭২ হাজার নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে। আর কসবার ওই বাড়ি ও লেকটাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গয়না-সহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার হয়েছে।

Kolkata: ব্যাঙ্কের লকার থেকেই গায়েব হত হিরে-সোনা, তদন্তে নেমে সর্ষের মধ্যে ভূত পেল পুলিশ
উদ্ধার হওয়া গয়না
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 11, 2025 | 7:31 PM

কলকাতা: ব্যাঙ্কের লকার থেকে গায়েব কোটি টাকার বেশি মূল্যের হিরে, সোনা। কীভাবে চুরি সম্ভব? তদন্তে নেমে প্রথমে কূলকিনারা করতে পারছিল না পুলিশ। শেষমেশ সর্ষের মধ্যেই ভূত পাওয়া গেল। পার্কস্ট্রিট থানা এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার থেকে হিরে, সোনা চুরি যাওয়ার ঘটনায় এক ব্যাঙ্ককর্মী-সহ ২ জনকে গ্রেফতার করল অ্যান্টি ব্যাঙ্ক ফ্রড বিভাগ। ধৃতদের নাম মৌমিতা শী ও মিঠুন শী। এর মধ্যে মৌমিতা ব্যাঙ্ককর্মী ও মিঠুন তাঁর দাদা।

২০২১ সাল থেকে পার্কস্ট্রিটের ওই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের লকার ইনচার্জ মৌমিতা। গতবছরের ১৪ ডিসেম্বর এক মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন যে, তাঁর লকার থেকে সোনা, হিরে গায়ের হয়ে গিয়েছে। যার বাজারমূল্য ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা। অভিযোগপত্রে সন্দেহের তালিকায় মৌমিতার নাম ছিল। তদন্তে নেমে পুলিশ মৌমিতা ও তাঁর দাদার উপর নজর রাখে। শুক্রবার তাঁদের কসবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, মৌমিতাদের কসবার বাড়ি থেকে ২৯ লক্ষ ৭২ হাজার নগদ টাকা পাওয়া গিয়েছে। আর কসবার ওই বাড়ি ও লেকটাউনের একটি ফ্ল্যাট থেকে গয়না-সহ বিভিন্ন জিনিস উদ্ধার হয়েছে। লেকটাউনের ফ্ল্যাটটি তাঁদের এক বন্ধুর বলে জানা গিয়েছে। নগদ টাকা ছাড়াও দুই জায়গা থেকে ৫৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে। সাড়ে ২৭ লক্ষ টাকা মূল্যের একটা গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। ৩ লক্ষ টাকার দুটি আইফোন উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া ৪টি মোবাইল, একটি ল্যাপটপ, ব্যাঙ্কের নথি ও ব্যবসার নথি পাওয়া গিয়েছে।

এই খবরটিও পড়ুন

কীভাবে লকার থেকে সোনা-হিরে সরিয়েছিলেন মৌমিতা?

তদন্তে জানা গিয়েছে, যে মহিলার লকার, তিনি একদিন লকারে সোনা-হিরে রাখতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন। তাঁর মনে হচ্ছিল, লকার ঠিকভাবে বন্ধ হচ্ছে না। তখন বিষয়টি তিনি মৌমিতাকে জানান। মৌমিতা তাঁকে অন্য একটি লকারে তাঁর গয়না রাখতে বলেন। এবং জানান, ২ দিনের মধ্যে মহিলার লকার ঠিক করে দেবেন। ২ দিনের মধ্যে মহিলাকে ফোন করে জানানো হয়, তাঁর লকার ঠিক হয়ে গিয়েছে। এই ২ দিনের মধ্যে মহিলার লকারের নকল চাবি বানিয়ে ফেলেন মৌমিতা।

পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার লকার থেকে গয়না বের করে তাঁর দাদা মিঠুনকে দিতেন মৌমিতা। মিঠুন সেগুলি বিক্রি করতেন। পুলিশ জানতে পারে, মিঠুন শী একটি কোম্পানি খোলেন। ৩ মাসে নগদ ৫০ লক্ষ টাকা কোম্পানি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা দেন। চুরির গিনি বিক্রি করে সীতাহার বানিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর। যে গাড়িটি উদ্ধার হয়েছে, তা ভাড়া খাটাতেন মৌমিতা ও তাঁর দাদা।

ধৃতদের এদিন আদালতে তোলা হয়। ২২ জানুয়ারি পর্যন্ত তাঁদের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুলিশ মনে করছে, শুধু এই ঘটনা নয়, এমন চুরি হয়তো আরও করেছেন মৌমিতা। সবদিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।