AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Covid-19: কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর ব্যবহৃত টুথব্রাশ ফেলে দিয়েছেন তো! যদি না করেন, তাহলে সাবধান হোন এখনই

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসটি মূলত সংক্রামিত ব্য়ক্তির মুখ থেকে বেরিয়ে আসা ছোট ছোট ফোঁটার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। বিশেষ করে কাশি, হাঁচি, কথা বলার পর , এমনকি হাসলেও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।

Covid-19: কোভিড থেকে সুস্থ হওয়ার পর ব্যবহৃত টুথব্রাশ ফেলে দিয়েছেন তো! যদি না করেন, তাহলে সাবধান হোন এখনই
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 9:09 AM
Share

এত দ্রুততার সঙ্গে যে ছড়িয়ে পড়বে তা বোঝা যায়নি। ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে কোভিডের নয়া রূপ ওমিক্রন। তবে এবার আরও আশ্চর্যের যে, কোভিড ভ্যাকসিন ও একবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে যাওয়ার পরও ফের একবার ওমিক্রনে আক্রাম্ত হচ্ছেন। আর এই জিনিসটাই উদ্বেগ তৈরি করেছে। এই মারাত্মক সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, তা বিধি-নিষেধ মানলেও বাস্তবতার সঙ্গে কোনও মিল নেই। তবে অনেকেই জানেন না বোধ হয়, কোভিড ১৯ এর পর টুথব্রাশ পরিবর্তন না করলে কতটা ক্ষতিকারক হতে পারে!

শুধু নিজের ক্ষতি করছেন তাই নয়, অন্যদেরও ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারেন। যাঁরা আপনার বাথরুম ব্যবহার করেন, তাঁদের জন্য আরও ভয়াবহ। তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ গুরুগ্রামের আর্টেমিস হাসপাতালের ডেন্টিস্ট এ প্রসঙ্গে কিছু দরকারি তথ্য শেয়ার করেছেন।

কোভিড -১৯ থেকে সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর কেন আপনার টুথব্রাশ পরিবর্তন করা উচিত?

চিকিত্‍সকদের মতে, প্রতি তিন মাস অন্তর টুথব্রাশ পরিবর্তন করার নিয়ম। তবে কোভিড পরবর্তীতে টুথব্রাশ বদল করতে এতটুকু দেরি করবেন না। অবিলম্বে বাতিল করা প্রয়োজন। জাঁর মতে, ভাইরাস প্লাস্টিকের উপর দীর্ঘ সময়ের জন্য বেঁচে থাকতে পারে। তাই নিরাপদে থাকতে টুথব্রাশটি ফেলে দেওয়া উচিত। এটি শুধুমাত্র পুনঃসংক্রমিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে না,পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যদি একই ওয়াশরুম ব্যবহার করে থাকে তাহলেও সুরক্ষিত রাখবে। সংক্রমণ প্রতিরোধ করার জন্য আপনার জিভ পরিস্কারের সরঞ্জামগুলিও ফেলে দিতে হবে।

আমরা সকলেই ইতিমধ্যে জানি যে এই ভয়ংকর ভাইরাস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে। উলস্বরূপ এমনকি মুখের স্বাস্থ্যকেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে তোলে। কারণ এটির ফলে মাড়িতে ঘা ও শুষ্ক মুখের মত সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেসব রোগী খুব বেশি অসুস্থ তাদের মুখে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে আসে। সঠিক ওরাল হাইজিনের অভাবের কারণে আরও সমস্যা বাড়তে পারে। শুষ্ক মুখে ব্যাকটেরিয়া ও ওরাল আলসারের বৃদ্ধিকে আরও বাড়িয়ে তোলে এমনটাই জানিয়েছেন ড, সত্যজিত।

এর পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানভিত্তিক যুক্তি

মুখের ভিতর স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এই কোভিড পরিস্থিতিতে। কারণ ভাইরাসের বিস্তার যাতে না বৃদ্ধি পায়, তার জন্য ওরাল হাইজিন মেনে চলতেই হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসটি মূলত সংক্রামিত ব্য়ক্তির মুখ থেকে বেরিয়ে আসা ছোট ছোট ফোঁটার মাধ্যমে প্রবাহিত হয়। বিশেষ করে কাশি, হাঁচি, কথা বলার পর , এমনকি হাসলেও সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। ভাইরাস-যুক্ত যে কোনও জিনিসের উপর স্পর্শ করলেও তা সংক্রামিত হওয়া সম্ভব। এই কারণেই নিয়মিত হাত ধোয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়। সতর্কতা অবলম্বনের ক্ষেত্রে সামান্য প্রচেষ্টাই আপনাকে রক্ষা করতে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। ওরাল হাইজিনের ক্ষেত্রেও তা একই কথা প্রযোজ্য।

কোভিডের সময় ও পরে কীভাবে মুখের বিতর স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন, তা দেখে নিন…

– দাঁত ব্রাশ করার আগে, এমনকি ফ্লস করার সময়ও ভাল ভাবে হাত ধুয়ে নিন।

– প্রতিদিন দুবার ব্রাশ করুন, ফ্লস করুন এবং আপনার জিভ পরিষ্কার করুন।

– নিয়মিত মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।

– ওয়াশরুম ব্যবহার করার পরে ভাইরাসের আরও বিস্তার এড়াতে অবশ্যই সিঙ্কটি সঠিকভাবে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। কারণ এর মাধ্যমেই অন্যেকেও সংক্রামিত করছেন।

আরও পড়ুন:  Ear Infections: ওমিক্রনের জের! উদ্বেগের সঙ্গে কানের সংক্রমণ বৃদ্ধিতে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা

তথ্যসূত্র- হিন্দুস্তান টাইমস