Health Risk Of Sitting Too Long: একটানা ৮ ঘণ্টা বসেই কাজ করেন? এই মারণ রোগের কবলে পড়তে পারেন কিন্তু!
Health Risk: সারাক্ষণ বসে থাকলে হাড় দুর্বল হয়ে যায়। পেশীর শক্তি ক্ষয় হয়। এমনকী নিতম্বের হাড় ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়।
আজকের দিনে জীবনই চলছে ডিজিটালে। আলু, পেঁয়াজ কিনতে যাওয়া থেকে শুরু করে ফুচকা খাওয়া- পকেটে এক পয়সা না থাকলেও কাজ চলে যায়। শুধু কিছু অ্যাপ্লিকেশন আর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেই চলবে। অধিকাংশ অফিসেই ডেস্ক জব। ফলে সামনে ল্যাপটপ বা কম্পিটার কিছু তো একটা থাকবেই। লকডাউন পরবর্তী সময়ে কাজের ধারা বদলেছে। এখন বাড়িতে বসেই অধিকাংশ মানুষ নিজের কাজ সামলান। ফলে ঠায় বসে থাকতে হয় ল্যাপটপের সামনেই। আর একটানা কাজ করার ফলে শরীরে একাধিক সমস্যা আসে। বরং শক্তিক্ষয়ও বেশি হয়। আর এই বসে থাকতে থাকতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
সহজ কথায় বলতে গেলে, আমাদের শরীর একটা যন্ত্রের মতো। নিয়মিত ভাবে যদি সেই যন্ত্রে শান না দেওয়া হয় তাহলে তাতে মরচে পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত লাভের লাভ আর কিছুই হয় না। বরং শরীরে এসে জুড়ে বসে একাধিক সমস্যা। ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, কিডনির সমস্যা, ওবেসিটি, ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল এসব বাড়তেই থাকে। আসে চোখের সমস্যা, কোমরে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা। এখানেই শেষ নয়। তালিকা আরও লম্বা। দেখে নিন একটানা বসে কাজ করার ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
একটানা বসে কাজ করার ফলে আয়ু কমে যায়। বেশ কিছু গবেষণা বলছে দীর্ঘক্ষণ বসে থেকে কাজ করলে বয়সের উপর প্রভাব পড়ে। প্রতিদিন তখন ১ ঘণ্টা শরীরচর্চা করেও কোনও লাভ হয় না। যে কারণে প্রথম থেকেই সতর্ক থাকুন। নিয়ম করে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে।
বসে থাকলে চর্বি জমবেই। একটানা বসে কাজ করলে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাওয়া হয়। পেশির থেকে যে লাইপোপ্রোটিন মুক্তি পায় সেই লাইপেস খুব দ্রুত শরীরে শর্করা শোষণ করে ফেলে। ফলে শরীরে চর্বি জমতে শুরু করে।
একটানা বসে কাজ করলে বাড়ে ক্যানসারের ঝুঁকি। কোলনের ক্যানসার, এন্ডোমেট্রিয়াল ক্যানসার এবং ফুসফুসের ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়ে এইভাবে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে। গবেষণা বলছে যাঁরা দীর্ঘসময় বসে থাকেন তাঁদের ক্ষেত্রে হৃদরোগের ঝুঁকিও অনেক বেশি।
সারাদিন বসে বসে কাজ করলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায় ১১২ শতাংশ। যদিও এর সঠিক কোনও কারণ চিকিৎসকেরা বলতে পারেননি। তবে মনে করা হয় একটানা বসে থাকলে শরীরে ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন হয়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত শর্করা জমা হতে শুরু করে।