PCOS-Keto Diet: পিসিওএস-এর সমস্যায় ওজন কমাতে কিটো ডায়েটই সেরা, দাবি নতুন গবেষণায়

Women Health: পিসিওএস-এর ক্ষেত্রে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে কার্যকর কিটো ডায়েট। চটজলদি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিটো ডায়েটকে পাল্লা দেওয়ার মতো কেউ নেই। ফ্যাট গলানোর ক্ষেত্রে কিটো ডায়েটের জবাব নেই।

PCOS-Keto Diet: পিসিওএস-এর সমস্যায় ওজন কমাতে কিটো ডায়েটই সেরা, দাবি নতুন গবেষণায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2023 | 9:15 AM

চিকিৎসকেরা সবসময় বলেন যে, লাইফস্টাইলের মাধ্যমে পিসিওএস-এর সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। লাইফস্টাইলের মধ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে ডায়েট। আপনি কী খাচ্ছেন, কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন এবং কখন খাচ্ছেন এগুলো গুরুত্বপূর্ণ। পিসিওএস-এর ক্ষেত্রে ডায়েটে আরও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু কোন ধরনের ডায়েটে পিসিওএস-এর উপসর্গকে কমানো যাবে, জানেন? সাম্প্রতিকতম গবেষণা বলছে, যাঁদের পিসিওএস রয়েছে, সেই সব মহিলাদের মধ্যে কিটোজেনিক ডায়েট ওজন কমাতে সাহায্য করে।

চটজলদি ওজন কমানোর ক্ষেত্রে কিটো ডায়েটকে পাল্লা দেওয়ার মতো কেউ নেই। পিসিওএস-এর ক্ষেত্রে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তার সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যও বজায় রাখতে হবে। এক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য বিশ্লেষণমূলক গবেষণায় দেখা গেছে, ৪৫ দিনের জন্য কম কার্ব‌োহাইড্রেট ও উচ্চ চর্বিযুক্ত খাবার খেয়ে মহিলাদের দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রয়েছে।

বর্তমানে পিসিওএস সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রজননের বয়সকালে ৮-১৩ শতাংশ মহিলাদের মধ্যে এই পিসিওএস-এর সমস্যা দেখা দেয়। পিসিওএস-এ অনিয়মিত ঋতুস্রাব, কম ডিম্বস্ফোটন, অতিরিক্ত মাত্রায় পুরুষ হরমোন নিঃসরণ এবং ডিম্বাশয়ে সিস্ট দেখা দেয়। এর জেরে চুল পড়া, শুষ্ক ত্বক, ব্রণ, ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ প্রকাশ পায়। তাই এসব উপসর্গ ও সমস্যাকে বশে রাখতে গেলে ডায়েটের উপর জোর দিতে পারে,

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সব মহিলা ৪৫ দিন পর্যন্ত কিটো ডায়েট মেনে চলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে পুরুষ হরমোন টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমেছে। ১৭০ মহিলার উপর এই গবেষণা করা হয়। দেখা যায়, কিটো ডায়েট তাঁদের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ও ওজনের উপর প্রভাব ফেলেছে। পিসিওএস-এ আক্রান্ত হলে অনিয়মিত পিরিয়ড, কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, সুগার বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তার সঙ্গে অন্যান্য বিপাকীয় স্বাস্থ্য সমস্যাও রয়েছে। এক্ষেত্রে কিটো ডায়েট ভীষণ কার্যকর।

কিটো ডায়েটে শরীরকে কিটোসিসের বিপাকীয় অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। এই ডায়েটের মাধ্যমে কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে কাজ করার শক্তির জন্য চর্বি পোড়ানো হয়। তাই ওজন কমতে একদম সময় লাগে না। কিটো ডায়েট পিসিওএস-এ আক্রান্ত মহিলাদের ফলিকল-স্টিমুলেটিং হরমোনের অনুপাত কমাতে সাহায্য করেছে। এন্ডোক্রাইন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা অনুযায়ী, কিটো ডায়েট মেনে চলার ফলে মহিলাদের প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নত হয়েছে। আর ফ্যাট গলানোর ক্ষেত্রে কিটো ডায়েটের জবাব নেই।