বাড়তি ওজন কমিয়ে ( Weight loss) ফেলার লক্ষ্যে এখন সকলেই ছুটছেন। অনেকেই ভাবছেন ১০ দিন ডায়েট (Diet) আর এক্সসারসাইজ ( Weight loss exercise) করলেই রোগা হয়ে যাবেন। কিন্তু এই ধারণা একেবারে ভ্রান্ত। ওজন কমানোর জন্য যেমন ডায়েট আর শরীরচর্চা করতে হবে তেমনই কিন্তু ধৈর্য ধরতে হবে। একটা নির্দিষ্ট পদ্ধতির (habits) মধ্যে দিয়ে গেলে তবেই ওজন কমবে। আর এই সবের পাশাপাশি কিন্তু ভাল ঘুমেরও প্রয়োজন। ঘুম ভাল হলে অনেক সমস্যারই সহজ সমাধান সম্ভব।
অন্যদিকে এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁদের জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার সময় নেই। আবার অনেকেই রয়েছেন যাঁরা ঘণ্টার ঘণ্টা পর জিমে ক্যালোরি ঝরাতে ব্যস্ত। তার সঙ্গে মেনে চলেন কঠোর ডায়েট। কিন্তু তাতেও কোনও ফলই পাচ্ছেন না। আপনি যদি সত্যিই ওজন ঝরাতে চান, তাহলে মেনে চলতে হবে সহজ কিছু নিয়ম। স্বাস্থ্যকর, পুষ্টিকর খাওয়ার পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে যে কী খাবেন এবং কতটা পরিমাণে খাবেন। এতে ওজন সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
প্রথমত, ব্রেকফাস্ট কোনওদিন এড়িয়ে যাবেন না। অনেকেই মনে করেন যে, ব্রেকফাস্ট না খেলে ওজন কমানো সহজ হবে। এটা একদম ভুল ধারণা। বরং এটি করলে ওজন বেড়ে যায় এর পাশাপাশি শরীরে শক্তির ঘাটতি দেখা দেয়। সারাদিন আপনি ক্লান্তি বোধ করেন এবং ধীরে ধীরে একাধিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দেয়। তাই সকালে ঘুম থেকে ওঠার দু ঘণ্টার মধ্যে ব্রেকফাস্ট করুন।
প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে আপনি ডাক্তারের থেকে দূরে থাকবেন- এটা তো নিশ্চয়ই জানেন। এই আপেল আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করবে। আপেলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি আপনার খিদেকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং দীর্ঘস্থায়ী রোগের হাত থেকে আপনাকে দূরে রাখে।
শরীর হাইড্রেট থাকলে একাধিক রোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর পাশাপাশি পানীয় আমাদের ওজন কমাতেও সাহায্য করে। প্রতিদিন আট গ্লাস জল পান করলে এটি আপনার ত্বককে সুন্দর রাখে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। আপনি খালি পেটে এক গ্লাস গরম জলে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ডিনার হোক লাঞ্চ কিংবা জলখাবার চেষ্টা করুন ছোট থালায় খাবার খাওয়ার। মনস্তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি কার্যকর হতে পারে বলে মনে করা হয়। এটি আপনার মস্তিষ্ককে এটা ভাবানো হয় যে আপনি কম খাচ্ছেন। যদিও ট্রিক ওজন কমাতেও সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।
ওজন কমানোর ডায়েটের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভুল হল ব্যালেন্স মিল (Balance Meal) না খাওয়া। অর্থাৎ আপনার খাদ্যতালিকায় প্রোটিন, ফ্যাট থেকে শুরু করে সমস্ত ভিটামিন ও মিনারেল থাকবে। আপনি যদি প্রথম থেকে এরকম খাবার খান, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তাহলে আর আলাদা করে প্রয়োজন পড়বে না ওজন কমানোর। এতে শরীর থাকবে সুস্থ এবং আপনি থাকবেন স্লিম।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: মায়ের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা প্রভাব ফেলতে পারে ভ্রূণের মস্তিষ্কের ওপর! নতুন তথ্য প্রকাশ গবেষণায়