Climate Change And Health: আচমকা বৃষ্টি আর তাপমাত্রার পরিবর্তন থেকে জ্বর-সর্দি? যে সব সাবধানতা অবশ্যই মেনে চলবেন…
Health Tips: শরীর সুস্থ রাখতে হলে বাইরের খাবার এড়িয়ে যান। বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে ফিরলে আদা দেওয়া চা খান
পুজো পণ্ড করতে যে বর্ষাসুর আসছে তার আগাম আভাষ আগেই দিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া দফতর। ষষ্ঠীতে বোধনের পরই শহর ভেসেছিল বৃষ্টিতে। ছাড় পেল না সপ্তমী, অষ্টমীও। কলকাতা-সহ আশপাশের প্রচুর জেলাতেও অষ্টমীর সন্ধ্যে ভেসেছে বৃষ্টিতে। সকালবেলায় রোদ-গরম আর বিকেলের হঠাৎ বৃষ্টিতে ভিজলে শরীর খারাপ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। খামখেয়ালী এমন আবহাওয়াতে বাড়ছে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ। শীত না পড়া অবধি ব্যাটিং চালাবে ডেঙ্গি। আর তাই সকলকে সাবধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। ঠাকুর দেখতে বেরোলে সঙ্গে অবশ্যই ছাতা রাখবেন। বৃষ্টিতে ভিজলে বাড়ি ফিরে মাথা ভাল করে মুছে নিতে ভুলবেন না। বৃষ্টির জমা জলে কিন্তু মশার বংশবৃদ্ধি হয়। তাই বাড়ির আশে পাশে কোথাও জল জমতে দেবেন না। যাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কম তাঁরা আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান।
ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে যদি বৃষ্টিতে ভিজে যান তাহলে বাইরে আইসক্রিম, কোল্ড ড্রিংক খাবেন না। এতে ঠাণ্ডা বসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি। বাইরের গরম খাবার খান। তেলেভাজা এড়িয়ে যেতে পারলেই ভাল। যে কোনও খাবার খাওয়ার আগে হাতে স্যানিটাইজার দিন।
যেহেতু রাত জেগে ঠাকুর দেখা হয় তাই বিরিয়ানি, কোল্ড ড্রিংকের পরিবর্তে রুটি, তরকারি এসবই খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে শরীর ভাল থাকবে। হজমের সমস্যা হবে না।
বাড়ি ফিরে আদা, গোলমরিচ দেওয়া চা অবশ্যই খান। ভেজা জামাকাপড়ে বেশিক্ষণ থাকবেন না। প্রয়োজনে বাড়ি ফিরে স্নান করে নিন। এতে ঠাণ্ডা লাগবে না।
যেহেতু ডেঙ্গি বাড়ছে তাই বাড়ি ও তার আশপাশ জলহীন রাখার পাশাপাশি কয়েকটা নিয়ম মেনে চলুন। বাড়ি ঝাড়পোঁছ করে পরিষ্কার রাখতে হবে। যাঁদের চৌবাচ্চা আছে, তাঁরে বেশি সাবধান। স্থির, বদ্ধ জলে ডেঙ্গির মশা ডিম পাড়ে। মশা হলে তা নির্মূল করার জন্য যে পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর মনে হবে তা মেনে চলুন। অনেকে বলেন যে পাতিলেবু অর্ধেক করে কেটে, তার মধ্যে লবঙ্গ গুঁজে ঘরের চারদিকে ছড়িয়ে রাখলে মশা বাড়তে পারে না। এই পদ্ধতি ট্রাই করে দেখতে পারেন। ডিফিউসারে সিট্রোনেলা তেল দিয়ে জ্বালানো যায়। তার গন্ধেও মশা আসে না।