Ashwagandha: দুশ্চিন্তা কমছে না, ডিপ্রেশনের শিকার হচ্ছেন, মুক্তি দেবে অশ্বগন্ধা
৩,০০০ বছর ধরে মনের দুশ্চিন্তা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে অশ্বগন্ধা। সংস্কৃত শব্দ অশ্বগন্ধার অর্থ অশ্ব, অর্থাৎ ঘোড়ার সুবাস। এর সুবাস অনন্য। মানসিক শক্তি বাড়াতে কার্যকরী।
শরীর সুস্থ রাখতে একসময় প্রাচীন ভেষজ উপাদান অশ্বগন্ধার সাহায্য নিতেন চিকিৎসকরা। শরীর থেকে স্ট্রেস দূর করে অশ্বগন্ধা। এটিকে বলা হয় অ্যাডাপটোজেন। এই উপাদানের কারণেই দুশ্চিন্তার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। শরীরে ও মস্তিষ্কের একাধিক উপকার করে অশ্বগন্ধা।
১. দুশ্চিন্তা দূর করে
৩,০০০ বছর ধরে মনের দুশ্চিন্তা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করছে অশ্বগন্ধা। সংস্কৃত শব্দ অশ্বগন্ধার অর্থ অশ্ব, অর্থাৎ ঘোড়ার সুবাস। এর সুবাস অনন্য। মানসিক শক্তি বাড়াতে কার্যকরী।
২. ডায়াবিটিজ়
ডায়াবিটিজ়ের কারণে অনেকেই ভোগেন। এখন বয়স হলেই যে ডায়াবিটিজ় হবে, তার কোনও মানে নেই। ডায়াবিটিজ় হতে পারে যে কোনও বয়সে। রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে যে কোনও বয়সেই। নিয়মিত অশ্বগন্ধা খেলে ডায়াবিটিজ় বা ব্লাড সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধক
বিভিন্ন পশু ও টেস্ট টিউব পরীক্ষায় বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, অশ্বগন্ধা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে। ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ নির্মূল করে দিতে পারে।
৪. কর্টিসোলের মাত্রা কমায়
শরীরে কর্টিসোল হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে দুশ্চিন্তা গ্রাস করতে পারে অনায়াসে। অশ্বগন্ধা খেলে কর্টিসোলের মাত্রাও বাড়তে পারে শরীরে।
৫. ডিপ্রেশন দূর করে
অনেক কারণে আমাদের মন খারাপ হতে পারে। আমরা মন মরা হয়ে যেতে পারি। ডিপ্রেশন গ্রাস করতে পারে আমাদের। তখন নিরুপায় হওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। অশ্বগন্ধা কিন্তু ডিপ্রেশন দূর করতে সহায়ক।
৬. টেস্টোস্টেরন হরমোন
একবার একটি পরীক্ষা চালানো হয় ৭৫জন পুরুষের মধ্যে। প্রত্যেকেই সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য অক্ষম। প্রত্যেককেই অশ্বগন্ধা খেতে দেওয়া হয়। দেখা যায় তাঁদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে।
৭. কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইডস
অনেকের কোলেস্টেরস কিংবা ট্রাইগ্লিসারাইডসের সমস্যা থাকে। তেলযুক্ত বা ফ্যাট যুক্ত খাবার তাঁদের জন্য বিষের সমান। তাঁরা খেতে পারেন অশ্বগন্ধা।
আরও পড়ুন: Leftover Rice Recipes: বাড়িতে বাড়তি ভাত ফেলে না দিয়ে এই রেসিপিগুলো বানিয়ে ফেলুন…