Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Polycystic ovary syndrome: রোজকার ডায়েটে কোন খাবার খাবেন, কী কী এড়িয়ে যাবেন, জানুন

সন্তান জন্মদানের পর, অধিকাংশ মহিলা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত হোন। শরীরের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়।

Polycystic ovary syndrome: রোজকার ডায়েটে কোন খাবার খাবেন, কী কী এড়িয়ে যাবেন, জানুন
পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 21, 2021 | 8:14 AM

মহিলাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কিত রিপোর্ট বলছে, ৩ জন মহিলার মধ্যে প্রায় ১ জনের মধ্যে পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে (Polycystic ovary syndrome) আক্রান্ত হয়। শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণ পলিসিস্টিক ওভার সিন্ড্রোম (PCOS)-এর মতো অবস্থার ঝুঁকি বৃদ্ধি ঘটে। এই সমস্যার মোকাবিলা করা গুরুত্বপূ্র্ণ। অনিয়মিত মাসিক ও মিসড পিরিয়ড হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। যা মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ঠিক নয়। সময়মতো চিকিত্‍সা না করা হলে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে ওঠে। এর কারণে ডিম্বাশয়ে বন্ধ্যাত্ব ও সিস্ট গঠনের দিকে পরিচালিত করতে সক্ষম। পলিসিস্টিক ওভারির প্রাথমিক লক্ষণগুলির মধ্যে অনিয়মিত পিরিয়ড, ব্রণ, অবাঞ্ছিত লোম বৃদ্ধি, ওজন বৃদ্ধি, কালচে ত্বক অন্যতম।

পিসিওএসের প্রবণতা থাকলে মহিলাদের ডায়েটের উপর কড়া নজর রাখা প্রয়োজন।

বেরি- রোজকার ডায়েটে স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, রাস্পবেরি ও ব্ল্যাকবেরি-সহ বিভিন্ন ধরনের বেরি আন্তর্ভুক্ত রাখতে হবে। প্রদাহবিরোধী বৈশিষ্ট্যযুক্ত খাবারের এই অবস্থায় গ্রহণ করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বেরির গুণে পিসিওএসের উপসর্গুলি প্রশমিত করতে সাহায্য করে।

চর্বিযুক্ত মাছ- সামুদ্রিক খাবার, যেমন ম্যাকেরেল, স্যামন, হেরিং এইসব মাছে স্বাস্থ্যকর চর্নি ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা আপনার ডায়েটে তালিকাভুক্ত করা উচিত।

বাদাম- আখরোট, বাদাম- এই ধরণের বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বাদাম বহুমুখী খাবার। সকালে ব্রেকফাস্টের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার তৈরিতে বাদাম যোগ করতে পারেন। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।

কী কী খাবেন না

যে যে খাবারগুলি এড়িয়ে চলবেন, সেগুলি হল

প্যাকেটজাত খাবার- মিষ্টি সিরিয়াল, ডেসার্ট, ক্যান্ডি জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারেই বর্জন করুন। এই জাতীয় কাবার শরীরে প্রবেশ করলে আখেরে নিজেদেরকেই ক্ষতি করা। এই খাবারের ফলে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে ক্ষতি করতে পারে ও অতিরিক্ত মেদ জমে ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।

রেড মিট- শুয়োরের মাংস, মটন জাতীয় মাংস যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। এছাড়া ভাজাভুজি খাবারগুলি অস্বাস্থ্যকর চর্বির উত্‍স। এগুলি সবসময়ই এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, এগুলি হরমোনের ভারসাম্যহীন ও ওজন বৃদ্ধির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে রেড মিট ক্ষতিকর নয়।

চিনি– পিসিওএসে ভুগলে শরীরে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অতিরিক্ত চিনির ব্যবহার মাত্রায় বৃদ্ধি পেতে পারে ও অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত। সোডা, প্যাকেটজাত জুস ও স্মুদি জাতীয় খাবার সীমিত করার চেষ্টা করুন।

আরও পড়ুন: দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারে কাজ করলে কবজি অসাড় হয়ে যায়? অবহেলা করলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে!