Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যেতে পারে, উপসর্গগুলি জানুন
schizophrenia Symptoms: নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার কারণে সিজোফ্রেনিয়া হতে পারে। যদি কেউ জীবনে বড় ট্রমায় আক্রান্ত হয় বা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ ভোগ করে থাকে, তাহলে সিজোফ্রেনিয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি এবং উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিত্সা করান।
![Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যেতে পারে, উপসর্গগুলি জানুন Schizophrenia: সিজোফ্রেনিয়া এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে যেতে পারে, উপসর্গগুলি জানুন](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2024/06/schizophrenia.jpg?w=1280)
বর্তমান জীবনযাত্রা ও কাজের চাপে মানুষ বড় একা হয়ে পড়ছে। যার ফলে হতাশা এবং তার থেকে বিভিন্ন মানসিক রোগের হার বাড়ছে। সিজোফ্রেনিয়া এমনই একটি মানসিক রোগ। যদিও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর খুব কম রোগীরা বুঝকে পারেন। পরে যখন এটি সম্পর্কে জানতে পারেন তখন রোগটি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এর থেকে বড় সমস্যা হতে পারে। তবে প্রথমেই রোগের উপসর্গ বুঝে চিকিৎসা শুরু করলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।
চিকিৎসকদের মতে, সিজোফ্রেনিয়া একটি মানসিক সমস্যা। এতে মস্তিষ্কের কিছু অংশে রাসায়নিকের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। এর ফলে চিন্তাভাবনা, কর্মক্ষমতা ও আবেগ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। যাদের এই রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
সিজোফ্রেনিয়া এমন একটি রোগ, যা শুধুমাত্র রোগীকে নয় তার পুরো পরিবারকে প্রভাবিত করে। এই রোগ সম্পর্কে একটি ভুল ধারণা হল, অনেকেই এই রোগের রোগীদের পাগলামির শিকার বলে মনে করে। কিন্তু আদতে তা নয়। অন্যান্য মানসিক সমস্যার মতো সিজোফ্রেনিয়াও একটি সমস্যা। এই রোগের নানা কারণ হতে পারে, যার মধ্যে অন্যতম, মানসিক চাপ। এছাড়া আরেকটি কারণ হল, জিনগত কারণ। অর্থাৎ যদি বাবা-মায়েরা মধ্যে একজনের সিজোফ্রেনিয়া থাকে, তবে এটা সন্তানের হওয়ার সম্ভাবনা ১০-১২ শতাংশ থাকে এবং অল্প বয়সেই এর লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। সিজোফ্রেনিয়া রোগীরা অনেক সময়ই সামাজিক বিচ্ছিন্নতার শিকার হয়। তার পরিবারও একই সমস্যার শিকার হতে পারে।
মানসিক চাপ ঝুঁকি বাড়ায়
গুরুগ্রামের নিউরোসার্জন ডাঃ হিমাংশু চম্পানেরি জানান, নিউরোট্রান্সমিটারের ভারসাম্যহীনতার কারণে সিজোফ্রেনিয়া হতে পারে। যদি কেউ জীবনে বড় ট্রমায় আক্রান্ত হয় বা দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ ভোগ করে থাকে, তাহলে সিজোফ্রেনিয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। এমতাবস্থায় রোগী যাতে কোনও ধরনের মানসিক চাপে না পড়ে সেই চেষ্টা করতে হবে। এর জন্য পরিবারের উচিত তার সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করা।
রোগীরা কি সুস্থ হয়ে ওঠেন?
চিকিৎসকরা বলছেন, যেসব রোগী জিনগত কারণে সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হয়, তাদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি গুরুতর। যেখানে বাহ্যিক কারণে বা মস্তিষ্কের ক্রিয়াকলাপে ব্যাঘাতের কারণে এই সমস্যা হয়, তাদের ওষুধের মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে জেনেটিক রোগীদের সুস্থ হতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু, এর মানে এই নয় যে সিজোফ্রেনিয়া নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। কেবল এই রোগ সম্পর্কে সচেতন হওয়া জরুরি এবং উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিত্সা করান।
সিজোফ্রেনিয়ার উপসর্গ কী?
সিজোফ্রেনিয়ায় আক্রান্ত হলে যে উপসর্গগুলি দেখা যাবে, সেগুলি হল-
১) একা থাকার ইচ্ছা
২) কথা কম বলা
৩) মনে হবেন যে, কেউ সবসময় আপনার উপর নজর রাখছে
৪) নিজের একটা আলাদা জগৎ হবে।