নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে প্রথম ওমিক্রন ( Omicron) আক্রান্তের খোঁজ মেলে দক্ষিণ আফ্রিকাতে। ২৬ নভেম্বর সেই দেশের তরফে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট ( Omicron Symptoms) সম্পর্কে রিপোর্ট করা হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দফতরে। এরপর হু এই ভ্য়ারিয়েন্টকে কোভিডেরই নতুন ভ্যারিয়েন্ট হিসেবে মান্যতা দেয়। গত এক মাসের মধ্যে বিশ্বের প্রায় ১৫১ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। ওমিক্রনের সংক্রমণ খুব দ্রুত হচ্ছে। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন ( Omicron Update)। এমনকী কিছু মৃত্যুর ঘটনাও শোনা গিয়েছে। যদিও এবার ওমিক্রনের রোগ-লক্ষণ তুলনায় অনেকটাই হালকা। জ্বর-সর্দি-ক্লান্তি-কাশি-মাথাব্যথা-গলায় সংক্রমণ নোটামুটি এসব সমস্যাতেই ভুগছে বেশিরভাগ। যে কারণে বেশিরভাগ মানুষই বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দিচ্ছেন না। মেনে চলছেন না যথাযথ কোভিড বিধি।
আর এতেই কিন্তু বাড়ছে সমস্যা। সাধারণ ফ্লু এর ওমিক্রনের উপসর্গের মধ্যে মিল থাকায় অনেকেই পরীক্ষা এড়িয়ে যাচ্ছেন। ওমিক্রন ডেল্টার তুলনায় কয়েক গুণ দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে। যে কারণে বাড়ছে পজিটিভিটি রেট। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে বারবার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এই সংক্রমণকে হালকা ভাবে না নেওয়ার জন্য। কারণ এবার রোগ-লক্ষণ হালকা, হাসপাতালে ভর্তির সমস্যা কম। সকলেই বাড়িতে থেকে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কোভিড পরবর্তী জটিলতা ভোগাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। অনেকের ক্ষেত্রে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরও বেস কয়েক সপ্তাহ ধরে থেকে যাচ্ছে সমস্যা। আর এই সব সমস্যা কিন্তু বেশিদিন ফেলে রাখা ঠিক নয়। পরবর্তীতে এখান থেকেই আসে জটিলতা। তাই যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের মধ্যে থেকে যাচ্ছে লং কোভিডের সম্ভাবনা। এই সব সমস্যার জন্য প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
পিঠে ব্যথা- যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের পিঠে ব্যথা, কোমরে ব্যথার মত সমস্যা বেশ ভোগাচ্ছে। বিশেষত পিঠের নীচের দিকে ব্যথা। এই রকম সমস্যা বেশ কিছুদিন থাকছে। আর তাই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
সর্দি-কাশি- এবারে বেশিরভাগ আক্রান্তেরই সর্দি-কাশির সমস্যা থাকছে। আর কাশি, কফের সমস্যা থেকে যাচ্ছে দীর্ঘদিন। কফ কিন্তু বসে গেলে খুব সমস্যা। সে বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। গার্গল করা, ভেপার নেওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মত ওষুধ খান। এছাড়াও ঘরোয়া কিছু টোটকা মেনে চলতে পারেন।
খিদে মন্দা- কফ, কাশি বা সামান্য জ্বরেই বেশ কিছুদিন খিদেমন্দা থেকে যায়। মুখে তেমন স্বাদ থাকে না। যে কোনও খাবারই তেতো লাগে। এছাড়াও খিদে পায় না। কিন্তু এই সময় জোর করে হলেও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। প্রোটিন রাখুন। এবং এমন কিছু খাবার খান যাতে কফের সমস্যা দূর হয়।
নাক বসে থাকা- অনেকের ক্ষেত্রেই দীর্ঘদিন নাক বসে থাকতে। নিয়মিত ড্রপ নিতে হচ্ছে। যা প্রতিদিন নেওয়া যেমন ঠিক নয় তেমনই শরীরের জন্যও খারাপ। এই সমস্যা একেবারেই অবহেলা নয়। অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Omicron Symptoms: ত্বকে এই ৪ রকমের সংক্রমণও কিন্তু হতে পারে কোভিডের উপসর্গ! সতর্ক থাকুন