AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

COVID Norms: ১৮ বছরের নীচে করোনা আক্রান্তর চিকিৎসা কেমন? ৫ বছরের নীচের বাচ্চার মাস্ক পরবে? নতুন গাইড লাইন পড়ুন

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ দেখেশুনেই এমন গাইডলাইন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অসতর্ক হওয়ার কোনও জায়গা নেই বলেই জানানো হয়েছে সংশোধিত গাইডলাইনে।

COVID Norms: ১৮ বছরের নীচে করোনা আক্রান্তর চিকিৎসা কেমন? ৫ বছরের নীচের বাচ্চার মাস্ক পরবে? নতুন গাইড লাইন পড়ুন
করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ দেখেশুনেই এমন গাইডলাইন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 10:57 PM
Share

১৮ বছর বয়সের নীচে করোনা আক্রান্তর চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল (antivirals) এবং মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি দেওয়ার দরকার নেই। এছাড়া স্টেরয়েড দিয়ে চিকিৎসা চালানো হলেও তার জন্যও মানতে হবে বিধি (COVID norms)। কোভিড চিকিৎসায় এমনই নতুন গাইডলাইন (COVID-19 guidelines)প্রকাশ করা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (তরফে। সংশোধিত নতুন গাইডলাইনে শিশুদের মাস্ক পরা নিয়েও রয়েছে নতুন তথ্য। জানানো হয়েছে, ৫ বছর বয়সের নীচের বাচ্চার মাস্ক পরার দরকার নেই (No masks for kids)। ৬ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুরা মাস্ক (Wearing Masks)পরতে পারে তাদের ক্ষমতা অনুসারে এবং অভিভাবকের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে। তবে ১২ বছর এবং তার ঊর্ধ্বে বালক-বালিকাদের বড়দের মতোই মাস্ক পরতে হবে।

করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ দেখেশুনেই এমন গাইডলাইন তৈরি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে অসতর্ক হওয়ার কোনও জায়গা নেই বলেই জানানো হয়েছে সংশোধিত গাইডলাইনে। করোনা সংক্রামিতদের যথাক্রমে উপসর্গহীন, মৃদু, মাঝারি এবং তীব্র লক্ষণযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গাইডলাইন অনুসারে, কোভিড ১৯ একটি ভাইরাসঘটিত সংক্রমণ এবং জটিলতাহীন কোভিড ১৯ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জীবাণুরোধীর (অ্যান্টিমাইক্রবিয়াল) কোনও ভূমিকা নেই। উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গযুক্তদের চিকিৎসার জন্য কিংবা রোগজনিত জটিলতা থেকে দূরে থাকার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার প্রস্তাব করা হচ্ছে না। মাঝারি ও তীব্র ধরনের উপসর্গযুক্তদের ততক্ষণ পর্যন্ত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল দেওয়া উচিত নয় যতক্ষণ পর্যন্ত না রোগ জটিল হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। সেপটিক শক-এর ক্ষেত্রে, বিভিন্ন বিচার বিবেচনা করে তারপরেই গবেষণায় প্রমাণিত অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া যেতে পারে।

উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড-এর ব্যবহার ক্ষতিকারক হতে পারে সেকথাও জানানো হয়েছে গাইড লাইনে। একমাত্র হাসপাতালে ভর্তি হওয়া তীব্র এবং জটিল সমস্যায় ভোগা কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহার করা যেতে পারে কড়া নজরের আওতাধীন রেখে। কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করা হতে পারে একমাত্র মাঝারি রোগীর অবস্থা দ্রুত খারাপ হতে শুরু করলে এবং তীব্র উপসর্গ রোগীর ক্ষেত্রে। তবে সেক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট ডোজ-এর নিয়ম মানতে হবে। মানতে হবে নির্দিষ্ট সময়কাল।

রুটিনমাফিক অ্যান্টিকোয়াগুলান্ট (রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এমন ওষুধ) ব্যবহার না করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। বরং আগে হাসপাতালে ভর্তি থাকা বাচ্চার থ্রম্বোসিস (রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা)-এ আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কতখানি আছে তা জানার জন্য পরীক্ষানিরীক্ষা করা ও তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার কথা বলা হয়েছে। কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পরেও রোগীর যত্ন নেওয়ার প্রসঙ্গেও বলা হয়েছে গাইডলাইনে। উপসর্গহীন এবং মৃদু উপসর্গযুক্ত বাচ্চার আগের মতোই পরিচর্যা করলেই চলবে। সময়মতো টিকাকরণ, পুষ্টিযুক্ত খাদ্য এবং মানসিক অবস্থা জানার জন্য ফলোআপ করাতে হবে। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর রোগী কোনওরকম শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগলে তাকে নিয়ে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হবে। শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার ইঙ্গিতগুলি সম্পর্কে অভিভাবক বা যে ব্যক্তি বাচ্চার দেখাশোনা করেন তাঁকে জানাতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন সময়ে কোনও বাচ্চা নির্দিষ্ট অঙ্গসম্পর্কিত সমস্যায় ভুগলে, হাসপাতাল বাসের সময় ও ছুটি পাওয়ার পরেও তার সঠিক পরিচর্যা করতে হবে।

আরও পড়ুন: Covid-19: কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর ব্যবহৃত টুথব্রাশ ফেলে দিয়েছেন তো! যদি না করেন, তাহলে সাবধান হোন এখনই