শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরানো কোনও সহজ কথা নয়। প্রচুর পরিশ্রম, সংযমের দরকার পড়ে। কিন্তু শুধু ওজন ঝরাবেন, এই মনস্থির করলেই তো হবে না। দরকার সঠিক ডায়েট ও ওয়ার্কআউট। কিন্তু ওজন ঝরানোর নেশায় আমরা ছোট খাটো ভুল সবসময় করেই থাকি। আর সেই ছোটখাটো ভুলগুলিই মেদ কমানোর লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না। অনেকেই বলেন, স্ন্যাকিং বলে কিছু হয় না। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ন্যাকস টাইমে কয়েক কিলো ওজন কমানোর জন্য যথার্থ উপায় হতে পারে। দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ও মনকে শান্ত করে তাই নয়, বরং উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবারও এই সময় খাওয়া যেতে পারে। পেট ভরাতে নয়, স্বাস্থ্যকর খাবারই এই সময় খাওয়া প্রয়োজন। তবে স্ন্যাক্সের সময় কী কী করলে আপনি দ্রুত স্লিম হবেন, তা জেনে নিন একঝলকে…
১. অতিরিক্ত খাওয়া মানেই স্বাস্থ্যকর নয়
ওজন কমানোর চেষ্টা করার সময় বেশিরভাগ স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস বেছে নেন। তা ব্যাপারটা ভালই। পুষ্টিকর খাবারের উপর ভরসা করা সবয়ময়ই প্রয়োজন। তবে অতিরিক্ত যদি খাবার খান. তাহলে সেটি আর স্বাস্থ্যকর থাকে না, ওজন কমানোর জন্য নিজেই নিজেকে বাধা তৈরি করছেন। স্ল্যাকসের সময় পুষ্টিকর বাদাম, ভুট্টা সেদ্ধ, সালাদ খেতে পারেন। কিন্তু সেটি অল্প অল্প করে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
২. স্ন্যাকসের সময় লোভ সংযম করুন-
স্ন্যাকসের সময় যতটা পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যায়, ততই ভাল। তবে অনেকের এমন হয় যে অল্প পরিমাণ খাওয়া ফলে আপনার পেট ভরতে নাও পারে। তাই আরও খাওয়ার ইচ্ছে থাকে। সেই সময় জাঙ্কফুড বা হাতের কাছে যা পাচ্ছেন তাই খাবেন, তা যেন না হয়।স্ন্যাকিংয়ের মূল উদ্দেশ্য হল তৃপ্তিবোধ করা ও অন্যান্য উচ্চ-ক্যালোরিযুক্ত খাবার এড়াতে আপনাকে সাহায্য করা।
৩. খিদে না পেলে স্ন্যাকিং নয়
ওজন হ্রাস করার পুরো ব্যাপারটাই সংকল্প ও ইচ্ছাশক্তির উপর নির্ভরশীল। স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার স্ন্যাকিংয়ের সময় আত্মতৃপ্তি ঘটায়। তবে অনেকেরই প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও জলখাবার-বিরতি নেওার প্রবণতা রয়েছে। খিদে না পেলে স্ন্যাকিং করবেন না।
৪. খাওয়ার আগে স্ন্যাকস অন্যের সঙ্গে ভাগ করে খান
ওজন কমানোর চেষ্টা যখন করছেনই তখন আশেপাশের স্থূলকায় মানুদের সচেতনতা বৃদ্ধি করতে করতেই নিজেরটাও করুন। ব্যাগ থেকে সরাসরি স্ন্যাকস বের করে পকাপক করে মুখে পুড়বেন না, অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নিন। নিজের অংশের খাবার অবশ্যই খাবেন, তবে একসঙ্গে ক্যালোরির খাবার না খাওয়াই উচিত। অন্যের সঙ্গে শেয়ার করলে কোথায় থামতে হবে তা জানাও হয়ে যাবে।
৫. স্ন্যাকসে সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবারই খাচ্ছেন তো!
ওজন কমানোক জন্য সন্ধ্যের সময় যে জলখাবারটি করেন, তা শরীরের জন্য কটা পুষ্টিকর ও তাতে কত পরিমাণে খনিজ ও ভিটামিন রয়েছে, তা জেনে নেওয়াও প্রয়োজন। সন্ধ্যের জলখাবার নিশ্চয় চিপসের একটি প্যাকেট দিয়ে শুরু করবেন না। বা চিনিযুক্ত কোনও খাবার এড়িয়ে যাবেন নিশ্চয়। এইগুলি আসলে শরীরের উপর নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। এই সময় ফাইবার যুক্ত খাবার খান, অ্যাভোকাডো, বাদাম শরীরকে হাইড্রেট রাখে ও স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সরবরাহ করে।