AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Sickle Cell Anemia: হাত-পা ফুলে যাওয়া এই ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হতে পারে, কীভাবে বুঝবেন?

Sickle Cell Anemia: সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগ লাল রক্ত ​​​​কোষকে প্রভাবিত করে এবং এর কারণে শরীরে এই কোষগুলির ঘাটতি হয়। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগের ফলে লোহিত রক্তকণিকার আকৃতির পরিবর্তন হয়। যার ফলে শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

Sickle Cell Anemia: হাত-পা ফুলে যাওয়া এই ভয়ঙ্কর রোগের কারণ হতে পারে, কীভাবে বুঝবেন?
প্রতীকী ছবি।Image Credit: istock
| Updated on: Jun 22, 2024 | 7:26 PM
Share

রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ার কথা তো সকলেই জানেন। শিশু থেকে বয়স্ক, অনেকেই এই রোগের শিকার। বিশেষত, মহিলারা বেশি অ্যানিমিয়ায় ভোগেন। তবে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু, সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার কথা জানেন? এই রোগ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

রক্ত সংক্রান্ত রোগ হল সিকেল সেল অ্যানিমিয়া। এই রোগটি কিছুটা বিরল হলেও অনেকেই আক্রান্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সারা বিশ্বে সিকেল সেল অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত প্রায় ৪৪ লক্ষ রোগী রয়েছে। ভারতেও এমন ঘটনা রয়েছে। এটি একটি বিপজ্জনক রক্তের অসুখ। সময়মতো চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগের কারণে রোগীকে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। জন্মের সময়ও শিশু এই রোগে আক্রান্ত হতে পারে। আসুন, এই রোগ সম্পর্কে জেনে নিন

সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগ আদতে কী?

ম্যাক্স হাসপাতালের অঙ্কোলজিস্ট এবং হেমাটোলজিস্ট ডা. রোহিত কাপুর এই রোগের ব্যাখ্যা করে জানান, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগ লাল রক্ত ​​​​কোষকে প্রভাবিত করে এবং এর কারণে শরীরে এই কোষগুলির ঘাটতি হয়। সিকেল সেল অ্যানিমিয়া রোগের ফলে লোহিত রক্তকণিকার আকৃতির পরিবর্তন হয়। যার ফলে শরীরে রক্ত ​​সঞ্চালন ঠিকমতো হয় না।

সিকেল সেল অ্যানিমিয়া একটি জেনেটিক রোগ এবং প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী গড়ে ৩ লক্ষ শিশু সিকেল সেল অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে জন্ম নেয়। এই রোহে আক্রান্ত হলে লোহিত রক্তকণিকা ভেঙে যায়। ত্বকের কোষের রক্তশূন্যতার সৃষ্টি হয়। যার ফলে লোহিত রক্তকণিকা গঠনের গতি কমে যায়। কোষের আয়ুও কমে যায়।

একজন সাধারণ মানুষের মধ্যে লোহিত রক্তকণিকা ১২০ দিন স্থায়ী হয় এবং ধ্বংস হয়ে যায়। এরপরে নতুন এবং সুস্থ কোষ তৈরি হয়। কিন্তু, সিকেল সেল রোগে আক্রান্ত রোগীর ২০-৩০ দিনের মধ্যে লোহিত কণিকা ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে শরীরে সবসময় রক্তের অভাব থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের মাধ্যমে রোগীর চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে দাতা পাওয়া যায় না। রোগীর মৃত্যুও হতে পারে।

সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার উপসর্গ

সিকেল সেল অ্যানিমিয়ার উপসর্গগুলি হল, বারবার জ্বর হওয়া, শরীরে ফুলে যাওয়া, শরীর হলুদ হয়ে যাওয়া এবং দেহের ঠিকমতো বিকাশও হয় না।

কিভাবে শনাক্ত করা হয়?

এই রোগ হিমোগ্লোবিন ইলেক্ট্রোফোরেসিস রক্ত ​​​​পরীক্ষা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যদি কারও এই রোগের লক্ষণগুলি দেখা যায়, তাহলে এই পরীক্ষা করা উচিত।