AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Good Brain Health Tips: সময়ের আগেই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে? নিউরোসার্জন দিচ্ছেন ‘ব্রেন-ফিট’ থাকার সহজ মন্ত্র

মিশিগানের জনপ্রিয় নিউরোসার্জন জানাচ্ছেন, যে কোনও ব্যক্তি দৈনন্দিন মাত্র ৫টি অভ্যাস পরিবর্তন করলেই বাড়বে ব্রেনের ক্ষমতা। আজকের দ্রুত গতির জীবনে শরীরের যত্নের পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বা 'ব্রেন হেলথ' ঠিক রাখাও অপরিহার্য।

Good Brain Health Tips: সময়ের আগেই মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে? নিউরোসার্জন দিচ্ছেন 'ব্রেন-ফিট' থাকার সহজ মন্ত্র
'ব্রেন ফিট' রাখতে চাইলে প্রত্যেকে আয়ত্ত করুন এই ৫টি অভ্যাস Image Credit: OsakaWayne Studios/Moment/Getty Images
| Updated on: Nov 20, 2025 | 6:04 PM
Share

আজকের দ্রুত গতির জীবনে শরীরের যত্নের পাশাপাশি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য বা ‘ব্রেন হেলথ’ ঠিক রাখাও অপরিহার্য। কারণ স্মৃতিশক্তি হ্রাস, মনোযোগের অভাব বা অ্যালজাইমারের মতো সমস্যা এখন কম বয়সেও দেখা যাচ্ছে। হার্ভার্ড হেলথ (Harvard Health) অনুসারে, মস্তিষ্কের রয়েছে নিউরোপ্লাস্টিক বৈশিষ্ট্য। অর্থাৎ এটি প্রতিনিয়ত আমাদের অভিজ্ঞতা এবং পছন্দের ওপর ভিত্তি করে নিজেকে নতুন করে তৈরি করে। মিশিগানের জনপ্রিয় নিউরোসার্জন জানাচ্ছেন, যে কোনও ব্যক্তি দৈনন্দিন মাত্র ৫টি অভ্যাস পরিবর্তন করলেই বাড়বে ব্রেনের ক্ষমতা।

মিশিগান নিউরোসার্জারি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ নিউরোসার্জন ডক্টর জে জগন্নাথন ইনস্টাগ্রামে ৫টি বিশেষ অভ্যাসের কথা বলেছেন, যা পালন করে মস্তিষ্ককে শক্তিশালী রাখা যায়। সেগুলি নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল।

১. ঘুমের রুটিনে শৃঙ্খলা দরকার

ডক্টর জে জোর দিয়েছেন ঘুমের পরিমাণের চেয়েও ঘুমের সময়সূচির নিয়মানুবর্তিতার ওপর। প্রতিদিন রাতে কমপক্ষে ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো আবশ্যক। তবে তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস তৈরি করা। এই ডিসিপ্লিন মস্তিষ্ককে বিশ্রাম নিতে এবং রিচার্জ করতে সাহায্য করে।

২. স্ট্রেন্থ ট্রেনিং

যদিও এটি শারীরিক ব্যায়াম, তবুও এটি মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সপ্তাহে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন হালকা রেজিস্ট্যান্স ট্রেনিং বা স্ট্রেন্থ ট্রেনিং করা উচিত। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং শরীরের সহনশীলতা বৃদ্ধি করে, যা মস্তিষ্কের পারফরম্যান্সকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।

৩. ধ্যান বা মেডিটেশন করতে হবে

শরীর ও মস্তিষ্কের মধ্যে একটি নিরন্তর যোগাযোগ রয়েছে। মেডিটেশন বা যোগা সেই সংযোগকে আরও শক্তিশালী করে। এটি দীর্ঘ দিনের কাজের পর মস্তিষ্কের স্ট্রেস কমায় এবং নার্ভাস সিস্টেমকে শান্ত করে। নিউরোসার্জন এটিকে ‘মাইন্ড-বডি ইন্টারফেস’ মজবুত করার অন্যতম উপায় বলে উল্লেখ করেছেন।

৪. বার্নআউট চক্র এড়িয়ে চলুন

শারীরিক, মানসিক ও আবেগের দিক থেকে সম্পূর্ণ ক্লান্ত হয়ে যাওয়া অর্থাৎ ‘বার্নআউট’ মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। যদি আপনি নিয়মিতভাবে নিজেকে চরম সীমায় ঠেলে দেন, তবে আপনার চিন্তা করার প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যেতে পারে। মস্তিষ্ককে সচল রাখতে এবং মানসিক স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এই বার্নআউট চক্র থেকে বেরিয়ে আসা অপরিহার্য।

৫. হিরো লাইফস্টাইল ত্যাগ করুন

ডক্টর জে এমন জীবনযাত্রার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন, যেখানে ক্লান্তি সত্ত্বেও বিশ্রাম না নিয়ে কেবল উৎপাদনশীলতার নামে নিজেকে অতিরিক্ত পরিশ্রমী হিসেবে জাহির করা হয়। তিনি মনে করিয়ে দেন, স্মার্টলি কাজ করা এবং মস্তিষ্ককে রিচার্জ করার জন্য সময় দেওয়াই আসল কাজ। বিশ্রাম বাদ দিয়ে ‘নন-স্টপ পেস’ বজায় রাখার এই অভ্যাস মস্তিষ্কের জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর।