Attack On Banking System: ব্যাঙ্কিংয়ে মহাবিপদ, অ্যাকাউন্টে ‘আশঙ্কা’

ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের ওপর বড়মাপের সাইবার অ্যাটাকের আশঙ্কা। আশঙ্কা সত্যি হলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা আসবে। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যাঙ্কে জমানো আপনার টাকাও হয়তো নিমেষে উবে যাবে।

Attack On Banking System: ব্যাঙ্কিংয়ে মহাবিপদ, অ্যাকাউন্টে ‘আশঙ্কা’
| Edited By: | Updated on: Jul 06, 2024 | 5:10 PM

এই মুহূর্তে দেশে কার্যত ওয়ার লাইক সিচুয়েশন। এটা এমন যুদ্ধ যা আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কোনও সংবাদমাধ্যমেও আপনারা যুদ্ধের খবর পাচ্ছেন না। কিন্তু যুদ্ধটা চলছে। সেটা হল ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের ওপর বড়মাপের সাইবার অ্যাটাকের আশঙ্কা। আশঙ্কা সত্যি হলে ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থায় বড় ধাক্কা আসবে। গ্রাহকদের ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা। ব্যাঙ্কে জমানো আপনার টাকাও হয়তো নিমেষে উবে যাবে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়ায় আমরা এই জিনিস দেখেছি। এইসব দেশে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমটাই ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছিল। আর তাই খবরটা আমাদের সবার কাছে জরুরি। খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এ নিয়ে সতর্ক করার পর কাজে নেমেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কী বলছে? গত ২৪শে জুন সব ব্যাঙ্কে একটা নির্দেশিকা পাঠায় আরবিআই। বলা হয়, ভারতে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের ওপর হামলা হতে পারে বলে নির্দিষ্ট তথ্য মিলেছে। ফলে ২৪ ঘণ্টাই সাইবার নিরাপত্তায় ব্যাঙ্কগুলিকে নজরদারি চালাতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলায় তৈরি থাকতে হবে ব্যাঙ্কের সাইবার সেলকে। পরে, গ্রাহক সুরক্ষা নিশ্চিত করতেও ব্যাঙ্কগুলিকে পাঁচ দফা নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। ব্যাঙ্ককর্তারা বলছেন, এটা কোনও রুটিন নির্দেশিকা নয়। এর আগে কখনও এত নির্দিষ্ট করে সাইবার হামলা নিয়ে সতর্ক করেনি আরবিআই। বিভিন্ন সূত্রে যে খবর পেলাম, সেটা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। গত কয়েকবছরে নানা দেশে সাইবার হামলা চালিয়ে কুখ্যাত হয়ে উঠেছে লুজসেক নামে একটা গ্রুপ। ন্যাশনাল সাইবার কো-অর্ডিনেশন সেন্টার বা NCCOC-এর কাছে খবর, এবার ভারতের ওপর নজর পড়েছে লুজসেকের। এই গোষ্ঠী মূলত ভাইরাস হামলায় ব্যাঙ্কের সিস্টেম অকেজো করে দেয়। যেটুকু সময় সিস্টেম অকেজো থাকে, তার মধ্যেই গ্রাহকদের তথ্য হাতিয়ে নেয়। আমেরিকার সাইবার অ্যাটাক কাউন্টার সেল গত বছর জানিয়েছিল যে লুজসেক গ্রুপ ভেঙে গিয়েছে। তবে দেখা যাচ্ছে এখনও তারা ভালোমতোই সক্রিয়। আর ভারতে সাইবার হামলা হলে সেটা শুধু যে ব্যাঙ্কের ওপর হবে, এমন তো নয়। প্রতিরক্ষা-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সাইটগুলোর ওপরও সাইবার হামলা হতে পারে। ঘটনার গুরুত্ব বুঝেই তাই অপারেশনে নেমেছে দেশের সব এলিট সাইবার এজেন্সি। NCCOC-র পাশাপাশি অপারেশনে সামিল সাইবার অ্যাটাক প্রিভেনশন সেল। ন্যাশনাল ডেটা ইন্টিগ্রেশন সেন্টার ও ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার। যার লক্ষ্য হলো, সাইবার হামলার সম্ভাবনাকে প্রথমেই চিহ্নিত করা ও সেই চেষ্টা রুখে দেওয়া। এর আগে সিঙ্গাপুরে সাইবার হানায় বহু মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা করে দিয়েছিল লুজসেক। ভারতেও যে এমন ঘটনা ঘটেনি, তা নয়। ২০১৮ সালেই কসমস ব্যাঙ্কে সাইবার হামলায় ৮ হাজার অ্যাকাউন্ট খালি হয়ে গিয়েছিল। মহারাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরনো এই সমবায় ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা হারিয়েছিলেন ৯৪ কোটি টাকা। সিঙ্গাপুরে কয়েকশো কোটি টাকা খুইয়েছিলেন গ্রাহকরা। মনে রাখতে হবে যে সাইবার অপরাধীরা এখন বেশিরভাগ ডার্ক ওয়েব থেকেই অপারেশন চালাচ্ছে। আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ অনেকক্ষেত্রেই তাদের সফট টার্গেট।

 

 

Follow Us: