AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

World Breastfeeding Week 2021: সদ্য মা হয়েছেন? মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধিতে কোন খাবার খাবেন, কতটা ঘুমের প্রয়োজন, জানুন

সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন, তাঁদের শিশুর দেখভাল ও যত্ন নিতে গিয়ে নিজের শরীরের কথা মাথায় রাখেন না। আর এখানেই সকলে ভুল করেন। কারণ সদ্য মায়েদের এই সময় দরকার সঠিক পরিচর্চা।

World Breastfeeding Week 2021: সদ্য মা হয়েছেন? মাতৃদুগ্ধ বৃদ্ধিতে কোন খাবার খাবেন, কতটা ঘুমের প্রয়োজন, জানুন
সদ্যোজাতর সঙ্গে সঙ্গে নতুন মায়েদেরও যত্নের প্রয়োজন রয়েছে।
| Edited By: | Updated on: Aug 03, 2021 | 12:27 PM
Share

করোনাকালে সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন, তাঁদের জন্য বিশেষ করে জেনে রাখা ভাল, সদ্যোজাতকে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তন্যপান করালে আখেরে শিশুর ও মা, উভয়ের জন্যই স্বাস্থ্যকর। স্তন্যদুগ্ধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি, যা শিশুকে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম হয়। তাই শিশুর যত্নের জন্য সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাওয়া সব মায়েদের জন্য বিশেষ প্রয়োজন।সদ্যোজাত সন্তানের জন্য মাতৃদুগ্ধের কোনও বিকল্প নেই। শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য মায়ের দুধ যেমন অপরিহার্য তেমন যেসব মা স্তন্যপান করিয়ে থাকেন, তাঁদের স্বাস্থ্যের কথাও ভাবা উচিত। অনেকেই জানেন স্তন্যপান করালে হার্ট অ্যাটাক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এছাড়া যেসব মায়েরা স্তন্যপান করান, তাঁরা ভেবে পান না কী কী খাবার খাবেন, কোন খাবার এই সময় বাদ দেবেন। এই সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট পরিমাণে ঘুমেরও প্রয়োজন হয়। স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য ঘুম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ মায়ের পর্যাপ্ত ঘুম ও খাবারের উপরই নির্ভর করে নবজাতকের শরীর ও মানসিক বিকাশ।

আপনি যদি সদ্য মা হয়ে থাকেন, তাহলে বেশ কিছু ভুল ধারণা থাকতে পারে। কারণ আশেপাশে পুরনো ধারণার মানুষের বুদ্ধিতে সফল মাতৃত্বের যাত্রা ভুল ভাবে শুরু হতে পারে। এই সময় আপনার পুষ্টি ও ঘুম সংক্রান্ত নানান ভুল ধারণা মনের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। এই সময় শিশুর হজমের সমস্যা ও অ্যালার্জির সমস্যার কথা মাথায় রেখে ডায়েট চার্ট বানানো উচিত। অনেকেই ভাবেন, এই পরিস্থিতিতে কী কী পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার। আবার অপর্যাপ্ত ঘুমের জন্য শিশুর দেখভাল ও সঠিক দায়িত্ব পালন করতে পারেন না।

সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন, তাঁদের জন্য পুষ্টিকর টিপস

১- মেথির বীজে গ্যালাকটাগোগ ও ইস্ট্রোজেমের মতো যৌগ উপাদান রয়েছে, যা দুধের পরিমাণ ও প্রবাহকে উন্নত করে ও মায়েরা আগের তুলনায় বেশি স্তনদুগ্ধ উত্পাদন করতে সক্ষম হয়।

২.- মৌরির বীজে রয়েছে এস্ট্রোজেন জাতীয় যৌগ। এছাড়া রসুন, পালং শাক, সরষের সবুজ শাকে রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফোলেট, ভিটামিন। যা দুধের পরিমাণ ও প্রবাহকে দ্বিগুণ করে।

৩. জিরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম। তিল, তুলসি, বার্লি ও অ্যাসপারাগাসে ভরপুর ক্যালসিয়াম রয়েছে।

৪. অ্যাপ্রিকট রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফাইবার। স্যামন মাছে ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, মিষ্টি আলু, বাদাম স্তন্যদানকারী মায়েদের জন্য বেশ কার্যকরী প্রতিদিন দুটি করে মরসুমি ফল খেতে ভুলবেন না। সাইট্রাস জাতীয় ফল দুধ সরবরাহ বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দুধের তৈরি জিনিস খেতে পারেন এই সময়। এছাড়া আটা, ওটস, পেঁপে, স্প্রাউটস, ডাল, মাছ খেতে পারেন।

এই সময় ঘি-হল স্বাস্থ্যের বিকাশের জন্য বিকল্প একটি পুষ্টিকর খাবার। পেশি ও হাড়কে শক্তিশালী করে তুলতে ও মাতৃদুগ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি সরবরাহ করতে সক্ষম।

জাঙ্কফুড, মশলাযুক্ত খাবার, তৈলাক্ত খাবার বা সংরক্ষিত খাবার এই সময় এড়িয়ে চলাই ভাল। ধূমপান, ক্যাফিন ও অ্যালকোহলকে এই সুন্দর জীবন থেকে একেবারে বাদ দিয়ে দিন। এই জিনিসগুলি দুধ উত্পাদনের জন্য কাঁটা হয়ে থাকতে পারে। যা আপনার ও শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকরও বটে।

পর্যাপ্ত ঘুম

সদ্য যাঁরা মা হয়েছেন, তাঁদের শিশুর দেখভাল ও যত্ন নিতে গিয়ে নিজের শরীরের কথা মাথায় রাখেন না। আর এখানেই সকলে ভুল করেন। কারণ সদ্য মায়েদের এই সময় দরকার সঠিক পরিচর্চা। মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে নিজেকে স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে হলে খাদ্যের পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন। আর এই ঘুম থেকেই অনেকে বঞ্চিত হন। অনেকেই রাতের বেলায় শিশুকে স্তন্যদান করতে গিয়ে অর্ধেক রাত জেগেই থাকেন। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। যার কারমে শিশু ও মা উভয়েরই স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সদ্য মায়েদের কমপক্ষে ৮ ঘন্টা ঘুমের দরকার হয়। এর থেকে কম ঘুমালে ক্লান্ত বোধ করতে পারেন স্তন্যদানকারী মায়েরা। ঘুম যাতে গভীর হয়, তার জন্য পরিবারের সদস্যদের সাহায্য করতে বলুন। অথবা, শিশু যতক্ষণ ঘুমাচ্ছে, ততক্ষণ ঘুমিয়ে নিতে পারেন।

আরও পড়ুন- Lungs Illness: কী কী উপসর্গ দেখে বুঝবেন নিশ্চুপে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার ফুসফুস!