Cholesterol: এই ওষুধে কোলেস্টেরল এক ধাক্কায় কমবে ৭০ শতাংশ, দাবি গবেষকদের

Oral Drug: সম্প্রতি গবেষকরা এমন ওষুধের খোঁজ দিয়েছেন যা এক নিমেষে ৭০ শতাংশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

Cholesterol: এই ওষুধে কোলেস্টেরল এক ধাক্কায় কমবে ৭০ শতাংশ, দাবি গবেষকদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 19, 2022 | 11:34 AM

অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার কারণে শরীর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। আর একবার এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা ধরা পড়লে খাওয়া-দাওয়ার উপর রাশ টানতে হয়। তখন কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জীবনধারায় নানা পরিবর্তন আনতে হয়। এর পাশাপাশি চিকিৎসাধীন থাকতে হয়। অর্থাৎ নিয়মিত ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। দীর্ঘদিন চিকিৎসার মধ্যে থাকলে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও তার পরেও আপনাকে সাবধান থাকতে হয়। কিন্তু সম্প্রতি গবেষকরা এমন ওষুধের খোঁজ দিয়েছেন যা এক নিমেষে ৭০ শতাংশ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।

সেল রিপোর্ট জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে ওই ওষুধের নাম PCSK9। এই ওষুধটি রক্ত থেকে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বের করে নিতে সাহায্য করে। আমেরিকার যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি হসপিটালস (ইউএইচ) এবং কেস ওয়েস্টার্ন রিজার্ভ ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিনে পরিচালিত ওই গবেষণায় গবেষকরা PCSK9-এর অণুগুলো পরীক্ষা করেন। সেখানেই দেখা গিয়েছে, ওই ওষুধে কোলেস্টেরলের মাত্রা এক ধাক্কায় ৭০ শতাংশ কমে গিয়েছে।

কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। কোলেস্টেরল হল মোম জাতীয় পদার্থ। রক্ত ধমনীর দেওয়ালে যখন খারাপ কোলেস্টেরল জমতে থাকে তখন শরীরে নানা ধরনের উপসর্গ প্রকাশ পায়। পাশাপাশি এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে গেলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও বেড়ে যায়। পশ্চিমী বিশ্বে কোলেস্টেরল মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ।

গবেষকরা জানিয়েছেন, PCSK9 কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর নতুন উপায়। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণের কেন্দ্রবিন্দু হল এলডিএল রিসেপ্টর, যা লিভার কোষের পৃষ্ঠে থাকে এবং রক্ত ​​থেকে কোলেস্টেরল অপসারণ করে, যার ফলে সিরামের মাত্রা কমে যায়। PCSK9 রক্তে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। মূলত PCSK9 সেই এজেন্টের বিরুদ্ধে কাজ করে যেটা এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। ওই ওষুধ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এই ড্রাগের মধ্যে নাইট্রিক অক্সাইড রয়েছে। এই অণু রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে।

তবে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে গেলে শুধু ওষুধের উপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে গেলে খাওয়া-দাওয়ার উপরও বিশেষভাবে যত্ন নিতে হয়। পাতে এমন খাবার রাখুন যার মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। দানাশস্য, শাক-সবজি, বাদাম ইত্যাদি। ফাস্ট ফুডের পরিমাণ কমান। খাবারে তেলের ব্যবহারও কমাতে হবে। পাশাপাশি নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে।