AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Soha Ali Khan: এই ৫ সুপারফুডই সোহার সুরক্ষা কবচ, আপনিও তালিকায় রেখেছেন তো?

Soha Ali Khan Diet Tips: মা শর্মিলার টিপস মেনেই দিন শুরু করেন সোহা। ছোট থেকেই মেপে খাওয়া তাঁর অভ্যাস। ব্রেকফাস্টে এই পাঁচ সুপারফুড থাকবেই সোহার টেবিলে ...

Soha Ali Khan: এই ৫ সুপারফুডই সোহার সুরক্ষা কবচ, আপনিও তালিকায় রেখেছেন তো?
সোহার মর্নিং রুটিন
| Edited By: | Updated on: May 07, 2022 | 6:34 PM
Share

Soha Ali Khan’s Fitness Routine: বয়স তাঁর চল্লিশ পেরিয়েছে। কিন্তু বলিউডের এই প্রিয় ননদের ফিটনেস দেখার মতো। শুধু ননদ একাই নন, ফিটনেস টিপসের জন্য ননদ-বউদি উভয়ের প্রতীক্ষাতেই থাকেন ভক্তরা। লকডাউনে সপরিবারে প্রচুর মজাদার ফিটনেস ভিডিয়ো বানিয়ে ফ্যানেদের তারিফ কুড়িয়ে নিয়েছে ননদের পরিবার। বুঝতে পারছেন কি কার কথা বলা হচ্ছে? সোহা আলি খান, বয়স তাঁর ৪৩। তবে বয়স সোহার কাছে শুধুই সংখ্যা মাত্র। এখনও তিনি পঁচিশের তন্বী। সোশ্যাল মিডিয়াতেও ভীষণ রকম অ্যাকটিভ তিনি। সদ্য পরিবারের সঙ্গে ঈদের বিশেষ মুহূর্তের ছবি শেয়ার করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। পতৌদি-কন্যার সঙ্গে সেখানে ছিলেন স্বামী কুণাল খেমু এবং কন্যা ইনায়া। গত বছর অগস্টে সোশ্যাল মিডিয়ায় সোহা লিখেছিলেন, ‘মেয়ের জন্মের পর আমার ওজন বেশ খানিকটা বেড়ে গিয়েছিল। ফ্যাট জমতে শুরু করেছিল পেটে। এরপরই আমার ভেতর থেকে এই ভাবনা আসে যে সুস্থ থাকতেই হবে। শুধুমাত্র ফ্ল্যাট পেটের জন্য নয়, শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখতেই আমি জোরকদমে শরীরচর্চা শুরু করি।’

সোহা তাঁর ওয়ার্কআউটের ভিডিয়োগুলো রেকর্ড করতে শুরু করেন। যথা সময়ে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোডও করেন। আর সেই সব ভিডিয়ো মায়েদের কাছে দারুণ অনুপ্রেরণা যোগায়। যে ভাবে তিনি নিয়মিত ওয়ার্ক আউট করেন, যতখানি সময় দেন শরীরচর্চায়, তাঁর প্যাশন আর ধৈর্য্যের প্রশংসা সকলের মুখে-মুখে। এই বয়সে এসেও যে সোহা নিজের চেহারায় এমন বদল আনতে পেরেছেন, তা দেখে অভিভূত সকলেই। সোহা জানান, ছোট থেকেই খাবারের বিষয়ে তিনি ভীষণ সচেতন। কখন কী খাবার খাচ্ছেন সেইদিকে তাঁর তীক্ষ্ণ নজর ছিল। গত দুবছর কোভিড মহামারিতে তিনি বুঝেছেন সুষম আহার শরীরের জন্য কতটা জরুরি। আর তাই সোহা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন ব্রেকফাস্টে। তাঁর মনে, দিনের শুরু যে খাবারে হয় সেই খাবার থেকেই আসে সারাদিনের এনার্জি। আর তাই সোহা দিন শুরু করেন এই ৫ খাবারে।

গরম জলে মধু- দিনের শুরুতেই সোহা একগ্লাস ইষদুষ্ণ জলে এক চামচ মধু আর অর্ধেক পাতিলেবু মিশিয়ে খান। সোহার মা শর্মিলা ঠাকুরও দিন শুরু করতেন এই পানীয়তে। মায়ের দেখেই সোহা এই পানীয় খাওয়া শুরু করেন। এতে হজম ভাল হয়, সেই সঙ্গে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে। আর তাই এই লো ক্যালোরির খাবারটি খুবই পছন্দ সোহার।

চিয়া সিডস- চিয়া সিডের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। সেই সঙ্গে থাকে ফাইবারও। চিয়া সিডস খেতে পছন্দ করেন সোহা। রোজ রাতে দু’চামচ চিয়া সিডস ভিজিয়ে রাখেন এক গ্লাস জলে। পরদিন সকালে ব্রেকফাস্টের আগে খান চিয়া-জল। চিয়া সিডের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভর্তি রাখে।

তরমুজ- পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়ে সোহা ব্রেকফাস্টে তরমুজ খান। তরমুজ শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে। আর তাই এই ফলটি বিশেষ পছন্দ সোহার। আর তরমুজের মধ্যে কোনও চিনি থকে না, নেই ক্যালোরিও। কিন্তু তরমুজ খেতে এত মিষ্টি হয় যে আলাদা করে মিষ্টি খাবার প্রয়োজন পড়ে না।

আমন্ড- সোহার পুরো পরিবার ব্রেকফাস্টের আগে তিন-চারটে আমন্ড খান। এটা তাঁর ছোটবেলার অভ্যাস। বাদামের মধ্যে কপার, জিঙ্ক, আয়রন-সহ একাধিক পুষ্টি থাকে। থাকে ভাল ফ্যাটও। যা ত্বক আর চুলের জন্য ভীষণ ভাল। এছাড়াও হার্ট ভাল রাখতে, ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে বাদামের জুড়ি মেলা ভার।

পেঁপে- বছরভর ব্রেকফাস্ট বা মিড মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবে একবাটি পেঁপে খান সোহা। তাঁর প্রশিক্ষকের নির্দেশেই ডায়েটে রয়েছে পেঁপে। পেঁপে ফাইবারের খুব ভাল উৎস। তাই ব্রেকফাস্ট করার ৪৫ মিনিট পর পেঁপে খান তিনি। এভাবে পেঁপে খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়।