Indian Spices: দারুণ কার্যকরী এই মশলাগুলো খেলেই পাবেন ঝরেঝরে ফিগার!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Dec 12, 2021 | 10:33 AM

বাঙালির রান্নাঘরেই লুকিয়ে আছে অসংখ্য ভেষজ মশলা। দেখতে সাধারণ অথচ ঔষধিগুণসম্পন্ন এই মশলাগুলি সঠিক উপায়ে খেলেই কয়েকদিনের মধ্যে আপনিও পেতে পারেন স্লিম-ট্রিম চেহারা। দেখা যাক সেগুলি কী কী?

Indian Spices: দারুণ কার্যকরী এই মশলাগুলো খেলেই পাবেন ঝরেঝরে ফিগার!
ভারতীয় রান্নায় ব্যবহৃত নানান মশলা। ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

অসংযমী জীবনযাপন, বেটাইমে খাওয়া-দাওয়া, ভিন্ন ধরনের খাদ্য একসঙ্গে খাওয়া, মদ্যপানের অভ্যেস এবং শরীরচর্চায় অনীহা বাড়িয়ে তোলে স্থূলত্ব। অথচ বেশ কিছু মশলা আমাদের বাঙালি রান্নাঘরে আছে যেগুলি সঠিকভাবে খেলে তা ওজন বাড়তে দেয় না। এমনকী খাদ্যও হয় সুস্বাদু। খাদ্য থেকে মেলে সুঘ্রাণ! এমনকী রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়িয়ে তোলে নানা মশলা।

হলুদ: মেদ কমাতে হলুদের বিস্তর ভূমিকা আছে। হলুদের কারকিউমিন যৌগটি শরীরের মেটাবলিজম প্রক্রিয়া সক্রিয় করে এবং রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই রান্নায় অবশ্যই হলুদ ব্যবহার করুন।

জিরে: রান্নার স্বাদ বাড়ায় জিরে। হজমের নানা সমস্যাও দূর করে। জানা যায় এই ভেষজ মশলাটি বাতের নানা সমস্যা কমায়। শরীরে অবাঞ্ছিত মেদ জমতেও বাধা দেয়।

মেথি: মেথিতে থাকে উপকারী থিয়ামিন, ফলিক আসিড, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক ও ভিটামিন এ, বি, ই। ওজন ঝরাতে প্রতিদিন মেথি ভেজানো জল ও মেথিভাজা খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডায়াবেটিস ও বাতের সমস্যা দূরে রাখতেও মেথির ভূমিকা অনস্বীকার্য।

গোলমরিচ: উপকারী মশলা গোলমরিচ খাদ্যে রুচি বাড়ায়। কৃমি হলেও তার প্রতিকার করে। দেখা গিয়েছে স্থূলকায় ব্যক্তি প্রতিদিন গোলমরিচ খেলে তার ওজন কমতে বাধ্য। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, গোলমরিচে থাকা পিপারিন যৌগটি ফ্যাট সেলের বাড়বাড়ন্তে বাধা দেয়। এছাড়া গোলমরিচে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টি-ফ্যাঙ্গাল, অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানও রয়েছে।

দারচিনি: স্থূলকায় ব্যক্তিদের বারংবার খিদে পায়। আর খিদে পেলে তাঁদের ধরে রাখা যায় না। কিছু না কিছু মুখে না দেওয়া অবধি তাঁরা শান্তি পান না। এক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে দারচিনি। এই উপকারী ভেষজ মশলাটি মুখে দিলে তা খিদে কমাতে সাহায্য করে। দারচিনিতে থাকে পলিফেনল যৌগ যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে রান্নায় দারচিনির ব্যবহার সুগার রোগীর জন্য উপকারী। এছাড়া দারচিনি রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমায়। এমনকি এইচডিএল-এর মাত্রাও বাড়ায়। ওজন কমাতে ও করোনারি হার্ট ডিজিজ প্রতিরোধে এচিডিএল সক্ষম।

আদা: প্যানক্রিয়েটিক ডাইজেস্টিভ এনজাইম ট্রিপসিন ও কাইমোট্রিপসিনের উপর বিশেষ প্রভাব রয়েছে আদার। এই এনজাইমগুলি খাদ্য হজমে সাহায্য করে। ফলে পাচন ব্যবস্থা স্বাভাবিক থাকে। ওজনও থাকে ঝরঝরে।

সর্ষে: মেটাবলিজম প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে সর্ষে। এছাড়া সর্ষের মধ্যে নিয়াসিন রয়েছে যা রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

মনে রাখবেন

• শুধু মশলা খেলেই চলবে না। সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন একটানা ৩৫ মিনিট হনহন করে হাঁটতে হবে।
• একবারে পেট ভর্তি করে খাবার খাবেন ন। অল্প অল্প করে বারবার খাবার খান।
• রোজ একটা করে মরশুমি ফল খান।
• বেশি তৈলাক্ত খাদ্যে না বলুন।
• বেশি শর্করাযুক্ত খাদ্য যেমন ভাত, রুটি, আলু, কোল্ডড্রিংকস খাবেন না।
• রাতে খাবার খাওয়ার পর একঘণ্টা জেগে থাকুন। সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না। সম্ভব হলে ১০ মিনিট পায়চারি করুন।
• লোভ সংবরণ করুন। খাবার দেখলেই একসঙ্গে অনেকটা খেয়ে ফেলবেন না। অল্প খান। জিভকে শাসন করতে পারলে দুনিয়াও শাসন করতে পারবেন। ফিরে পাবেন আত্মবিশ্বাস।

আরও পড়ুন: Fruitarian Diet: ফল খেতে ভালবাসেন? শরীরকে ফিট ও সুস্থ রাখতে ফলকেই ডায়েট হিসেবে বেছে নিন

Next Article