ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid) হল রক্তের মধ্যে পাওয়া যাওয়া একটি রাসায়নিক। এটি পিউরিনযুক্ত খাবারের হজম প্রক্রিয়ার সময় উৎপাদিত হয়। পিউরিন (Purine) মটর, ডাল, পালং শাক, মাশরুম, শুকনো মটরশুটি, শুয়োরের মাংস, মুরগির মাংস, মাছ, মাটন, ফুলকপি, রাজমা এবং বিয়ারে পাওয়া যায়। শরীরে উৎপন্ন ইউরিক অ্যাসিডের বেশিরভাগই রক্তে দ্রবীভূত হয় এবং বাকিগুলি কিডনির (Kidney) মাধ্যমে নির্গত হয়। কিন্তু যখন শরীরে পিউরিনের পরিমাণ নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি বেড়ে যায় এবং কিডনিও তা ফিল্টার করতে অক্ষম হয়, তখন শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে এবং এর ফলে শুরু হয় নানা সমস্যা।
ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির কারণ:
ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অনেক কারণ থাকতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, এই সমস্যাটি জেনেটিকও হতে পারে। এ ছাড়া আপনার ভুল খাবার খাওয়ার কারণেও ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যেতে পারে। আপনি যদি বাইরের খাবার বা বিয়ার বেশি খান, শুয়োরের মাংস, মুরগি, মাছ, মাটন ইত্যাদি বেশি খান, দীর্ঘ সময় ধরে খালি পেটে থাকেন, ডায়াবেটিক হন বা থাইরয়েড, ক্যান্সার, কেমোথেরাপি, সোরিয়াসিস, স্থূলতা বা স্ট্রেস ইত্যাদি থাকলে আপনার শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির সমস্যা হতে পারে।
অনেকেই জানেন না যে, ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ কী কিংবা কেন এ সমস্যায় ভুগছেন। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক, কীভাবে দুই লক্ষণেই বুঝবেন আপনার রক্তে বেড়েছে ইউরিক অ্যাসিড।
ইউরিক অ্যাসিড হলে যা যা খাবেন না-
ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কফি, কোমল পানীয়, মদ ও ধূমপান পরিহার করুন। এ ছাড়াও পালংশাক, পুঁইশাক, ফুলকপি, মিষ্টি কুমড়া, ঢ্যাঁড়স, টমেটো ইত্যাদি সবজি না খাওয়াই ভালো। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রোটিন যেমন- খাসির মাংস ও সামুদ্রিক মাছ এড়িয়ে চলুন। বিভিন্ন রকম ডাল খাওয়াও ইউরিক অ্যাসিডের রোগীদের জন্য ভাল নয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Gum Problems: দাঁত ও মাড়ির ব্যথায় অস্থির! দ্রুত আরাম পেতে এই ৫ ঘরোয়া টিপসেই রাখুন ভরসা