Anti-Tobacco Day 2025: দুম করে সিগারেট ছাড়বেন নাকি ধীরে ধীরে সংখ্যা কমাবেন? ধূমপান ছাড়ার সহজ নিয়ম জানালেন চিকিৎসক
আজ, ৩১ মে তামাক বিরোধী দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বছরের এই দিনটি বেছে নিয়েছে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য। এবং তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে উৎসাহিত করার জন্য। এমন দিনে বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রতীক বিশ্বাসের কাছ থেকে আমরা জেনে নিয়েছি ধূমপান ছাড়ার সহজ নিয়ম।

ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক… বিভিন্ন জায়গায় এই বার্তা কমবেশি সকলের নজরে পড়ে। অ্যান্টি স্মোকিংয়ের প্রচার যতই করা হোক না কেন, অনেকেই এই বিষয়ে কর্ণপাত করেন না। আজ, ৩১ মে তামাক বিরোধী দিবস। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বছরের এই দিনটি বেছে নিয়েছে তামাকের ক্ষতিকর দিকগুলো সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য। এবং তামাকমুক্ত সমাজ গড়তে উৎসাহিত করার জন্য। এমন দিনে বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রতীক বিশ্বাসের কাছ থেকে আমরা জেনে নিয়েছি ধূমপান ছাড়ার সহজ নিয়ম। নিওটিয়া মেডিপ্লাসের কনসালটেন্ট পালমোনোলজিস্ট এ বিষয়ে কী জানিয়েছেন? জেনে নিন বিস্তারিত।
যে সকল ব্যক্তিরা রোজ সিগারেট খান, তাঁদের অনেকে হুট করে ছাড়তে গিয়ে সমস্যায় পড়েন। অনেকে বলেন, সিগারেট ছাড়ার কথা ভাবলে অত কিন্তু কিন্তু না করে, ঝটপট ছেড়ে দেওয়া উচিত। কেউ কেউ আরও বলেন, ধীরে ধীরে সিগারেট মুক্ত জীবনের দিকে পা বাড়ানো উচিত। দীর্ঘদিনের অভ্যাস ত্যাগ করলে সমস্যা যে বিরাট হয়। বিশিষ্ট চিকিৎসক প্রতীক বিশ্বাস এই প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘ধূমপান বন্ধ করার যে প্রক্রিয়া রয়েছে, তার জন্য আমরা সাধারণত তিন-পদক্ষেপের মডেল ব্যবহার করি। যেমন Ask-Advise-Connect অথবা Ask-Advise-Refer।’
একবার ধূমপান ছাড়ার জন্য যাঁরা মনস্থির করেন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেন, তাঁদের যে ত্রি-স্তরীয় মডেল মেনে চলার কথা বলেছেন ডক্টর প্রতীক বিশ্বাস তা হল, ‘সকল রোগীকে তামাক ব্যবহার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে হবে। সকল ধূমপায়ী রোগীকে তামাক ব্যবহার বন্ধ করার পরামর্শ দিতে হবে। সকল রোগী যারা ধূমপান করেন, তাঁদের ফার্মাকোথেরাপি এবং আচরণগত দুই ভাবেই চিকিৎসা করতে হবে। তারপর একখানা ধারনা পেলে সেই মতো চিকিৎসা পন্থা বদল করতে হবে। বা যে পথে এগোলে ফল মিলতে পারে, সেই পথে রোগীকে হাঁটার কথা বলতে হবে।’
যে ত্রি-স্তরীয় মডেলের কথা বলা হচ্ছে ধূমপান বন্ধ করার জন্য, তা পূর্ববর্তী কাঠামো থেকে আলাদা। এটি এমন এক পদ্ধতি, যেখানে রোগীকে ধূমপান ছাড়ার জন্য উৎসাহিত করা হয়। চিকিৎসকরা ধূমপানকারী সমস্ত রোগীকে সুষ্ঠুভাবে চিকিৎসা প্রদান করেন। এই মডেলের মাধ্যমে, চিকিৎসকরা ট্রিটমেন্ট দেওয়ার আগে রোগীর ধূমপান বন্ধ করার প্রস্তুতি মূল্যায়ন করেন না। বা কোন পর্যায়ের কোন সময় ধূমপান বন্ধ করা দরকার, সেই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন না। রোগীকে স্বাধীনতা দেওয়া হয়। তবে, এই পদ্ধতিতে চিকিৎসকরা আবার প্রদত্ত চিকিৎসার বিকল্পগুলিতে আগ্রহী নন।
কোনও কোনও রোগী নির্দিষ্ট দিন ঠিক করে ধূমপান ছাড়েন। ওই প্রসঙ্গে চিকিৎসক প্রতীক বিশ্বাস বলেন, ‘ধূমপান ত্যাগের তারিখ নির্ধারণ করুতে পারেন। আমরা রোগীকে দুই থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে ধূমপান ত্যাগের তারিখ নির্ধারণে সাহায্য করে থাকি। এই সময়টার মধ্যে ধূমপান ত্যাগের ওষুধ দেওয়া হয় এবং ধূমপান ছাড়ার চেষ্টা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হয়। যেহেতু সামনে একটি নির্দিষ্ট তারিখ থাকে, তাই সেই মতো ধাপে ধাপে এগোনো যায়। আমরা সাধারণত রোগীদের ধূমপানের জন্য নির্ধারিত ও নির্দিষ্টি তারিখেই ধূমপান ত্যাগ করার পরামর্শ দিই। তবে ধূমপান ছাড়ার তারিখ আসার আগে ধীরে ধীরে তা কমানো একটি অন্যতম গ্রহণযোগ্য বিকল্প হিসেবে দেখি আমরা।’
